কানে ব্যথা রোধে যা যা করণীয়
বরিশাল প্রতিবেদন
প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০১৯
কানে ব্যথা খুব কষ্টদায়ক ও অস্বস্তির একটি বিষয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এ ব্যাথা তীব্র হয়ে থাকে। কানে ব্যথা বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। ফলে ব্যথার কারণ জেনে নিয়ে তবেই এর চিকিৎসা শুরু করতে হবে। সচরাচর আমাদের কানে ব্যথা, কান ভারী লাগা বা কানের সমস্যা হয়ে থাকে। এর পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে কানের ইনফেকশন। আমাদের ধারনা শুধু মাত্র শীতকালে ঠান্ডা লেগেই কানে ইনফেকশন হয়। সব ক্ষেত্রে এ ধারনা সঠিক নয়। সারা বছরেই কানে ইনফেকশন হতে পারে। তবে কেন এই ইনফেকশন হয় এবং কী ভাবে তা রোধ করা সম্ভব, তা আগে জেনে রাখা ভাল।
কানের ইনফেকশন কেন হয়?
সাধারণত কানের বাইরের দিকে বা মিড্ল ইয়ারেই ইনফেকশন হয়ে থাকে। ভারতীয় ডাক্তার অর্জুন দাশগুপ্ত বললেন, ঠান্ডা লাগলে নাকের সর্দিটা কানের দিকে চলে গিয়ে ইনফেকশন বাধায়। বড় থেকে বাচ্চা সকলেরই কানের ইনফেকশন হতে পারে। এখন শরীর সুস্থ রাখতে অধিকাংশ লোকই সাঁতার কাটে। তার পরে কান পরিষ্কার করতে ইয়ার বাড ব্যবহার করে। ফলে খুব সহজেই কানে ব্যাকটিরিয়া প্রবেশ করে ও ইনফেকশন হতে পারে। এক্সটার্নাল ইয়ারে তখন ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। অনেকেরই স্বভাব থাকে কটন বাড দিয়ে সারাক্ষণ কান পরিষ্কার করার। সেটা আরও বিপজ্জনক। মনে রাখতে হবে, সেগুলো হল কটন বাড। ইয়ার বাড নয়। প্রত্যেকের কানেই একটা ওয়্যাক্সের স্তর থাকে, যা কানের অন্দরমহলকে বাইরের ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে। কিন্তু ঘনঘন কটন বাড দিয়ে কান খোঁচালে সেই স্তর নষ্ট হয়ে যায়। আর তার সঙ্গে যাঁরা সাঁতার কাটেন, তাঁদের ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কারণ সুইমিং পুলের জলে একাধিক মানুষ সাঁতার কাটেন। সেই জলে ইনফেকশনের ভয় থেকেই যায়।
এ ছাড়াও খুব ঠান্ডা লেগে আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে ইনফেকশন হলে তা পৌঁছে যেতে পারে কানে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ব্যথা হলে যা করতে হবে
বাচ্চাদের কানে ইনফেকশন প্রায়ই হয়ে থাকে। বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে তারা কানে হাতই দিতে দেয় না। সে ক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে তা নিয়ে বাবা মা চিন্তিত থাকে। এক্ষেত্রে বাচ্চার কানে বেশি হাত না দেওয়াই ভাল। টর্চ দিয়ে ভিতরে কী হয়েছে তা কান টেনে দেখার চেষ্টা করলে বাচ্চার আরও ব্যথা বাড়তে পারে। বরং অল্প অল্প করে সেঁক দেওয়া যেতে পারে। গরম তেল জাতীয় কোনও কিছু কানের ভিতরে দেবেন না। একই বাচ্চার বারবার ইনফেকশন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
যে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে
• বাচ্চারা যাতে কানে কিছু দিয়ে খোঁচাখুচি না করে, সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বাচ্চার সামনে আপনাকেও সংযত থাকতে হবে
• অনেক সময়ে গরম পানির ভাপ নিলেও কানের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।।
• কানে আঙুল দিয়ে খোঁচাবেন না। নখ বড় থাকলে তা থেকে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
• প্রত্যেকটি ইয়ারড্রপ ব্যবহারের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। কোনও মতেই পুরনো ইয়ারড্রপ ব্যবহার করবেন না।
