• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
কেউ হতাশ হবেন না: প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রস্টেট বড় হয়ে যাওয়া যখন সমস্যা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০১৯  

প্রস্টেট এর সমস্যার মধ্যে দুইটি সমস্যা খুবই সাধারণ এক হচ্ছে প্রস্টেট ক্যান্সার আর হচ্ছে প্রস্টেট বড় হয়ে যাওয়া।পূর্বে প্রস্টেট ক্যান্সার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে,আজ আলোচনা করব প্রস্টেট বড় হয়ে যাওয়া নিয়ে।
প্রস্টেট বড় হয়ে যাওয়ার যে সমস্যা তাকে BPH(বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া)বলা হয় চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়।এটিকেই সাধারণ ভাষায় প্রস্টেট বড় হয়ে যাওয়া বলে।

প্রস্টেট এর সমস্যা নিয়ে বলার আগে বলে নিই প্রস্টেট হচ্ছে সুপারির আকৃতির একটি গ্রন্থি যেটা শুধুমাত্র পুরুষদের থাকে।এই গ্রন্থির ভেতর দিয়েই চলে যায় ইউরেথ্রা বা মুত্রনালী। প্রস্টেট এক ধরণের তরল পদার্থ উৎপাদন করে যেটা শুক্রাণুর পুষ্টি সরবরাহ করে।

★বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়াঃ
এটি হচ্ছে প্রস্টেট বড়ো হয়ে যাওয়া বা প্রস্টেট এনলার্জমেন্ট।এটি চল্লিশোর্ধ অধিকাংশ পুরুষদের বর্তমান সাধারণ একটি সমস্যার নাম।এটি পুরুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে এবং এটি বেড়ে গিয়ে এর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া মুত্রনালি কে চাপ দেয় তখন সমস্যা দেখা দেয়।এখন নাগাদ প্রস্টেট বড় হয়ে যাবার সঠিক কারণ ব্যাখা করা সম্ভব হয় নি তবে ধারণা করা হয় বয়স বাড়ার সাথে সাথে হরমোনাল যে ব্যালান্স থাকে পুরুষের দেহে সেটি ঠিকভাবে কাজ না করার দরুণ এটি হতে পারে।

**যেসব লক্ষণ দেখা দেয় তা হলোঃ
*ইংলিশে একটি কথা আছে ইউরিন আর্জেন্সি, এটির মানে হলো আপনার প্রসাবের বেগ আসলে আপনি সাথে সাথে দৌড়ে যাবেন আটকে রাখতে পারবেন না।

*রাতে বার বার ঘুম ভেংগে যাবে প্রসাবের বেগ আসার কারনে।এবং জেগে থাকা অবস্থায়ও ঘন ঘন প্রসাব হবে।

*প্রসাব খুব চিকন ধারায় হবে এবং প্রসাব করে সন্তুষ্টি আসবে না,মূত্রত্যাগের পরও মূত্রথলি খালি না-হওয়ার মত বিরক্তিকর অনুভূতির সৃষ্টি হবে।

*মুত্রত্যাগ হয়ে যাবার পর চুইয়ে চুইয়ে  মুত্র এসে আপনার কাপড় ভিজিয়ে দেবে।অনেক ক্ষেত্রে ওযু করার পর ওযু ভেংগে যায় এরকম হয়।
 
*প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়

এখানে লক্ষণ গুলো জানা খুব জরুরী।তার কারণ অনেকের এরকম লক্ষণ থাকা সত্বেও চিকিৎসক এর নিকট যায় না।এতে করে আরো জটিল সমস্যা হয়।যেমনঃ ভালোভাবে প্রসাব না হবার ফলে মুত্রথলি তে প্রসাব থেকে যায় এবং একসময় এ ধরণের সমস্যার দরুন সৃষ্টি হতে পারে কিডনী পাথর।যেটির চিকিৎসা এখনো সব যায়গায় সম্ভব হয় না।

আবার হতে পারে হাইড্রোনেফ্রোসিস।এটি হলে সাধারণত কিডনী ফুলে যায়।এটির দ্রুত চিকিৎসা না হলে এটি থেকে কিডনী ড্যামেজ হতে পারে।

**কী ধরণের চিকিৎসা হয়?
প্রস্টেট বড় হয়ে যাওয়া হচ্ছে আসল সমস্যা তাই যদি প্রস্টেট বড় হওয়া থামানো যায় তাইলে সমস্যার সমাধান হবে এক্ষেত্রে চিকিৎসক রা কয়েকটি বিষয় আমলে নেন

-মুত্রনালীর চারপাশের যে মাংশপেশি থাকে সেগুলো শিথিল করে দেন এতে করে ইউরিন বা মুত্র প্রবাহ সহজে হয়।

-আরো চেষ্টা করেন যাতে প্রস্টেট এর বৃদ্ধি না হয় এজন্য টেস্টেসটেরন কমানোর ওষুধ দেয়া হয়।যখন টেস্টেসটেরন কমে যায় তখন প্রস্টেট কিছুটা সংকুচিত হয়, এতে করে মুত্র প্রবাহ কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসে।

-ওষুধে কাজ না করলে তখন সার্জারি করা হয়।এক্ষেত্রে প্রস্টেট এর কিছু টিস্যু ফেলে দিয়ে এটিকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনার চেষ্টা করা হয়।এর জন্য ট্রান্সইউরেথ্রাল রিসেকশন অব দ্য প্রস্টেট (টিইউআরপি) হলো সাধারণ শল্যচিকিৎসা।যে জায়গা মুত্র প্রবাহে বাধা দিচ্ছে ওখানের টিস্যু ফেলে দেয়া হয়

-প্রস্টেট অনেক বড় হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে ওপেন প্রস্টেটেকটমির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। এ ক্ষেত্রে তলপেট কেটে অপারেশন করা হয় এবং প্রস্টেট গ্রন্থির অংশ বের করে আনা হয় এটিতে দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাওয়া যায়।

সঠিক সময় সঠিক ভাবে চিকিৎসা করলে সমস্যা গুলোর সমাধানে খুব একটি বেগ পেতে হয় না।দেখা যায় নিয়মিত একটি বা দুটি ওষুধ নিয়ে অনেকে সুস্থ আছেন।

তবে ভয়ের যে ব্যাপার সেটি হলো সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায় যে পূর্বের থেকে প্রস্টেট বড় হয়ে যাবার প্রবনতা আরো বেশি হারে বেড়ে চলছে।তাছাড়া আগে দেখা যেতো পঞ্চাশোর্ধ পুরুষদের এই সমস্যা হতো কিন্ত এখন চল্লিশ পার হলেই পুরুষদের প্রস্টেট বড় হয়ে যাবার মত ঘটনা ঘটছে।এটি ঠিক কি কারণে হচ্ছে তা নিয়ে এখনো বিস্তর গবেষণার দরকার আছে।


তবে আপনাদের প্রতি চাওয়া থাকবে আগে থেকে সচেতন থাকবেন।পরিবারের প্রবীণ পুরুষ অনেক সময় এসব বিষয় লজ্জাজনক মনে করে এড়িয়ে যান।এ ধরণের ঘটনা যাতে না হয়।এদিকে খেয়াল রাখবেন।চল্লিশের পর এধরনের বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ নজর দেবেন।