পর্যটনের অপার সম্ভাবনা নিয়ে জেগে উঠেছে পটুয়াখালীর সোনার চর
বরিশাল প্রতিবেদন
প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০১৯
চার কিলোমিটার সমুদ্রসৈকত। সাজানো–গোছানো বনভূমি। দ্বীপের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া আঁকাবাঁকা খাল। আছে পাখি, বন্য প্রাণী। আর চারপাশে নিরিবিলি পরিবেশ। এখানকার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য সবার চোখ জুড়িয়ে দেবে।
পটুয়াখালীর সমুদ্রতটের সোনার চর ছবির মতো সুন্দর। কিন্তু অবকাঠামো আর যাতায়াতের সুবিধা না থাকায় সেখানে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠছে না।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, পটুয়াখালীর গলাচিপা থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব এবং পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে ৪০ কিলোমিটার পূর্বে বুড়াগৌরাঙ্গ নদের মোহনায় বঙ্গোপসাগরে সোনার চর দ্বীপটির অবস্থান। সোনার চর পূর্ব-পশ্চিমে ৪ কিলোমিটার এবং উত্তর দক্ষিণ আড়াই কিলোমিটার। মোট আয়তন ১০ বর্গকিলোমিটার।
পটুয়াখালী থেকে লঞ্চ অথবা বাসে গলাচিপা। সেখান থেকে লঞ্চে করে চর মোন্তাজ। তারপর ট্রলারে করে সোনার চরে যাওয়া যায়। গলাচিপা থেকে সকাল সাতটায় এবং বেলা দেড়টায় চর মোন্তাজের উদ্দেশে লঞ্চ ছেড়ে যায়। ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ টাকা। এ ছাড়া গলাচিপা ও গলাচিপার পানপট্টি থেকে ট্রলার যাচ্ছে চর মোন্তাজে। পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে ট্রলারে করে প্রায় আড়াই ঘণ্টায় সোনার চরে পৌঁছানো যায়।
বুড়াগৌরাঙ্গ নদের মোহনার একটু দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বুকে ষাটের দশকে জেগে ওঠে এই দ্বীপ। দ্বীপটি ধীরে ধীরে ফসল ফলানোর উপযোগী হয়। পটুয়াখালী এবং এর আশপাশে নদী ভাঙন কবলিত মানুষজন এই চরে এসে আশ্রয় নেয়, ফসল ফলায়। পৌষ মাসে পুরো দ্বীপ সোনালি ধানের রঙে সোনা বরণ ধারণ করে।
সেখান থেকে এর নাম হয় সোনার চর। এই চরের আশ্রিতদের ঝড়–জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করতে ১৯৬৫-১৯৬৬ সালে প্রথম বন বিভাগ এই চরে কেওড়া, সুন্দরী, গড়ান, হেতাল, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপণ করে বনায়ন শুরু করে।
সত্তরের প্রলয়ংকরী জলোচ্ছ্বাস লন্ডভন্ড করে দেয় সোনার চরকে। এখানে আশ্রিত দেড় শতাধিক পরিবার ভেসে যায় ঝড়–জলোচ্ছ্বাসের প্রবল তোড়ে। গাছপালা যা ছিল, তা–ও দুমড়েমুচড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সোনার চর পরিণত হয় বিরান ভূমিতে। জলোচ্ছ্বাসের পর কয়েক বছরে সোনার চরে ঝোপ-জঙ্গল জন্মায়। ১৯৭৫ সালে পটুয়াখালী বন বিভাগ সোনার চরে আবার নতুন করে বনায়নের দায়িত্ব নেয়। তাঁরা দ্বীপের সাড়ে পাঁচ হাজার একর জমিতে কেওড়া, সুন্দরী, খুলসি, কড়ই ইত্যাদি গাছের চারা রোপণ করে। এ ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ এখানে আপনা-আপনি জন্মায়। এসব উদ্ভিদ সোনার চরকে পরিণত করে এক অপরূপ বনভূমিতে।
নিভৃত সোনার চরে শুধু নানান ধরনের বৃক্ষের সমাহারই নয়, এখানে রয়েছে প্রাণীর সমাগম। শিয়াল, মহিষ, বন্য শুয়োর, বানর এ বনের বাসিন্দা। ১৯৯৫ সালের পর সোনার চরে দুই দফায় নয়টি হরিণ ছাড়া হয়। এখন তাদের সংখ্যা কী পরিমাণ, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান জানা না গেলেও বনে অনেক হরিণের দেখা মেলে। সৈকতে চোখে পড়বে লাল কাঁকড়ার বিচরণ। দেখা মিলবে হরেক রকম পাখিরও। শীতের মৌসুমে অতিথি পাখির আগমন ঘটে এই দ্বীপে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানায়, সোনার চরকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালে সোনার চরকে বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকো ট্যুরিজম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সোনার চরে পর্যটকদের ওঠানামার জন্য জেটি নির্মাণ, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, হরিণ দেখার প্ল্যাটফর্ম, পিকনিক স্পট, পায়ে হাঁটা পথ নির্মাণ, পর্যবেক্ষণকেন্দ্র, বন্য প্রাণীর সুপেয় পানির জন্য পুকুর খনন, ছাউনি নির্মাণ, কাঠের সেতু, কর্মচারীদের ব্যারাক হাউস, বসার ব্যবস্থার জন্য বেঞ্চ ইত্যাদি ।
পরে ২০১৪ সালে সোনার চরে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জরুরি ভিত্তিতে দুটি হেলিপ্যাড, বিশ্রামাগার, অফিস ভবন, টয়লেট, ইট বিছানো সড়ক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ২০১৬ সালে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে সেগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মাহবুব রব্বানী বলেন, সোনার চর একটি আদর্শ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। তবে এ জন্য যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন দরকার। তাহলে পর্যটকদের যাতায়াত বাড়বে এবং আরও পরিচিতি পাবে সোনার চর।
