• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
কেউ হতাশ হবেন না: প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

কিডনির বায়োপসি ও গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

কিডনির অনেক কাজের মধ্যে প্রধান কাজ রক্ত পরিশোধন করা। আর এটি সম্পন্ন হয় যে আণুবীক্ষণিক অঙ্গের মাধ্যমে, তাকে বলে ‘গ্লোমেরুলাস’। এই গ্লোমেরুলাস আসলে এক ধরনের ছাঁকনি তৈরি করে। যা রক্তে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিকগুলো প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দিতে সহায়তা করে। সহজভাবে বললে, এ ছবি একেকটি ক্ষুদ্র রক্তনালির গুচ্ছ। মানুষের প্রতি কিডনিতে প্রায় ১০ লাখ গ্লোমেরুলাস আছে। কিন্তু বিশেষ বিশেষ রোগের কারণে এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়, যেমন গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস। এর উপসর্গ বা লক্ষণ নানা রকম হতে পারে অথবা কখনো কখনো সাধারণ প্রস্রাব পরীক্ষায় এটি প্রথম ধরা পড়ে। উপসর্গের মধ্যে আছে—

♦   প্রস্রাবের রং পরিবর্তন, যেমন প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া বা প্রস্রাবের রং ঘোলাটে হওয়া

♦   মুখ অথবা মুখের চারপাশে পানি জমা ও ফুলে যাওয়া

♦   পা ফুলে যাওয়া

♦   খুব অল্প বয়সে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া।

সাধারণ প্রস্রাব পরীক্ষায় অনেক সময় রক্তকণিকা অথবা বেশি মাত্রায় প্রোটিনের উপস্থিতি ধরা পড়লেও রোগটি সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায়।

সমস্যা হচ্ছে, এ ধরনের অসুখ সহজে ধরা পড়ে না। কিডনির বেশির ভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলে উপসর্গ প্রকাশ পেতে শুরু করে। অথচ দ্রুত এই রোগ নির্ণয় করা গেলে এ রোগকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা সম্ভব। আর তা না করা গেলে কিডনি প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হয়ে পড়তে পারে।

রোগটি সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা গেলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ রোগ নিশ্চিত নির্ণয় করার একমাত্র উপায় ‘কিডনির বায়োপসি’ করা। কিডনির বায়োপসি একটি সহজ প্রক্রিয়া, যা ছোট একটি অপারেশনের মতো। প্রথমে আলট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষার মাধ্যমে বাঁ পাশের কিডনির নিচের সীমানা নির্ণয় করা হয়। এরপর স্থানীয়ভাবে অবচেতন করার ওষুধ বা লোকাল অ্যানেস্থেশিয়া প্রয়োগ করে স্থানটি অবশ করা হয়। তারপর একটি বিশেষ বায়োপসি নিডল বা ছোট সুইয়ের মাধ্যমে কিডনি থেকে সামান্য কিছু টিস্যু নিয়ে তা ল্যাবরেটরিতে বিশেষ মাইক্রোসকোপের নিচে পরীক্ষা করা হয়। এ পরীক্ষার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই সুনির্দিষ্ট ওষুধ প্রদানের মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা যায়। এর সঙ্গে অবশ্য রক্তের কিছু পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে। পুরো রেনাল বায়োপসি ও আনুষাঙ্গিক পরীক্ষার জন্য রোগীকে এক-দু দিন হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়।

আগে এ ধরনের পরীক্ষা বাংলাদেশে সম্ভব না হলেও এখন অনেক হাসপাতালেই হচ্ছে। আর পরীক্ষা সহজলভ্য হওয়ায় চিকিৎসা করাও সম্ভব হচ্ছে।