• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

পদ্মাসেতুর ৪ হাজার ৮০০ মিটার দৃশ্যমান

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২০  

পদ্মাসেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে ৩২তম স্প্যান 'ওয়ান-ডি'। আর এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৪ হাজার ৮০০ মিটার।

অর্থাৎ প্রায় ৫ কিলোমিটার।  

রোববার (১১ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২২ মিনিটে স্প্যানটি বসানো সম্পন্ন হয়।  

এর আগে সকাল ৭টা থেকে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। শনিবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৯ ঘণ্টা চেষ্টা করেও পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়নি। আবহাওয়াসহ সব কিছু অনুকূলে থাকায় রোববার স্প্যানটি বসানো সম্ভব হলো।

এর আগে, শনিবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চেষ্টা চলে। কিন্তু পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি নোঙর করতে না পারায় ওই দিনের কার্যক্রম স্থগিত করে পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ধূসর রঙয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানকে বহন করে রওনা দেয় ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন 'তিয়ান-ই' ভাসমান ক্রেনটি। এরপর প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছায় ওইদিন দুপুর ২টার দিকে। এরপর থেকে স্প্যানবহনকারী ক্রেনটি নোঙর করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে আর করতে পারেনি। এরপর রাত থেকে সেখানেই অবস্থান করে ক্রেনটি।

পদ্মাসেতু সূত্র জানায়, সেতুতে মোট ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাকি স্প্যানগুলো বসিয়ে দেওয়া হবে। তাদের লক্ষ্য, আগামী বছর সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা। এখন পদ্মায় বন্যার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্রোতের তীব্রতাও স্বাভাবিক গতিতে ফিরেছে। ফলে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজেও গতি ফিরেছে।

পদ্মাসেতুর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সেতু নির্মাণে প্রায়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাব। এরই মধ্যে হাজার ছাড়িয়েছে রোড স্লাব বসানো। এছাড়া ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্লাব বসানো হবে, এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ৫০০টির বেশি। পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মাসেতুর কাঠামো।