বড়দের ক্ষেত্রেও মোটামুটি একই বিধান। কানে ব্যথা হলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে হালকা সেঁক নেওয়া যেতে পারে। কানে পানি ঢুকে গেলে অনেকেই ফের কানে পানি ঢুকিয়ে সেই কান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। সেটা কিন্তু একেবারেই উচিত নয়। বরং তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে যতটা পানি মুছে নেওয়া যায়, মুছে নিন। বাকিটা ঠিক সময় মতো বেরিয়ে যাবে।
কান পরিষ্কার রাখতে যা যা করতে হবে
কান পরিষ্কার রাখার জন্য বাইরে থেকে কিছু করার প্রয়োজন নেই। ডা. অর্জুন দাশগুপ্তের মতে, কানকে নিজের মতো থাকতে দিন। কান নিজেই নিজেকে পরিষ্কার রাখতে সক্ষম। কান পরিষ্কার করতে বারবার কটন বাড ব্যবহার করা, পানি দেওয়ার স্বভাব থাকলেই বরং কানে ইনফেকশনের আশঙ্কা বাড়তে পারে। তার চেয়ে বরং রোজ গোসলের পরে তোয়ালে দিয়ে কানের যতটা অংশ পারবেন, মুছে নিন। জোর করে কানের ভিতরে খোঁচাখুচি করতে যাবেন না।
যা সব ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে
• ছোট বাচ্চাকে কোলে শুইয়ে দুধ খাওয়ানোর সময়ে খেয়াল রাখবেন, তার কানে যেন দুধ চলে না যায়। অনেক সময়েই বাচ্চাদের কানে দুধ ঢুকে ইনফেকশন হওয়ার ভয় থাকে।
• সেফটিপিন বা কোনও কাঠি দিয়ে কখনওই কান খোঁচাবেন না।
• মোবাইলের সঙ্গে সকলেই প্রায় ইয়ারফোন ব্যবহার করে থাকেন। ইয়ারফোন কারও সঙ্গে শেয়ার না করাই ভাল। নিজের ইয়ারফোনও আলাদা বাক্সে ভরে ব্যাগে বা পকেটে ক্যারি করুন। ইয়ারফোন ব্যাগের মধ্যে ফেলে রেখে দিলে তাতে ধুলোবালি ও ব্যাকটিরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। কানে গোঁজার সময়ে তা সহজেই কানের ভিতরে প্রবেশ করে। ফলে ইনফেকশন হতে বেশি সময় লাগে না।
• কান ভারী লাগলে বা কানে শুনতে অসুবিধে হলে তখনই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
• অনেক সময়ে কান কিংবা গলায় ব্যথা হলেও তার কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তখন কানের গর্তের নীচের অংশে আঙুল দিয়ে ধরে মুখ হাঁ করার চেষ্টা করুন। এতে যদি কান আর গলার সংযোগস্থলে ব্যথা লাগে, বুঝতে হবে আর্থ্রাইটিস হয়েছে। টিএম (টেম্পোরো ম্যান্ডিবুলার) জয়েন্টে আর্থ্রাইটিস হলে এ রকম ব্যথা হতে পারে।
কানের ময়লা, ঊর্ধ্ব শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, খাদ্য অ্যালার্জি, পুষ্টির ঘাটতি, কানে আঘাত ইত্যাদি কানে সংক্রমণ হওয়ার বিভিন্ন কারণ। আর কানে ব্যথা, মাথাব্যথা, ঘুমে অসুবিধা, শুনতে অসুবিধা, কান দিয়ে পুঁজ পড়া, বমি ইত্যাদি কানের সংক্রমণের লক্ষণ।
কানের সংক্রমণ খুব খারাপ অবস্থায় গেলে তো অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে এর আগে অবস্থার উন্নতির জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে দেখতে পারেন।
১. জলপাইয়ের তেল
জলপাইয়ের তেলের মধ্যে রয়েছে পিচ্ছিলকারক পদার্থ। এটি কানের অস্বস্তি ভাব দূর করে। পাশাপাশি কানের সংক্রমণ কমায়। দুই থেকে তিন ফোঁটা হালকা গরম জলপাইয়ের তেল কানের ভেতর দিন।
২. রসুন
রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যানালজেসিক উপাদান। এটি ব্যথা ও সংক্রমণ কমায়। কয়েকটি রসুনের কোয়াকে কুচি করে কাটুন। এর মধ্যে দুই চামচ তিলের তেল দিন। এরপর গরম করুন। এরপর হালকা ঠান্ডা হলে দুই থেকে তিন ফোঁটা কানের মধ্যে দিন।
৩. তাপ
কানের ব্যথা কমাতে হটব্যাগে হালকা গরম পানি ভরে কানে ছ্যাঁক দিতে পারেন। এতে ব্যথা কমবে।
৪. পুদিনা
পুদিনা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং প্রদাহরোধ করে। কয়েকটি পুদিনা পাতা থেঁতলে রস বের করুন। দুই ফোঁটা রস কানে দিন। কানের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য এটি খুব প্রচলিত ঘরোয়া উপায়।
- গরমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়লে দ্রুত যা করবেন
