ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি করায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলো ভোক্তা অধিদপ্তর

রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার থানাধীন মৌলভীবাজারের ভোজ্যতেলের এক এসও (সেলস অর্ডার) ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

রোববার (১০ এপ্রিল) সকালে মৌলভীবাজারে অভিযানে যান ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি করার প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি করার অপরাধে এই প্রতিষ্ঠানকে সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ ভোজ্যতেল নিয়ে কোনো কারসাজি করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে বা যারা অনিয়ম করবে তাদের অর্থদণ্ডসহ সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন- অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল ও মাগফুর রহমান।

এছাড়া অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৫৩ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরসহ দেশের ৫০টি জেলায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ঢাকা মহানগরের কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার ও শাহবাগ আনন্দ বাজারসহ দেশব্যাপী মোট ৫৭টি বাজার ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালিত হয়। অধিদপ্তরের এ তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে ভোক্তা স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ১৩১টি প্রতিষ্ঠানকে চার লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে লিফলেট, প্যাম্ফলেট বিতরণসহ হ্যান্ডমাইকে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সহ সংশ্লিষ্ট শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধিরা অধিদপ্তর পরিচালিত এসব অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। এর মাধ্যমে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।