• সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২৫ ১৪৩০

  • || ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
শেখ হাসিনার মানবাধিকারের বড় দৃষ্টান্ত ১০ লাখ রোহিঙ্গা পুনর্বাসন নির্বাচন বানচালে সহিংসতা, মিথ্যাচার করছে বিএনপি-জামায়াত: জয় ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর এদেশে মানবাধিকার বলে কিছু ছিলো না’ ছেলেমেয়েরা যেন সমানতালে এগিয়ে যায়–সেই পদক্ষেপ নিয়েছি বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী পাঁচ নারীর হাতে রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন বিশ্বে অনুকরণীয়: প্রধানমন্ত্রী বেগম রোকেয়া নারীর জীবন পরিবর্তনের ধারার সূচনা করেছিলেন : রাষ্ট্রপতি গণহত্যা প্রতিরোধে বিশ্বের সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সায়মা ওয়াজেদের জন্মদিন আজ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন আজ টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবকে সব সময় হৃদয়ের কাছাকাছি পেয়েছি: প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস আজ আজ স্বৈরাচার পতন দিবস সরকার গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপমহাদেশে গণতন্ত্রের ইতিহাসে সোহরাওয়ার্দী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র: রাষ্ট্রপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ সবসময় সাহস জোগায়: প্রধানমন্ত্রী

আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২৩  

আজ ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস। তবে আর দেরি কেন, বাবা, ভাই, বন্ধু, সহকর্মী, স্বামী বা প্রেমিক যিনি হোন না কেন, কাছের পুরুষটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেলুন আজই। দিতে পারেন তার পছন্দের কোনো উপহারও। তাই চাইলেই আপনার প্রিয় পুরুষ মানুষটিকে আজ কিছু উপহার দিতে পারেন। মনে করিয়ে দিতে পারেন, যে আপনি কতটা পছন্দ করেন তাকে।

আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি যে পুরুষ মানেই তাকে খেলাধুলা পছন্দ করতে হবে। কিন্তু এ বিষয়টা একদমই সঠিক না। কোনো পুরুষের যদি ক্রিকেট-ফুটবলের মতো খেলাগুলো অপছন্দ হয়, তবে সেটা তার ব্যক্তিগত পছন্দ। এখনে ছেলে অথবা মেয়ের কোনো বিষয় নেই।
কান্না পেলে কাঁদুন, তাতে মন হালকা হবে এব‌ং মানসিক জটিলতা কমবে। কান্না পেলেও পুরুষরা কেনোভাবেই কান্নাকাটি করে না, এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা মানুষ, আর কান্না পাওয়া মানুষের অন্য বিষয়ের মতন স্বাভাবিক।

পুরুষ মানেই আপনাকে বাহিরের সব কাজে পারদর্শী হতেই হবে, তা না হলে আপনি পুরুষের তালিকায় পড়বেন না! এই ধরনের চিন্তা বদলানোর সময় চলে এসেছে। মনে রাখবেন ছেলে অথবা মেয়ে উভয়ই যে কোন কাজের বিষয়ে পারদর্শী হতে পারে।

ছেলেরা যদি মন খারাপ করে তাহলে তাকে বেশিরভাগ সময়ই শুনতে হয় যে, মান-অভিমান মেয়েদের জন্মগত অধিকার। এই ধারণা নিয়ে বাঁচলে জীবনটা উপভোগ করতে পারবেন না। তার চেয়ে বরং আপনি যেমন, তেমনই থাকুন, তেমন ভাবেই বাঁচুন। মন খারাপ বা অভিমান হওয়ার সাথে লিঙ্গের কোনো বিষয় নেই।

গত শতকের ষাটের দশকেই পুরুষ দিবস পালনের আহ্বান জানানো হয়েছিল। ১৯৬৯‍ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের একটি নিবন্ধে বলা হয়, ২৩ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস হিসেবে পালন করতে আগ্রহী অনেকেই। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মতো একই ধরনের একটি দিবস পালন করতে চাচ্ছিলেন তারা।

এর পরের দশক থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আলাদাভাবে পুরুষ দিবস পালন শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, কলম্বিয়া, রাশিয়া ও চীনে উদ্‌যাপন করা হতো দিবসটি। তবে ভিন্ন ভিন্ন এ উদ্যোগ তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। একসময় বন্ধও হয়ে যায়।

শেষমেশ ১৯৯৯ সালে জিরোম টিলাকসিংয়ের নির্ধারিত দিনটিই বিশ্ব পুরুষ দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়। সে সময় ক্যারিবীয় অঞ্চলে দিবসটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। তবে দিন দিন দিবসটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে পুরুষের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা, নারী-পুরুষ সমতার প্রচার, পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা, পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা, পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা হয়। তাই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস একজন পুরুষকে ভালো মানুষ হওয়ার মূল্যবোধ, চরিত্র এবং দায়িত্বের প্রতি উৎসাহিত করতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ বছরের কম বয়সী পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ঘটছে। পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা বিষণ্নতায় বেশি ভোগেন। কিন্তু, পুরুষের আত্মহত্যার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই পুরুষের মাঝে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে ও মানসিক সুস্থতার জন্য পুরুষ দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ।

এটা মনে রাখতে পুরুষ দিবসের উদ্দেশ্য নারী দিবসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা নয়। বরং পুরুষের সামাজিক অভিজ্ঞতাকে সবার কাছে তুলে ধরা এই দিবসের উদ্দেশ্য। তাই সচেতনতা বাড়াতে দিবসটি উদযাপন করা যেতে পারে।