• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

এইদিনে ক্রিকেট বিশ্বে চমক দেখিয়েছিল বাংলাদেশ

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২১  

১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। খেলতে নেমেই বড় ধরনের চমক দেখান টাইগাররা। ক্রিকেট পরাশক্তি পাকিস্তানকে ৬২ রানের বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা দেন তারা। 

সেই পরাজয়ের স্মৃতি এখনও ভোলেননি ওয়াসিম আকরামরা।

বাংলাদেশ দলের বর্তমান অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ারও করেন ওয়াসিম।

গত বছর এক লাইভে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে গেলে আমি বলব– সেদিন আমাদের চেয়ে অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছিল বাংলাদেশ। আমরা ব্যাটিং ভালো করতে পারিনি। কারণ বাংলাদেশ ভালো বল করেছিল।  ওই হার পাকিস্তানিদের জন্য হতাশার হলেও বাংলাদেশের অনন্য অর্জন ছিল। এ জন্য আমি তাদের প্রশংসাও করেছিলাম। 

সেই ঐতিহাসিক জয়ের মূল নায়ক ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন।  ব্যাট হাতে ৩৪ বলে ২৭ রানের পর বল হাতে ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি। 

প্রথম ওভারেই শহীদ আফ্রিদিকে আউট করে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামানোর বার্তা দেন সুজন। পরে আরও ২ উইকেট নেন। 

দিনটি এলেই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন সুজন, আকরাম, পাইলট ও নান্নুরা।

আজ এক গণমাধ্যমকে সেই জয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ’সেদিন আমরা এতটাই খুশি হয়েছিলাম যে, ম্যাচশেষে ড্রেসিংরুমে ফিরে তো মনে হয়েছে, সবাই পাগল হয়ে গেছি!’  

বাংলাদেশ দলের এই সাবেক অধিনায়ক বলেন, খুশিতে পাগল হওয়ারই তো কথা। পাকিস্তানকে হারাব, এটা তো কেউ চিন্তাও করেনি! ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতার, সাকলাইন মুস্তাকের মতো বড় বড় তারকার বিপক্ষে খেলে হারিয়েছি তাদের। ওই সময় বোলিং আক্রমণের দিক থেকে পাকিস্তান ছিল অপ্রতিরোধ্য। তা ছাড়া কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশকে ওই প্রথম হারাই আমরা। আমাদের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পেছনেও সেই জয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সব মিলিয়ে ৩১ মের সেই দিনটি বাংলাদেশের জন্য বিরাট এক পাওয়া। 

তিনি যোগ করেন, ওই জয়ের পর একটা ঘোরে কেটেছে আমাদের দিন। মাঠ থেকে বেশি মজা হয়েছে হোটেলে ফেরার পর। হোটেলে সেদিন ইংল্যান্ডে বসবাসরত অনেক বাংলাদেশি এসেছিল।  অনেকে অনেক রকমের খাবার নিয়ে এসেছিল আমাদের জন্য। অনেক রাত পর্যন্ত সবাই মিলে আড্ডা দিয়েছিলাম।  বিজয়টি সেলিব্রেট করতে অনেক মজা করেছি সে রাতে। 

১৯৯৯ সালের ৩১ মে নর্দাম্পটনে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে শক্তিশালী পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় ওয়াসিম বাহিনী। ফলে আগে ব্যাট করতে নামে আমিনুল ইসলাম বুলবুল অ্যান্ড কোং। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৩ রান করেন তারা। 

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন আকরাম খান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে মিস্টার এক্সট্রার কাছ থেকে। এ ছাড়া ৩৯ রান করেন ওপেনার শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ।

জয়ের জন্য ২২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তানের টপঅর্ডার। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান ডাবল ফিগারে পৌঁছতেই পারেননি। দলীয় ৪২ রানে ৫ ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন।  শেষ পর্যন্ত ৪৪.৩ ওভারে ১৬১ রানে গুটিয়ে যান মেন ইন গ্রিনরা।  

ফলে অবিস্মরণীয় এক জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। বল হাতে দেশের হয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন। টার্নিং পয়েন্টে উইকেটগুলো নেয়ায় ম্যাচসেরা হন তিনি।