• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ কেউ হতাশ হবেন না: প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী

আশ্রয়ণ প্রকল্পে বদলে গেলো তাদের জীবন

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২২  

‘দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না’-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই প্রত‌্যয়ে তার আবেগের প্রকল্প ‘আশ্রয়ণের’ মাধ্যমে দুই ধাপে ঘর পেয়েছেন এক লাখ ২৩ হাজার ২৪৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। তৃতীয় ধাপে ঘর পাবে আরও ৬৫ হাজার ৪৭৪টি পরিবার।

এতে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মতো সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন‌্যও রয়েছে ঘর দেওয়ার প্রকল্প। এতে বদলে যাচ্ছে তাদের জীবনযাত্রার মান। উঠে আসছে সমাজের মূলস্রোতে।

একশ দশ বছরের পেয়ারুল বানু একধ‌্যানে পুতা দিয়ে সুপারি বাটছেন। কানে একটু কম শুনলেও কথা বলতে পারেন খুব ভালোভাবে। এই যে ঘর এটা কে দিয়েছে জানতে চাইলে তার উত্তর, ‘হাসিনা দিছে বাবা, হাসিনা। আল্লাহ তারে হায়াত বাড়ায় দিক, সবকিছুতে বরকত দিক।’

ইসমাইল হোসেন। ক্লাস টেনে পড়েন। স্বপ্ন দেখেন একদিন অনেক বড় হবে। বাবা মো. ইবাদুল হক আর রোজিনা বেগমের সঙ্গে আশ্রয়ণের একটি ঘরে থাকে সে। জীবনের পরিবর্তনটা এখানে কেমন, প্রশ্ন করতেই ইসমাইলের উত্তর, ‘বিদ‌্যুৎ আছে, মাথার ওপর ছাদ আছে, এখানকার পরিবেশও খুব ভালো। এটা আগে পাইনি। আগের থেকে পড়াশোনা অনেক ভালো হচ্ছে। অনেক বড় হতে চাই।’

পেয়ারুল বানু এবং ইসমাইল হোসেন-দুই প্রজন্মের এই দুজনের সুখে-শান্তিতে থাকা কিংবা স্বপ্ন দেখার সাহস যুগিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প। পেয়ারুল বানু ও ইসমাইলের মতো এমন লাখো গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে একটি ঠিকানা দিয়েছে এই প্রকল্প।

সম্প্রতি রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ এলাকা ঘুরে উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই একটি ঘরই তাদের জীবনই বদলে দিয়েছে। প্রত‌্যেকেই কোনো না কোনো কর্ম করে এখন স্বাবলম্বী। সন্তানদের পড়াশোনা করাচ্ছেন। এক সময়ে অবহেলিত, নিঃস্ব মানুষগুলো এখন সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখছেন। এজন‌্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রানীনগরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘর পেয়েছেন ৬০টি পরিবার। তৃতীয় পর্যায়ে পাবেন আরও পাঁচটি পরিবার। এই আশ্রয়ণের একজন উপভোগী মো. আশরাফুল ইসলাম। নদীতে সব কেড়ে নেওয়ার পর ২০ বছর ধরে সরকারি জমিতে কোনো রকম মাথাগুজে থাকতেন। সেখানেই এখন আশ্রয়ণের ঘর পেয়েছেন তিনি। নিজে কৃষি কাজ করেন আর তার স্ত্রীকে ছোট একটা দোকান করে দিয়েছেন।

‘আমরা খুব ভালো আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদ‌্যুতের ব‌্যবস্থা করে দিছেন, পানির ব‌্যবস্থা করে দিছেন। ঘর পেয়ে তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। এক ছেলে আছে। সেও আলাদা ঘর পেয়েছে। আমরা এখন সুখে শান্তিতেই আছি’, বলছিলেন আশরাফুল ইসলাম।

উপকারভোগীদের আরেকজন মো. তাসলিমা বেগম। এক ছেলে, এক মেয়ে আর স্বামীকে নিয়ে বসবাস। ভূমিহীন তসলিমার এখন একটাই স্বপ্ন ছেলে মেয়েদের মানুষ করা। স্বামী ভ‌্যান চালিয়ে, কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা ভালো আছি। ছেলে-মেয়েদের সুবিধা হয়েছে। তারা এখন বিদ‌্যুতের আলোয় পড়াশোনা করে।’

ইসমাইল হোসেরে ছেলে এসএসসি পরীক্ষা দেবে। ছেলেকে নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন। নিজে কষ্ট করেন, কৃষিকাজ করেন। কিন্তু ছেলে ওদিকে কখনও নেন না। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে এখন মাথা থেকে চিন্তা চলে গেছে তার। অন্তত মাথার ওপর ছাদটুকু তো আছে।

সেই কথা বলতে গিয়ে ইসমাইল স্মৃতিচারণ করেন পুরোনো দিনের, ‘আলিপুর গ্রামে আমরা থাকতাম। নদী ভাঙনে সব গেছে। অনেক দিন এখানে সেখানে থাকছি। ভাঙা টিন আর এটা ওটা দিয়ে ছাপরা করে থাকতাম।’