• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
কেউ হতাশ হবেন না: প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীর ব্যয়সীমা

ভোটার প্রতি ১০ টাকা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০১৮  

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের ভোটার প্রতি খরচ নির্ধারণ করেছে ১০ টাকা। সর্বোচ্চ ব্যয় কোনোক্রমেই ২৫ লাখ টাকার বেশি হবে না।নির্বাচন কমিশনের এ ব্যয় নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে সারাদেশেই অনেকটা হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।

বাস্তবতা থেকে যে নির্বাচন কমিশন কত দূরে তাদের এ সিদ্ধান্ত সেটাই প্রমাণ করে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর ব্যয়সীমা কম। দেশের নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর ব্যয়সীমা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ প্রার্থীই এ ব্যয়সীমা মেনে নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রায় এক মাস নির্বাচনী প্রচার চালাতে হবে। সেই ক্ষেত্রে ভোটার প্রতি ১০ টাকা খরচ করে কীভাবে প্রচারণা চালাবেন প্রার্থীরা এ প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নির্বাচন বিশ্লেষকরা। অবাস্তব নির্বাচনী আইনের কারণে নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বেড়ে যাবে।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ৫০ থেকে ৭০ লাখ রুপি বা স্থানীয় মুদ্রায় ৬২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা (প্রতি রুপি ১ টাকা ২৫ পয়সা ধরে)। অপরদিকে বিধানসভা নির্বাচনে ২০ থেকে ২৮ লাখ রুপি বা ২৫ থেকে ৩৫ লাখ টাকা।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ৪০ লাখ রুপি বা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ২৬ লাখ টাকা (প্রতি রুপি সমান ৬৫ পয়সা ধরে)। তবে নেপালের ফেডারেল নির্বাচনে প্রার্থীর ব্যয়সীমা ২৫ লাখ নেপালি রুপি বা স্থানীয় মুদ্রায় ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা (প্রতি রুপি ৭৫ পয়সা ধরে)।

ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করে জানিয়েছে, ভোটার প্রতি ১০ টাকা হারে নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন একজন প্রার্থী।

তবে শর্ত থাকে যে, ভোটার সংখ্যা যতই হোক না কেন, একজন প্রার্থী নির্বাচনের জন্য ২৫ লাখ টাকার বেশি ব্যয় করতে পারবেন না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচন কমিশন শুধু ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েই খালাস। প্রকৃত ব্যয় কত হচ্ছে তা তদারকির সঠিক কর্মপন্থা ইসি রাখেনি।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান লোকবল সঙ্কটের মধ্যেও এবার ‘ব্যয় মনিটরিংয়ে’ তৎপর হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

দ্রব্যমূল্য ও বাজার অবস্থা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন ২০১৪ সালের নির্বাচনী ব্যয়সীমা থেকে ভোটার প্রতি মাত্র দুই টাকা হারে বৃদ্ধি করেছে। ওই সময় মাথাপিছু ব্যয়সীমা ছিল আট টাকা। ২০০৮ সালে এ ব্যয়সীমা ছিল ভোটারপিছু ছিল ৫ টাকা।

দেশে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪২ লাখ। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি আসনে ভোটার হয়, ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩০১ জন। প্রতি ভোটার হারে ১০ টাকা ব্যয় ধরলে নিম্নতম ব্যয় দাঁড়ায় ৩০ লাখ টাকারও বেশি। দেশে এক কাপ চায়ের দাম যেখানে ৫ টাকা, নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেয়া সীমার একটি পোস্টার ছাপাতে ব্যয় হয় কমপক্ষে ৫ টাকা, শহরে ও গ্রাম সর্বনিম্ন বাস ভাড়া যেখানে ৫ টাকা সেখানে ভোটার প্রতি ১০ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

অথচ যেসব দেশে নির্বাচনী ব্যয়বিষয়ক কড়া আইন রয়েছে, সেখানে এদিক-সেদিক করার সুযোগ নেই। যেমন কানাডার ডিন ডেল মাস্ত্রো এমপি উপ-নির্বাচনে নির্ধারিত অঙ্কের বেশি অর্থব্যয় করেছিলেন। আদালত তাকে একমাসের জেল দেন।

সঙ্গে ১০ হাজার ডলার জরিমানাও হয়েছিল। নির্বাচনকে প্রার্থীদের কালো টাকার প্রভাব মুক্ত করতে ব্যয়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। যাতে টাকাওয়ালা কোনো প্রার্থী বেশি টাকা খরচ করে টাকা কম এমন প্রার্থীদের প্রচারণায় প্রভাবিত করতে না পারেন।

কিছু রাজনৈতিক দল মনে করে, নির্বাচনী ব্যয়কে এত কমিয়ে রাখার যুক্তি নেই। কারণ সবাই নির্ধারিত সীমার অনেক বেশি ব্যয় করেন। আর নির্বাচন কমিশন তা জেনেও চুপ করে থাকে। কিংবা তাদের দেখার সেই সক্ষমতাও নেই।

টিআইবির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম সংসদে ব্যবসায়ী এমপি ছিলেন ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর এখন সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ শতাংশে। ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণেই এখন সংসদ চলে। তারা নির্বাচনে ব্যয়বৃদ্ধিতে প্রতিযোগিতায় নামবেন, এটাই স্বাভাবিক।

