অপপ্রচার ও মিথ্যাচারেই ভরসা বিএনপির

টেলিভিশনের খবর, টকশো’তে নিয়মিত অযৌক্তিভাবে সরকারের সমালোচনা করছেন বিএনপির নেতা এবং বুদ্ধিজীবীরা। অথচ কথায় কথায় এ দলের নেতারাই বলে বেড়ান দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দেশ বিএনপি ও এর দোসররা মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে দেশ-বিদেশে অপপ্রচার চলাচ্ছে। দেশীয় এজেন্ট দিয়ে বিদেশি দু-একটি গণমাধ্যমেও অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছেন। যেন অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কয়েক মাস আগে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিন্নমত প্রকাশকারীদের ওপর সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে এটিকে ডাহা মিথ্যা বলে দাবি করেছেন দেশের সুশীল সমাজ।

তারা বলছেন, এর আগেও এ সংবাদ মাধ্যমটি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর নেপথ্যে ছিল বিএনপি-জামায়াতের বিদেশি মিত্রদের গভীর ষড়যন্ত্র। 

তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া। যার তথ্য প্রমাণও এরই মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন বহিষ্কৃত সিনিয়র নেতা  বলেন, বর্তমান সরকার যদি ভিন্নমতে সহনশীল না হতো, তাহলে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতাও সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারতেন না। জাতীয় সংসদে বিএনপির সাংসদ হারুন-উর রশিদ ও রুমিন ফারহানা তো কথায় কথায় অযৌক্তিকভাবে মন্ত্রীদের পদত্যাগ দাবি করেন। বিএনপি নিজে ভালো কিছুই করতে পারে না। অন্যের ভালো দেখলে এ দলের অনেকেরই গা জ্বলে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সাংগঠনিকভাবে ব্যর্থ বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে গুজব আর অপপ্রচারকেই ‘অস্ত্র’ হিসেবে বেছে নিয়েছে। সাংগঠনিকভাবে ব্যর্থ বলেই এ দলটি যেকোনো ইস্যুতেই রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নেয়ার জন্য সরকারবিরোধী অপপ্রচার চালায়।