সহিংসতা ঘটলে প্রতিহত করবে সেনাবাহিনী

সংসদ নির্বাচনে কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটলে সেনাবাহিনী জেলা সদরে চুপ করে বসে থাকবে না। নিজ উদ্যোগে সেখানে গিয়ে তা প্রতিহত করবে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রোববার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রমকে এ আশ্বাস দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। সিইসির সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন বিএনপির এই নেতা।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির মহাসচিবের নির্দেশে আমি সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তারা এলাকা ছাড়া। আমি নিজে ছয়বার নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। এখন এলাকায় যেতে পারছি না। আমার মতো অনেক নেতা এলাকার বাইরে আছেন। আমার নির্বাচনী এলাকা ভোলা-৩। এই আসনে তফসিল ঘোষণার পর হয়রানিমূলক যে সব মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, তা সিইসিকে জানিয়েছি।

তিনি বলেছেন, পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ প্রশাসনকেও তিনি এ বিষয়ে নির্দেশ দেবেন।

তিনি বলেন, সিইসির কাছে প্রশ্ন ছিল নির্বাচনে সেনাবাহিনী জেলা সদরে চুপ করে বসে থাকবে, নাকি তারা ‘ফ্রিলি মুভ’ করবে। একটি এলাকায় ভোটকেন্দ্রের এক মাইল দূরে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়া হলে তখন সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে। জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আশ্বস্ত করেছেন, সেনাবাহিনী নির্বাচনী এলাকায় মুভ করবে। তারা জেলা সদরে চুপ করে বসে থাকবে না। যেখানেই সন্ত্রাস হবে, দে উইল রান ফর দ্যাট।’

নির্বাচনী এলাকায় যেকোনো ধরনের সহিংস ঘটনা হলেই সেনাবাহিনী নিজ উদ্যোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিহত করবে। ‘দে উইল অ্যাকটিভ অ্যান্ড মুভ অ্যারাউন্ড।’

ইভিএম প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাফিজ উদ্দিন বলেন, সারাবিশ্বে ইভিএম একটি বিতির্কিত ভোটিং মেশিন। জার্মানি এটা বাদ দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী ভারতের কয়েকটি রাজ্যে কেবল এই মেশিন চালু আছে। উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার হচ্ছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশেই এটা নেই। আশা করছি, আগামী নির্বাচনে এই মেশিন ব্যবহার না করার বিষয়ে আমাদের দাবির পুনর্বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন