• বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী আইইবির ৬১তম কনভেনশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে সরকার কাজ করছে ড. ওয়াজেদ মিয়া অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা

নবীজির শনে বেয়াদবির পরিণতি

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২০  

 


নবীজির সঙ্গে বেয়াদবির পরিণতি ভয়াবহ। স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নবীজির সঙ্গে বিদ্রুপকারীদের থেকে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কুরাইশ কাফেরদের মধ্যে দুষ্কৃতকারী একটি দল ছিল। এ দুরাচারীরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেওয়া, তাঁকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করা এবং তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে অগ্রগামী ছিল। তারা হলো—

১. ওয়ালিদ ইবনে মুগিরা

২. আসওয়াদ ইবনে মুত্তালিব

৩. আসওয়াদ ইবনে আবদে ইয়াগুস

৪. হারেস ইবনে আইতাল

৫. আস ইবনে ওয়ায়েল সাহমি।

একদিন জিবরাঈল আলাইহিস সালাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে এসে উপস্থিত হলেন। উপরোল্লিখিত ব্যক্তিদের দেওয়া কষ্টে অতিষ্ঠ হয়ে নবীজি জিবরাঈলের কাছে তাদের নামে অভিযোগ করলেন। এর কিছুক্ষণ পরই সেখান দিয়ে ওয়ালিদ ইবনে মুগিরা অতিক্রম করল। জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তার আঙুলের দিকে ইশারা করে বললেন, আমি তার জন্য যথেষ্ট। তারপর দেখা গেল আসওয়াদ ইবনে মুত্তালিবকে। জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তার চোখের দিকে ইশারা করে বলেন, আমি তার জন্য যথেষ্ট। তারপর এলো আসওয়াদ ইবনে আবদে ইয়াগুস। জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তার মাথার দিকে ইশারা করে বললেন, আমি তার জন্য যথেষ্ট। তারপর দেখা গেল হারেস ইবনে আইতালকে। জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তার পেটের দিকে ইশারা করে বললেন, আমি তার জন্য যথেষ্ট। সবশেষে দেখা গেল আস ইবনে ওয়ায়েল সাহমিকে। জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তার পায়ের দিকে ইশারা করে বললেন, আমি তার জন্য যথেষ্ট।

কিছুদিন যেতে না যেতেই আল্লাহ তাআলা তাদের থেকে প্রতিশোধ নিতে শুরু করলেন। তারা ঠিক সেভাবেই ধ্বংস হতে লাগল, যেভাবে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

ওয়ালিদ ইবনে মুগিরা একদিন খুজাআ গোত্রের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। ওই গোত্রেরই একজন তার তির-ধনুক ঠিক করছিল। হঠাৎ লোকটির হাত থেকে একটি তির ফসকে গিয়ে ওয়ালিদের আঙুলে লাগল। এতে তার আঙুল কেটে গিয়ে জখম হয়ে গেল। জখমের আঘাতে কিছুদিন সে ছটফট করতে করতে মারা গেল।

আসওয়াদ ইবনে মুত্তালিব একদিন তার সন্তানদের সঙ্গে গাছের নিচে বসে ছিল। হঠাৎ সে অজানা কারণে চিৎকার করে বলতে লাগল, ‘আমার ছেলেরা! আমাকে বাঁচাও! আমি মরে যাব!’ তার ছেলেরা বলল, কী হয়েছে? আমরা তো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। সে আবারও বলল, ‘আমি মরে যাব! তাকে থামাও! সে আমার চোখে কাঁটা ঢুকিয়ে দিচ্ছে।’

আসওয়াদ এভাবে চিৎকার করে করে আর্তনাদ করছিল আর তার সন্তানরা একই জওয়াব দিচ্ছিল—কই, আমরা তো এখানে কাউকেই দেখতে পাচ্ছি না। অবশেষে তার চোখ অন্ধ হয়ে গেল। আর এ অবস্থায়ই সে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেল।

আসওয়াদ ইবনে আবদে ইয়াগুসের মাথায় হঠাৎ বড় বড় ফোড়া বের হতে শুরু করল। তার সারা মাথাই জখমে ভর্তি হয়ে গেল। এ রোগে আক্রান্ত হয়েই সে মারা গেল।

হারেস ইবনে আইতালের পেট অজানা কারণে হলুদ রঙের পানিতে ভরে গেল। তার পেট ফুলে-ফেঁপে উঠল। পেটের ময়লা তার মুখ দিয়ে বের হতে শুরু করল। এই ভয়ংকর রোগে ভুগে ভুগে সে মারা গেল।

বাকি রইল আস ইবনে ওয়ায়েল। সে একদিন তার গাধায় চড়ে তায়েফে যাচ্ছিল। হঠাৎ তার গাধা এক কাঁটাতারের ঝোপে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল। এতে বিরাট একটি কাঁটা তার পায়ে বিঁধে গেল। সে ওই কাঁটার বিষে ছটফট করতে করতে মারা গেল। (আস-সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকি : ৯/৮)

এভাবে এক এক করে সব বেয়াদবই স্বীয় পরিণতি বরণ করে নিল।

আল্লাহ তাআলা সত্য বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই বিদ্রুপকারীদের বিরুদ্ধে তোমার জন্য আমিই যথেষ্ট।’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ৯৫)