- বরফ পানি দিয়ে গোসল কি শরীরের জন্য ভালো?
- তরমুজের ললি আইসক্রিম বানাবেন যেভাবে
- ধূসর ছবির ঝকঝকে প্রিন্ট!
- ভেদরগঞ্জে জেলেদের মাঝে জাল ও ছাগল বিতরণ
- দেশের উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সফল নেত্রী
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা প্রতিবাদে ভোলায় ছাত্রলীগের কর্মসূচি
- বরিশালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য সর্বজনীন পেনশন মেলা
- বন্ধুত্বপূর্ণ সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে তুর্কি জাহাজ
- মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্বে শামসুল হক ফাউন্ডেশন
- আন্তর্জাতিক চাহিদার প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের আহ্বান
- অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর
- হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি
- সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল
- সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হবে গভর্নর
- সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে
- প্রবাস আয় বাড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স কার্ড প্রবর্তনের সুপারিশ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়নে বসবে প্রশাসক
- রোহিঙ্গা মামলা চালাতে আর্থিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- প্রত্নসম্পদ বেহাত হওয়া ঠেকাতে নতুন আইন
- ইপিজেড পাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল, আসবে দেড়শ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ!
- নির্বাচনে সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না: বরিশালের এসপি
- চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাইটার জেটি, বাড়ছে সক্ষমতা
- ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই খুন
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
- হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত
- হাওড়-দক্ষিণাঞ্চলের কৃষক ৭০ শতাংশ ভর্তুকি, অন্যরা ৫০
- গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৭৬.২৫ পেয়ে প্রথম লামিয়া
- বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর সাথে স্বাচিপ নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- ৭১ বছর পর সূর্যের কাছে আসছে এই ধূমকেতু, দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও
- জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- বরিশাল প্লানেট পার্কের উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র
- খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- বরিশালে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল সহ ৬ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য আটক
- বরিশালে টিউবওয়েলে উঠছে না পানি, চরম দুর্ভোগে মানুষ
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম শূন্যের কোটায় আনা হবে
- শুধু হিট স্ট্রোক নয়, তাপপ্রবাহে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- প্রস্রাবের যে সমস্যা মূত্রথলির রোগের লক্ষণ
- প্রথমবারের মত ইমাম ও এতিম হাফেজদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ
- স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার ফেসবুকে পিস্তলের ছবি দিয়ে হুমকির অভিযোগ
- প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে
- দফায় দফায় সংঘর্ষ বেধেছে বাস-থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের সাথে
- আজ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু