• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
কেউ হতাশ হবেন না: প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

যে নামাজ চোখের স্নিগ্ধতা ও প্রশান্তির কারণ

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২২  

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, এ পৃথিবীতে যত প্রকার ইবাদত বা উপাসনার পদ্ধতি রয়েছে এর সম্মিলিত ও পরিপূর্ণরূপ হলো নামাজ। নামাজ হলো ইবাদতের ভিত্তি। কেননা মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নামাজ ধর্মের স্তম্ভ।’ স্তম্ভ বা খুঁটি ছাড়া যেমন অট্টালিকা বা ঘর নির্মিত হতে পারে না; তেমনই নামাজ ছাড়া ধর্ম হতে পারে না। সুতরাং আধ্যাত্মিক সফরের দিক থেকে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম।

মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার চোখের স্নিগ্ধতা বা প্রশান্তি আমার নামাজের মধ্যে।’ জাগতিক জীবনের সব পেরেশানি ও অস্থিরতা হতে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো নামাজ। নামাজ তথা ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে বিরোধাত্মক শক্তি সহায়ক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে মানুষের আধ্যাত্মিক যাত্রা পথে যথেষ্ট অবদান রাখে।

আল্লাহতাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখে।’ (সুরা আন কাবুত: আয়াত ৪৫) মূলত একজন প্রকৃত নামাজি যে সবধরনের অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকে। নামাজ আধ্যাত্মিক গোসল স্বরূপ। আধ্যাত্মিক যাত্রাপথে নামাজ এক স্নেহময়ী মায়ের মতো, প্রকৃত নামাজ নামাজির আত্মার সব নোংরা ময়লা কালিমা ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়ে চোখের স্নিগ্ধতা আর আত্মার প্রশান্তির কারণ হয়। শুধু নামাজ আদায় করলেই হবে না বরং নামাজের নির্ধারিত দোয়া শেষে ব্যক্তিগত, দেশ ও সমাজের জন্য অনেক বেশি দোয়াও করতে হবে।

মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের প্রভু জীবিত ও দয়ালু। কোনো বান্দা তার কাছে হাত তুললে তিনি তা খালি ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।’ (তিরিমিজি ও আবুদাউদ)

মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন শ্রেষ্ঠ দোয়াকারী। তার জীবদ্দশায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে, তাহাজ্জুদের নামাজে, নফল ইবাদতের সিজদায়, রুকুতে, দাঁড়িয়ে, বসে এত বেশি দোয়া করতেন যে, দীর্ঘ সময় দাঁড়ানো ও রুকুতে থাকার কারণে তার পা ফুলে যেত। এ ছাড়া সর্বাবস্থায় তিনি আল্লাহতায়ালার সাহায্য প্রার্থনা করে দোয়া করেছেন, যা হাদিসে দোয়া হিসেবে মানুষের জন্য অমূল্য সম্পদ ও পাথেয় হয়ে রয়েছে।

হজরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু রেওয়ায়াত করেন, আমি ওমরা হজ করার জন্য মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে অনুমতি চাইলাম। তিন অনুমতি প্রদান করলেন, আর বললেন, ‘হে আমার ভাই! আমাদের তোমার দোয়ায় ভুলে যেও না’। উঁচু মর্যাদাসম্পন্ন সত্তা ছিলেন তিনি, যিনি সব জাহানের জন্য দোয়া করতে থাকেন আজীবন, পূর্ববর্তীদের জন্য ও পরবর্তীদের জন্যও এবং কিয়ামতকাল অবধি, যার দোয়াসমূহ হচ্ছে আমাদের পুঁজি। তার বিনয়ের মোকাম ও মর্যাদা লক্ষ্য করুন। তার অমায়িকতা দেখুন। হজরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলছেন, ‘হে আমার ভাই! নিজের দোয়াতে আমাদের কথা ভুলে যেও না।’ তখন হজরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলছেন, হুজুরের কথায় আমি এত আনন্দ বোধ করি যে, এর বিনিময়ে যদি সারা দুনিয়া আমি পেয়ে যাই; তবুও ততটা আনন্দ বোধ করবো না’। (তিরমিজি, কিতাবুদ দাওয়াত)

হজরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এজন্য খুশি হয়েছিলেন, তিনি জানতেন, মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দোয়ার জন্য বলা, এতে একটি সুসংবাদ নিহিত ছিল যে, তার দোয়া কবুল হবে, এর মোকাবিলায় যদি সব দুনিয়া পেতেন তাতে তিনি ভ্রূক্ষেপ করতেন না।

মূলত যে নামাজে আন্তরিকতা, দোয়া ও নিষ্ঠা থাকে, সেই নামাজ মানুষের চোখের স্নিগ্ধতা আর অন্তরের প্রশান্তির কারণ হয়।