রাজধানী শহর ঢাকা থেকে সরাসরি লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা করা হলে পর্যটকেরা সহজেই সোনার চরে আসতে পারবেন। কুয়াকাটা থেকে সি-ট্রাক অথবা অন্য কোনো উন্নত জলযানের ব্যবস্থা করা গেলে খুব সহজে এবং কম সময়ে সোনার চরে পৌঁছানো সম্ভব। এ ছাড়া গলাচিপা থেকে সোনার চর পর্যন্ত লঞ্চের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পর্যটকদের আবাসনের জন্য দ্বীপে অবকাশকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলে সোনার চরে পর্যটকদের আগমন আরও বাড়বে।
পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে সোনার চরে একটি বিট অফিস রয়েছে। সেখানে একজন বিট কর্মকর্তা ও ছয়জন বন কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন। পর্যটকদের কাছে সোনার চর আকর্ষণীয় করতে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
- গরমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়লে দ্রুত যা করবেন
- বরফ পানি দিয়ে গোসল কি শরীরের জন্য ভালো?
- তরমুজের ললি আইসক্রিম বানাবেন যেভাবে
- ধূসর ছবির ঝকঝকে প্রিন্ট!
- ভেদরগঞ্জে জেলেদের মাঝে জাল ও ছাগল বিতরণ
- দেশের উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সফল নেত্রী
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা প্রতিবাদে ভোলায় ছাত্রলীগের কর্মসূচি
- বরিশালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য সর্বজনীন পেনশন মেলা
- বন্ধুত্বপূর্ণ সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে তুর্কি জাহাজ
- মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্বে শামসুল হক ফাউন্ডেশন
- আন্তর্জাতিক চাহিদার প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের আহ্বান
- অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর
- হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি
- সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল
- সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হবে গভর্নর
- সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে
- প্রবাস আয় বাড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স কার্ড প্রবর্তনের সুপারিশ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়নে বসবে প্রশাসক
- রোহিঙ্গা মামলা চালাতে আর্থিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- প্রত্নসম্পদ বেহাত হওয়া ঠেকাতে নতুন আইন
- ইপিজেড পাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল, আসবে দেড়শ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ!
- নির্বাচনে সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না: বরিশালের এসপি
- চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাইটার জেটি, বাড়ছে সক্ষমতা
- ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই খুন
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
- হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত
- হাওড়-দক্ষিণাঞ্চলের কৃষক ৭০ শতাংশ ভর্তুকি, অন্যরা ৫০
- গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৭৬.২৫ পেয়ে প্রথম লামিয়া
- বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর সাথে স্বাচিপ নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- ৭১ বছর পর সূর্যের কাছে আসছে এই ধূমকেতু, দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও
- জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- বরিশাল প্লানেট পার্কের উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র
- খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- বরিশালে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল সহ ৬ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য আটক
- বরিশালে টিউবওয়েলে উঠছে না পানি, চরম দুর্ভোগে মানুষ
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম শূন্যের কোটায় আনা হবে
- শুধু হিট স্ট্রোক নয়, তাপপ্রবাহে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- প্রস্রাবের যে সমস্যা মূত্রথলির রোগের লক্ষণ
- প্রথমবারের মত ইমাম ও এতিম হাফেজদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ
- স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার ফেসবুকে পিস্তলের ছবি দিয়ে হুমকির অভিযোগ
- প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে
- দফায় দফায় সংঘর্ষ বেধেছে বাস-থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের সাথে
- আজ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু