গ্রামের আর শহরের সুশাসন এক নয়: পরিকল্পনামন্ত্রী

শহরের মানুষের সুশাসনের ধারণা আর গ্রামের মানুষের সুশাসনের ধারণা এক নয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, গ্রামে মানুষের কাছে সুশাসন বলতে ভালো খাবার পানির সোর্স চায়, ভালো সড়ক, ভালো থাকার ব্যবস্থা চায়। অন্যদিকে শহরের নাগরিক সমাজ সুশাসন বলতে বোঝেন মানবাধিকার বা অন্য কিছু।

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) ও ইউনাইটেড নেশনস পোভার্টি এনভায়রনমেন্ট অ্যাকশন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলিয়ার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নাগরিক সমাজ আসলে কারা? যারা নগরে বাস করেন তারা? নাকি সারাদেশের মানুষ? নাগরিক সমাজ নিয়ে এমন প্রশ্ন তুলে আক্ষরিক অর্থে গ্রামে বসবাস করা দুই-তৃতীয়াংশ মানুষকে অবহেলা করা হয়। তাছাড়া নগরের নাগরিক সমাজ যে সুশাসনের কথা বলে, গ্রামে গেলে সে তালিকা পাল্টে যায়।

এ সময় মন্ত্রী গ্রামের মানুষের চাহিদার কথা তুলে ধরে বলেন, গ্রামের মানুষ চায় একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার জন্য। একটি টিউবওয়েল, একটি টয়লেট করে দেওয়ার দাবি জানায়। তারা হয়তো সুশাসন বোঝে না। তবে তারা চায় থানায় একজন ভালো ওসি থাকুক, ইউনিয়নে একজন ভালো চেয়ারম্যান থাকুক। ইউনিয়নে একজন সৎ ইউপি সচিব থাকুক, ভূমি অফিসে একজন ভালো তহশিলদার থাকুক। শহরের নাগরিক সমাজ সুশাসন বলতে বোঝেন মানবাধিকার।

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের অবদান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সরকার গ্রাম ও শহরের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে। তাই প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দারিদ্র্য দূর করে মানুষের খাদ্য নিশ্চিত ও রাস্তাঘাট নির্মাণে নজর দিয়েছেন। গ্রামের মানুষদের প্রতি অবহেলা সরিয়ে তাদের হক ও পাওনা স্বীকার করার সময় হয়েছে বলেও মনে করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, শুধু স্বীকার করা নয়, তাদের চাহিদা বাস্তবায়ন করা দরকার। আর সেকারণেই ন্যায়বিচার করা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব হয়েছে। এসম তিনি সরকারের পক্ষ থেকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষার প্রসার ও রাস্তাঘাট নির্মাণের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।