। সর্বোচ্চ ব্যয় কোনোক্রমেই ২৫ লাখ টাকার বেশি হবে না।

নির্বাচন কমিশনের এ ব্যয় নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে সারাদেশেই অনেকটা হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।

বাস্তবতা থেকে যে নির্বাচন কমিশন কত দূরে তাদের এ সিদ্ধান্ত সেটাই প্রমাণ করে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর ব্যয়সীমা কম। দেশের নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর ব্যয়সীমা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ প্রার্থীই এ ব্যয়সীমা মেনে নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রায় এক মাস নির্বাচনী প্রচার চালাতে হবে। সেই ক্ষেত্রে ভোটার প্রতি ১০ টাকা খরচ করে কীভাবে প্রচারণা চালাবেন প্রার্থীরা এ প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নির্বাচন বিশ্লেষকরা। অবাস্তব নির্বাচনী আইনের কারণে নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বেড়ে যাবে।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ৫০ থেকে ৭০ লাখ রুপি বা স্থানীয় মুদ্রায় ৬২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা (প্রতি রুপি ১ টাকা ২৫ পয়সা ধরে)। অপরদিকে বিধানসভা নির্বাচনে ২০ থেকে ২৮ লাখ রুপি বা ২৫ থেকে ৩৫ লাখ টাকা।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ৪০ লাখ রুপি বা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ২৬ লাখ টাকা (প্রতি রুপি সমান ৬৫ পয়সা ধরে)। তবে নেপালের ফেডারেল নির্বাচনে প্রার্থীর ব্যয়সীমা ২৫ লাখ নেপালি রুপি বা স্থানীয় মুদ্রায় ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা (প্রতি রুপি ৭৫ পয়সা ধরে)।

ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করে জানিয়েছে, ভোটার প্রতি ১০ টাকা হারে নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন একজন প্রার্থী।

তবে শর্ত থাকে যে, ভোটার সংখ্যা যতই হোক না কেন, একজন প্রার্থী নির্বাচনের জন্য ২৫ লাখ টাকার বেশি ব্যয় করতে পারবেন না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচন কমিশন শুধু ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েই খালাস। প্রকৃত ব্যয় কত হচ্ছে তা তদারকির সঠিক কর্মপন্থা ইসি রাখেনি।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান লোকবল সঙ্কটের মধ্যেও এবার ‘ব্যয় মনিটরিংয়ে’ তৎপর হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

দ্রব্যমূল্য ও বাজার অবস্থা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন ২০১৪ সালের নির্বাচনী ব্যয়সীমা থেকে ভোটার প্রতি মাত্র দুই টাকা হারে বৃদ্ধি করেছে। ওই সময় মাথাপিছু ব্যয়সীমা ছিল আট টাকা। ২০০৮ সালে এ ব্যয়সীমা ছিল ভোটারপিছু ছিল ৫ টাকা।

দেশে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪২ লাখ। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি আসনে ভোটার হয়, ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩০১ জন। প্রতি ভোটার হারে ১০ টাকা ব্যয় ধরলে নিম্নতম ব্যয় দাঁড়ায় ৩০ লাখ টাকারও বেশি। দেশে এক কাপ চায়ের দাম যেখানে ৫ টাকা, নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেয়া সীমার একটি পোস্টার ছাপাতে ব্যয় হয় কমপক্ষে ৫ টাকা, শহরে ও গ্রাম সর্বনিম্ন বাস ভাড়া যেখানে ৫ টাকা সেখানে ভোটার প্রতি ১০ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

অথচ যেসব দেশে নির্বাচনী ব্যয়বিষয়ক কড়া আইন রয়েছে, সেখানে এদিক-সেদিক করার সুযোগ নেই। যেমন কানাডার ডিন ডেল মাস্ত্রো এমপি উপ-নির্বাচনে নির্ধারিত অঙ্কের বেশি অর্থব্যয় করেছিলেন। আদালত তাকে একমাসের জেল দেন।

সঙ্গে ১০ হাজার ডলার জরিমানাও হয়েছিল। নির্বাচনকে প্রার্থীদের কালো টাকার প্রভাব মুক্ত করতে ব্যয়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। যাতে টাকাওয়ালা কোনো প্রার্থী বেশি টাকা খরচ করে টাকা কম এমন প্রার্থীদের প্রচারণায় প্রভাবিত করতে না পারেন।

কিছু রাজনৈতিক দল মনে করে, নির্বাচনী ব্যয়কে এত কমিয়ে রাখার যুক্তি নেই। কারণ সবাই নির্ধারিত সীমার অনেক বেশি ব্যয় করেন। আর নির্বাচন কমিশন তা জেনেও চুপ করে থাকে। কিংবা তাদের দেখার সেই সক্ষমতাও নেই।

টিআইবির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম সংসদে ব্যবসায়ী এমপি ছিলেন ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর এখন সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ শতাংশে। ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণেই এখন সংসদ চলে। তারা নির্বাচনে ব্যয়বৃদ্ধিতে প্রতিযোগিতায় নামবেন, এটাই স্বাভাবিক।