• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

করোনায় মারা গেলে গোসল ও জানাজার ইসলামি মূলনীতি

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২০  

সাধারণত কোনো মুসলমান মারা গেলে উপস্থিত মুসলিমদের ওপর ওই মৃত ব্যক্তির গোসল, জানাজা ও দাফন করা ফরজে কেফায়া। কিন্তু মুসলমানদের মধ্যে কেউ যদি মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তবে ইসলামের বিধান বা মূলনীতি কী হবে?

বর্তমান সময়ে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে ওই ব্যক্তিকে গোসল দেয়া, জানাজা দেয়া এবং দাফন করা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। এ ক্ষেত্রে ইসলামের মূলনীতি কী?

চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে তার গোসল, জানাজা ও দাফনে সংক্রমণ হয়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তাই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণের কথা বিবেচনা করে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির গোসল দেয়া, জানাজা ও দাফনের মূলনীতি হলো-
হাদিসে মহামারিতে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিকে শহীদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তি ঈমানদার হলে সেও শহীদি মর্যাদা লাভ করবে। আর এ ব্যক্তিকে শহীদ হিসেবে মনে করে গোসল, জানাজা না দিয়েই দাফন করা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ আলেমরা। অনেক ওলামায়ে কেরাম বলেছেন,
‘যদি চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা বলেন যে, করোনা বা মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কারণে ওই মৃত ব্যক্তির শরীরে এ ভাইরাস রয়েছে এবং তার কাছাকাছি গেলে, তার গোসল দিলে কিংবা তার জানাজা দিলে অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে বা প্রাণনাশের আশংকা রয়েছে তবে সে ক্ষেত্রে গোসল, জানাজা স্থগিত হতে পারে।’

ইসলামের মূলনীতি
মহামারি করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য কোনো সামাজিক কিংবা ধর্মীয় জনসমাগমে যাওয়া যেমন বৈধ নয়, তেমনি অন্য মুসলমানের ক্ষতি বা কষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এমন মৃত ব্যক্তির গোসল, জানাজা ও দাফন দেয়া ছাড়া দাফনেও কোনো বাধা নেই। কেননা, মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ব্যাপারে ইসলামের মূলনীতি হলো-
>> ‘যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৫৮)
>> لا ضرر ولا ضرار
(নিজে) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও (অন্যকে) ক্ষতিগ্রস্ত করার কোনো অবকাশ নেই।
>> أن الضرر يدفع قدر الإمكان
যতটা সম্ভব ক্ষয়-ক্ষতি প্রতিহত করতে হবে।
>> কষ্টকর বিধান সহজ বিধানকে আকর্ষণ করে।
>> ওজরের কারণে।

এছাড়া আল্লাহ তাআলা মানুষের ওপর কষ্টকর কোনো বিধান চাপিয়ে দেন না বলেও কুরআনে উল্লেখ করেন-
‘ আল্লাহ তাআলা কারো ওপর তার ক্ষমতার বাইরে দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না।’ (সুরাবাকারা : আয়াত ২৮৬)
‘ আল্লাহ তাআলা চান তোমাদের বোঝা হালকা করে দিতে এবং মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে।’ (সুরা নিসা : আয়াত ২৭)

চিকিৎসা বিজ্ঞানের উল্লেখিত মূলনীতির আলোকে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণের কথা চিন্তা করেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির গোসল ও জানাজা ছাড়াই দাফন করা যাবে বলেছেন ওলামায়ে কেরাম। আবার মৃত ব্যক্তিকে তায়াম্মুম দিয়ে, লাশ ছাড়াই গায়েবানা জানাজা দেয়া যাবে বলেছেন অনেকে।