• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক

সুদের বোঝা কমাতে সরকারের ২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২০  

বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের নেওয়া ঋণের সুদের বোঝা কমাতে সরকার দুই হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এটি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ১৯ তম বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ।

রবিবার সকালে গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সে বক্তৃতাকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু দুই মাসে সুদ স্থগিত করা ছিল। এখানে সুদের পরিমাণ ১৬ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা। এই সুদের মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ভর্তুকি দিবে। যা আনুমানিকহারে ঋণগ্রহীতাদের আর পরিশোধ করতে হবে না।’

এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশকালে এই বক্তৃতা করছিলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু দীর্ঘদিন সবই বন্ধ ছিলো। এখন আমরা আস্তে আস্তে সবকিছু উন্মুক্ত করে দিচ্ছি। অনেকই ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছেন। যেহেতু তাদের ব্যবসা চালাতে পারেনি সেখানে ঋণভারে যাতে জর্জরিত না হয়। তার জন্য আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা এক লাখ কোটি (এক লাখ এক হাজার ১১৭ কোটি টাকা) টাকার ওপরে বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি যেটা আমাদের জিডিপির ৩ দশমিক ৬ ভাগ। এত প্রণোদনা পৃথিবীর অন্যকোনো দেশ দিয়েছে কি না আমরা জানি না।’

ইতিপূর্বে সরকার ১৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে বসে আমরা আরেকটা প্যাকেজ ঘোষণা করছি। সেটা হলো যেহেতু দুই মাসে সুদ স্থগিত করা ছিল। এখানে সুদের পরিমাণ ১৬ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা। এই সুদের মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ভর্তুকি দিবে। যা আনুমানিকহারে ঋণগ্রহীতাদের আর পরিশোধ করতে হবে না। তাদেরকে এইটুকু আমরা মুক্ত করে দিচ্ছি। আর সুদের যে অবশিষ্ট অর্থ সেটা ১২ মাসের কিস্তিতে ঋণগৃহীতারা বাণিজ্যিক ব্যাংকে পরিশোধ করবে। অর্থ্যাৎ যেটা প্রতি মাসে দিতে হতো, এটা এই দুইমাসে যেহেতু দিতে পারেনি, তাই আমরা ১২ মাসের একটা সময় দিয়ে দিচ্ছি। এতে ধীরে ধীরে তারা বাকিটা শোধ করতে পারবে সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

সরকার এই দুইহাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ায় আনুমানিক এক কোটি ৩৮ লাখ ঋণগ্রহীতা উপকৃত হবেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা উপকার পাবেন, কারণ এই কোভিড ১৯ কারণে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সব বন্ধ ছিল। কাজেই সেই কারণে এই সুযোগটা আমরা তাদের দিয়ে দিচ্ছি। যাতে তারা তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য চালাতে পারে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ২ হাজার কোটি টাকাসহ সরকার ঘোষিত ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজের মোট পরিমাণ দাঁড়ালো এক লাখ তিন হাজার ১১৭ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। আমি জানি না পৃথিবীর অন্যকোনো দেশ এভাবে দিয়েছে কি না। কিন্তু আমরা সেভাবে এই সুযোগটা দিচ্ছি। এর বাইরে আমরা কওমি মাদরাসা ও মসজিদে ভিন্নভাবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি।’

এসময় গণভবন অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।