• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

ডায়ালাইসিস কখন দরকার ?

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০১৯  

দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ডায়ালাইসিস চিকিৎসায় যখন ওষুধ দ্বারা রোগীর কোনো উন্নতি হয় না তখনই রোগীকে ডায়ালাইসিস চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। দীর্ঘমেয়াদি কিডনি বিকল হওয়া অর্থাৎ 'ক্রনিক রেনাল ফেইলিওর' শেষ স্তরে বা পর্যায়ে ডায়ালাইসিস করা হয়ে থাকে। আর এই কার্যক্ষমতা যখন ৯৫ ভাগের বেশি থাকে না, তখনই ডায়ালাইসিস চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
শতকরা ৫০ ভাগ ডায়ালাইসিস রোগী হার্টের জন্য আর শতকরা ১৫ ভাগ ইনফেকশনজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করে থাকেন। এই চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। একটি রোগীকে এই চিকিৎসায় বেঁচে থাকতে বার্ষিক ব্যয় প্রায় তিন লাখ টাকা। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে ক্রনিক রেনাল ফেইলিওর রোগীদের শতকরা ২০ ভাগের কম রোগী এই ডায়ালাইসিস চিকিৎসা পেয়ে থাকেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপাতালে বিনামূল্যে ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া মিরপুর ২ নম্বরের কিডনি ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। ডায়ালাইসিসের সময় হেপাটাইটিস, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইডস এসব ভয়ানক রোগের সংক্রমণ যেন না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

ডায়ালাইসিস দুই ধরনের : হেমোডায়ালাইসিস ও পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস
পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস :এই পদ্ধতিতে দুই লিটার ডায়ালাইসিস ফ্লুইড একটি নলের সাহায্যে পেটের পেরিটোনিয়াল ক্যাভিটিতে প্রবেশ করানো হয় এবং ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পর আবার বের করে নেওয়া হয়। এভাবে ৪৮-৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত ডায়ালাইসিস চালানো হয়। ফলে শরীরের দূষিত পদার্থগুলো বের হয়ে আসে এবং রোগীর সুস্থতা ফিরে আসে। 
হেমোডায়ালাইসিস (রক্তের মাধ্যম) :হেমোডায়ালাইসিসের উদ্দেশ্য হচ্ছে কিডনি অকেজো হওয়ার ফলে রক্তে জমাকৃত রাসায়নিক পদার্থকে বাইরে বের করে দেওয়া।
এই চিকিৎসা দ্বারা তিন থেকে চার সপ্তাহ কয়েকবার ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক কিডনি অকেজো (অ্যাকুইট রেনাল ফেইলিওর) রোগীদের সম্পূর্ণ ভালো করা সম্ভব।
দীর্ঘমেয়াদি কিডনি অকেজো রোগীদের নিয়মিত ডায়ালাইসিস করার জন্য এ-ভি ফিস্টুলা তৈরি করতে হয়।
সাধারণত হাতের কবজিতে এই ফিস্টুলা তৈরি করা হয়। ফিস্টুলা করার তিন থেকে চার সপ্তাহ পর এর মাধ্যমে ডায়ালাইসিস করা যায়।