গৌরনদীতে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনে খুশি চাষীরা

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলতি বছর ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে খুশি হয়েছে উপজেলার প্রায় ১০হাজার চাষীরা। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ২শত ২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিস। তবে চাষীরা জানান এর চেয়ে বেশী জমিতে ইরি ধান চাষ হয়েছে। বর্তমানে চাষীরা ক্ষেতের ধান কাটার আনন্দে মেতে উঠেছে। চলছি বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

কৃষক রিপন সরদার, হালিম আকন, সামচুল মিয়া বলেন, উপজেলায় অন্য বছরের চেয়ে বেশী জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। আবাদকারী চাষীদের ধান কাটার জন্য ফরিদপুর, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়িসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ধান কাটতে শ্রমিকরা দল বেধে এসেছে। ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। চলতিবছর ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে আমরা আনন্দিত। বর্তমানে ধানের দামও ভাল রয়েছে।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপংকর সরকার জানান, সরকার থেকে ইরি-বোরো ধান চাষের জন্য বীজ সহায়তা ও প্রণোদনার আওতায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৫হাজার ১শত চাষীকে ২ কেজি করে হাইব্রীড ধান বীজ ও ৩ শত জনকে উফসী বীজ ও ২০ কেজি করে সার সহায়তা দেওয়া হয়েছিল।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, চলছি বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৬হাজার ২শত ২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। তার চেয়ে বেশী ইরি বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম চাষ হয়েছিল ২শত ৭০ হেক্টর জমি। চাষাবাদকৃত জমিতে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০হাজার ২শত ৫০ মেট্রিক টন চাল। ফলনও বাম্পার হয়েছে। ইতিমধ্যে ক্ষেতের ৪৫ ভাগ পাকা ধান কাটা হয়ে গেছে। ক্ষেতে ৫৫ ভাগ পাকা ধান রয়েছে।  আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ৭দিনের মধ্যে ক্ষেতের সকল ধান কাটা শেষ হবে। সময়মত সার ও বীজ পাওয়ায় ক্ষেতের সর্বত্রই ফসল ভাল হয়েছে।