• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৯  

জন্ডিস (Jaundice) আসলে কোনো রোগ নয়, এটি একটি রোগের লক্ষণ মাত্র। জন্ডিস হলে রক্তে বিলরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং ত্বক, চোখের সাদা অংশ এবং অন্যান্য মিউকাস ঝিল্লি হলুদ হয়ে যায়। এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। প্রতিরোধই এ রোগ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়।


জন্ডিসের কারণ :
রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়। সাধারণত লিভারের রোগই জন্ডিসের প্রধান কারণ। আমরা যা কিছু খাই তা লিভারেই প্রক্রিয়াজাত হয়। লিভার বিভিন্ন কারণে রোগাক্রান্ত হতে পারে। হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই ভাইরাসগুলো লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে যাকে বলা হয় ভাইরাল হেপাটাইটিস। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই জন্ডিসের প্রধান কারণ এ হেপাটাইটিস ভাইরাসগুলো। উন্নত দেশগুলোতে অতিরিক্ত মধ্যপান জন্ডিসের একটি অন্যতম প্রধান কারণ।

এ ছাড়াও অটোইমিউন লিভার ডিজিজ, বংশগত কারণসহ আরও নানান ধরনের লিভার রোগেও জন্ডিস হতে পারে। ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতেও অনেক সময় জন্ডিস হয়। তা ছাড়া থ্যালাসিমিয়া ও হিমোগ্লোবিন ই-ডিজিজের মতো যে সব রোগে রক্ত ভেঙ্গে যায় কিংবা পিত্তনালীর পাথর অথবা টিউমার হলে জন্ডিস হতে পারে। আবার লিভার বা অন্য কোথাও ক্যান্সার হলেও জন্ডিস হতে পারে। জন্ডিস মানেই লিভারের রোগ এমনটি ভাবা তাই একেবারেই ঠিক নয়।

জন্ডিসের লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ
১. চোখ ও প্রসাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়া; আবার সমস্যা বেশি হলে পুরো শরীর গাঢ় হলুদবর্ণ ধারণ করতে পারে।
২. শারীরিক দুর্বলতা।
৩. ক্ষুধামন্দা।
৪. জ্বর জ্বর অনুভূতি কিংবা কাঁপানি দিয়ে জ্বর আসা।
৫. বমি বমি ভাব অথবা বমি।
৬. মৃদু বা তীব্র পেট ব্যথা।
৭. অনেক সময় পায়খানা সাদা হয়ে যাওয়া।
৮. চুলকানি।
৯. যকৃত শক্ত হয়ে যাওয়া।

জন্ডিস প্রতিরোধে করণীয় :
১. হেপাটাইটিস এ ও ই খাদ্য ও পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
 
২. রক্ত, সিরিঞ্জ এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই সব সময় বিশুদ্ধ খাবার ও পানি খেতে হবে।
    
৩. হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস বি হওয়ার আশঙ্কা মুক্ত থাকতে হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস বি এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন।
    
৪. শরীরে রক্ত নেয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করে নিতে হবে।
    
৫. ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।
    
৬. মদ পান ও নেশাদ্রব্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
    
৭. নিরাপদ যৌন মিলন করুন।
   
৮. কল কারখানার নির্গত রাসায়নিক পদার্থ থেকে দূরে থাকুন।
    
৯. সেলুনে সেভ করার সময় অবশ্যই নতুন ব্লেড ব্যবহার করতে বলবেন।
    
১০. জন্ডিস অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণও হতে পারে তাই এই রোগ থেকে বাঁচতে সচেতন হতে হবে।

জন্ডিসের  চিকিৎসা :
ভাইরাল হেপাটাইটিসের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হেপাটাইটিসের রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হতে পারে। ভাইরাল হেপাটাইটিস সাধারণত ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণরুপে সেরে যায়। এ সময় ব্যথার ওষুধ যেমন, প্যারাসিটামল, এসপিরিন, ঘুমের ওষুধসহ অন্য কোনো অপ্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। এ সময়ে মরফিন কিংবা ঘুমের ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। অ্যালকোহলে আসক্তরা অবশ্যই অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। জন্ডিস হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধই সেবন করা ঠিক হবে না।