• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ কেউ হতাশ হবেন না: প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী

পাক-ভারত যুদ্ধে বন্ধ রেল লাইনগুলো পুনরায় চালুর উদ্যোগ

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যেসব রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেগুলো পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা-কুড়িগ্রাম-ঢাকা রুটে প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন চালু এবং রংপুর এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেসের র‍্যাক প্রতিস্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী সবুজ পতাকা নেড়ে, বাঁশি বাজিয়ে নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করেন। ভিডিও কনফারেন্সে কুড়িগ্রাম প্রান্ত থেকে বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

রংপুর-বদরগঞ্জ-পার্বতীপুর-জয়পুরহাট-সান্তাহার-নাটোর-মাধনগর-টাঙ্গাইল-মৌচাক-বিমানবন্দরসহ মোট ১০টি স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা করাবে। আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ট্রেনটির বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন যেটা আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, উত্তরবঙ্গে যে সমস্ত রেল যোগাযোগগুলো বন্ধ ছিল সেগুলো যেমন আমরা চালু করেছি। আর ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হওয়ার পর যে সমস্ত লিংকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখনকার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে, সেই লিংকগুলো আবার আমরা চালু করে দিতে চাচ্ছি। পাশাপাশি, যেসব স্থানে রেল যোগাযোগ ছিল না সেখানেও রেল যোগাযোগ চালু করা হচ্ছে। ফলে, সাধারণের যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

দক্ষিণ বঙ্গসহ সারা বাংলাদেশই রেল যোগাযোগের আওতয় নিয়ে আসা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে অনেক রেল ও রেললাইন বন্ধ করে দেয়।এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছিল। রেলকে উন্নত করার জন্য আমরা ব্যবস্থা নেই। পাশাপাশি যে সব এলাকায় রেল যোগাযোগ ছিল না, সে সব জায়গাও রেল যোগাযোগ স্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

দ্রুতগতির রেল চালুরও পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেটা একেবারে মুমূর্ষু অবস্থায় ছিল, যেটা লাভজনক ছিল না বলে যারা এটাকে বন্ধ করতে চেয়েছিল, আমরা আজকে তদেরকে দেখাতে চাই যে, রেলকে লাভজনক করা যেতে পারে। উন্নত করা যেতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, কুড়িগ্রামে আমরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিতে পারি। আর লালমনিরহাটে আমরা ভিন্ন ধরনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। সেটা হচ্ছে অ্যারোস্পেস অ্যান্ড এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়। এ সময় চিলমারী বন্দর পুনরায় চালুকরণসহ উত্তরাঞ্চলের ভাওয়াইয়া গানের প্রচার প্রসার এবং সংরক্ষণেও তাঁর সরকার এগিয়ে আসবে বলে উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রেসক্রিপশনের প্রেক্ষিতে তৎকালিন বিএনপি সরকারের জনবান্ধব রেলকে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল দেশের জন্য আত্মঘাতী। আমি মনে করি, রেল বন্ধ করে দেওয়া, আমাদের দেশের জন্য একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছিল। একটা দেশের যোগোযোগের জন্য রেলপথ, সড়ক পথ এবং নৌপথ এবং সেই সাথে বিমান- সবগুলো পথই চালু থাকা দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন এক আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্দেশনা ছিল যে, যেটা লাভজনক নয় তা বন্ধ করে দেয়ার। সেই নির্দেশনায় বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে রেল যোগাযোগটাকেই সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়ার জন্য অনেকগুলো রেললাইন এবং রেল স্টেশন বন্ধ করে দেয়।

ভিডিও কনফারেন্সের গুরুতেই গণভবনে ’কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ এবং রেল সেক্টরের উন্নয়ন নিয়ে একটি উপস্থাপনা দেন রেল সচিব মোফাজ্জেল হোসেন জানান, ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের মধ্যে প্রথম আন্তঃনগর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস আটটি স্টেশনে থামবে। কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন থেকে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ছেড়ে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। কমলাপুর স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে সকাল ৬টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে। ট্রেনটি বুধবার চলাচল করবে না। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, স্নিগ্ধা চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি প্রতি আসন ১১৬৮ টাকা এবং এসি বাথ ১৮০৪ টাকা। প্রতিদিন এক হাজার ৩০৬ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। ট্রেনটি থেকে বছরে ২৫ কোটি টাকা আয় করতে পারবে রেলওয়ে।