• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক রাইসি-আমির আব্দুল্লাহিয়ান মারা গেছেন: ইরানি সংবাদমাধ্যম সকল ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতে কাজ করছে বিএসটিআই: প্রধানমন্ত্রী চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ কেউ হতাশ হবেন না: প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

পটুয়াখালীর মুগডাল যাচ্ছে জাপানে

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৪  

পটুয়াখালীতে উৎপাদিত মুগডাল যাচ্ছে জাপানে। সম্ভাবনা তৈরি করেছে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের। নিজেদের কস্টে উর্পাযিত ফসলের বিদেশী চাহিদায় খুশি কৃষকরা। ভাল ফলনে মিলবে বেশি লাভ এমন সপ্ন প্রত্যাশা মুগডাল চাষীদের। কৃষি বিভাগের আশা, চলতি মৌসুমে কয়েক কোটি টাকার মুগডাল রপ্তানি হবে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মুগডালের আবাদ হলেও পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল জেলায় এর আবাদ হয় বেশি। সবচেয়ে বেশি মুগডাল উৎপাদন হয় পটুয়াখালীতে। দেশের মোট উৎপাদনের ৬০ ভাগ মুগডাল উৎপাদিত হয় পটুয়াখালীতে। এটি খেতে যেমন সু-স্বাদু, তেমনি চাষ করেও ভালো দাম পাওয়া যায়।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৯৮ হাজার হেক্টর জমিতে মুগডালের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে গলাচিপায় মুগডালের আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৮০০ হেক্টর। এছাড়াও ফেলন ডাল ৭৭০ হেক্টর ও খেসারী ডাল ৮৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এ বছর গলাচিপায় ডালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজর ৫০০ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। চাষীর সংখ্যা ২২ হাজার ৫০০-এর মতো। বর্তমান সরকার রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে গলাচিপা উপজেলার ৩ হাজার ৫০০ চাষীকে বিনামূল্যে জনপ্রতি পাঁচ কেজি করে বীজ মুগডাল বারী-৬, ২০ কেজি করে ড্যাব ও এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।

কৃষি অফিস জানায়, এলাকা ভেদে মুগের বপন সময়ের তারতম্য দেখা যায়। রবি মৌসুমে বরিশাল অঞ্চলের জন্য বপনের উত্তম সময় হচ্ছে পৌষ-মাঘ মাস (জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ হতে ফেব্রুয়ারির মধ্য ভাগ পর্যন্ত)। আষাঢ় মাসে (মধ্য জুন থেকে মধ্য জুলাই পর্যন্ত) অবিরাম বৃষ্টিতে মুগের ফল পচে যায়। চৈত্র মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে (মধ্য মার্চ) বীজ বপন সম্পন্ন করতে পারলে আষাঢ় মাসের আগেই ফসল সংগ্রহ করা যায় এবং ফল পচনের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়।

তীব্র তাপদাহের কারণে কৃষক-কৃষাণীরা ডাল তোলার জন্য সূর্য উঠার আগ থেকেই ক্ষেতে কাজ শুরু করে। সূর্যের তাপের তীব্রতার কারণে ক্ষেত থেকে ডাল তোলা সমস্যায় পড়তে হয় কৃষকদের। এছাড়া গাছগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বা গরু দিয়ে মাড়াই করে মুগডাল সংগ্রহ করা হয়।

গলাচিপার ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের কৃষক আ. ছালাম মৃধা জানান, ৬০ শতাংশ জমিতে মুগডাল আবাদ করেছেন। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে ট্রাক্টর বাবদ ২৭০০ টাকা, দৈনিক ৭০০ টাকা মজুরি বাবদ ছয় দিনে ৪২০০ টাকা, সার বাবদ ৪৫০ টাকা, ওষুধ বাবদ ১২২০ টাকা ও বীজ বপন করতে ১০০০ টাকা খরচ হয়েছে। তার উৎপাদিত ডাল হয়েছে দুই মণ। যার বাজার মূল্য ৮৪০০ টাকা। আরো কিছু ডাল ক্ষেতে হতে পারে।’

রতনদী তালতলী ইউনিয়নের কৃষক আমির হোসেন বলেন, মুগ ডাল চাষে ফলন ভালো পাওয়া যায়। জাপানে মুগ ডালের চাহিদা আছে। তারা এ ডাল দিয়ে বিভিন্ন ধরণের সুপ তৈরি করে। যা খুব সু-স্বাদু, পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত। তাই জাপানে আমাদের এলাকার মুগডাল রপ্তানীর সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় তিনি আরো জানান, ‘গলাচিপায় বর্তমানে প্রচুর খরা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে গরমে ডালের শাখা-প্রশাখা বাড়েনি। পাতা মুচরিয়ে রয়েছে। ফলন এ বছর কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জমিতে উপযোগী পরিবেশ না পাওয়ায় ডালের উৎপাদন কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলেই উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে।’

গলাচিপা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাহিদ হাসান বলেন, ‘আমাদের এখানে দেশী বা সোনা মুগ, বারি মুগ-০৬ এর চাষ হয়। বারি মুগ-৬ এর হেক্টর প্রতি ফলন ১ থেকে ১.৫ টন। বিগত তিন-চার বছর ধরে এই এলাকার মুগডাল গ্রামীন ইউগ্লোনা কোম্পানির মাধ্যমে জাপান রফতানি হচ্ছে। তীব্র তাপদাহে মুগডালের ফুল শুকিয়ে যাচ্ছে। মাটিতে রসের ঘাটতি দেখা দেয়ায় ডালের আকার ছোট হচ্ছে, ডালের ছড়ার সংখ্যা কম হচ্ছে।’

গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার জানান, ‘তীব্র তাপদাহে কৃষকরা কিছুটা বিপাকে রয়েছে। তবে ক্ষেতে সেচ দেয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে এলে ফলন বাড়ার সুযোগ রয়েছে।’