• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ কেউ হতাশ হবেন না: প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ

এখনও গণহত্যার ক্ষমা চায়নি পাকিস্তান

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮  

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার জন্য আজও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায়নি পাকিস্তান। বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা না চাওয়ায় দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কেও কোনো অগ্রগতি হয়নি। 

মুক্তিযুদ্ধের ৪৭ বছর পরও দেশটির তরুণ প্রজন্ম, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীরাও আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার জন্য পাকিস্তানের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চলেছেন। তবে পাকিস্তান সরকার এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। 

লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন ত্রিশ লাখ মানুষ, আরো দুই লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন। বাংলাদেশের সেই নারকীয় গণহত্যা বিশ্ববাসীর অজানা নয়। 

আজ  ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৪৭ বছর পূর্ণ হলো। এই দীর্ঘ সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা বাংলাদেশ সফর করেছেন। তবে পাকিস্তান কখনই আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চায়নি।
স্বাধীন হওয়ার পরেই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের প্রতি ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ। তবে সে আহ্বানে সাড়া দেয়নি পাকিস্তান। 

এরপরও বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানের প্রতি ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিনা রাব্বানী খার ২০১২ সালে ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশ দেশটির প্রতি ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলে। 

তবে ওই সময় অতীতকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগোনোর কথা বলেছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী। 

তবে ২০০২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ ঢাকায় এসে ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। তবে গণহত্যার দায় স্বীকার করেননি তিনি। বাংলাদেশের কাছে ক্ষমাও চাননি। 

যে বছর পারভেজ মোশাররফ ঢাকা সফর করেন, সেই একই বছর পাকিস্তানের ৫১টি বেসরকারি সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আহ্বানও জানানো হয়। তবে তাদের সে আহ্বানে সাড়া দেয়নি পাকিস্তান সরকার। 

এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা না চাইলেও ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্ম সেই সময়ে হানাদার বাহিনীর নৃশংস খুন, ধর্ষণ, অপহরণ ইত্যাদির ঘটনায় অনুশোচনা করে বাংলাদেশের কাছে ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। 

একই সঙ্গে বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার জন্য দেশটির সরকারের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের তরুণরা। দুই বছর  আগে থেকে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি পিটিশনে সইও অব্যাহত রেখেছেন তারা। 

পিটিশনে অনেক তরুণই বলেছেন, সে সময় জামায়াতে ইসলামীর সহযোগিতায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে।

‘পাকিস্তানি হিসেবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাই’ শীর্ষক পিটিশনে পাকিস্তানের তরুণরা সই অব্যাহত রেখেছেন। সেখানে ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তারা। 

পিটিশনের পাশাপাশি সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুকেও ‘পাকিস্তানি হিসেবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাই’ শীর্ষক একটি  পেজও খোলা হয়েছে। সেখানেও ক্ষমা চেয়ে সই অব্যাহত রয়েছে। 

পাকিস্তানি তরুণ ইমাদুদ্দিন আহমেদ এই পিটিশনের উদ্যোক্তা। ইমাদুদ্দিন আহমেদ এই প্রতিবেদককে বলেছেন, পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের তরুণরা  আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। 

এদিকে বিভিন্ন সময়ে ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য তাদের দেশের সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাংবাদিকরা। 

ঢাকায় এসে পাকিস্তানের প্রখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীর বলেছিলেন, ১৯৭১ সালে এ দেশে (বাংলাদেশ) যা হয়েছিল, তা অবশ্যই গণহত্যা। পাকিস্তানের অনেকেই বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার পক্ষে। তবে এর ঘোর বিরোধী জামায়াতের মতো কিছু দল। 

সে কারণেই ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি থমকে আছে বলে মনে করেন এই সাংবাদিক।