• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু শহরের অদ্ভুত নিয়ম

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২০  

আপনার কি উচ্চতা-ভীতি আছে? তাহলে পেরুর লা রিঙ্কোনাডা আপনার জন্য নয়। কেননা শহরটি সমতল থেকে প্রায় পাঁচ হাজার একশ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এই শহরের বাসিন্দাদের পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতে বসবাসকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

অবাক করা বিষয় হলো, শহরে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষের বসবাস। আরো মজার ব্যাপার, এখানকার মানুষ মাত্র একটি কাজেই সারাদিন লেগে থাকেন। সেটা হলো স্বর্ণের খোঁজ!

বিশাল আন্দিজ পর্বতমালার যে অংশটুকু পেরু অঞ্চলে পড়েছে তার একদম শেষের দিকে গড়ে উঠেছে এই শহর।  যদিও এটি শুধু নামেই শহর। শহরের কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবেন না এখানে। খুব রুক্ষ আর কঠোর জীবন পাড়ি দিতে হয় তাদের। অনেক উঁচুতে অবস্থিত বলে এখানে অক্সিজেনের পরিমাণ কম এবং প্রচণ্ড ঠান্ডা।

প্রথম দিকে এখানকার অবস্থা মোটেও এমন ছিল না। সামান্য কয়েকটি পরিবার এই অঞ্চলে বাস করত। পরবর্তী সময় যখন এখানে স্বর্ণ পাওয়া যেতে শুরু করল, তখন বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ স্বর্ণের লোভে এখানে আসতে থাকে। তবে বাইরে ঠান্ডা হলেও স্বর্ণের খনির মধ্যে বেশ গরম। যে কারণে গরম এবং ঠান্ডা দুই পরিবেশেই এই শহরের মানুষদের থাকতে হয়।

এছাড়া এখানে যারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন, তারা অদ্ভুত একটি চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ পান। মজার ব্যাপার হলো, কোম্পানির কোনো বেতন গুনতে হয় না শ্রমিকদের জন্য। মাসে একদিন শ্রমিকদের স্বাধীনতা দেয়া হয়। অর্থাৎ বেতনস্বরূপ মাসে একদিন তারা খনি থেকে যে পরিমাণ স্বর্ণ উদ্ধার করতে পারবে সেটুকু তাদের হয়ে যায়।

এই শহরের মানুষের মূল সমস্যা আবর্জনা নিয়ে। নিজেদের ময়লাগুলো তারা শহরের পাশেই এক জায়গায় রাখা শুরু করেছিল। এখন সেই জায়গায় এত ময়লা জমেছে যে, পরিষ্কার করা রীতিমতো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাছাড়া পরিষ্কার করবেই-বা কে?

এখানে আরেকটি সমস্যা হৃদরোগ। কেননা এত উঁচুতে বসবাস করার কারণে তারা যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না। তারপরও মানুষগুলো শুধু স্বর্ণের লোভে বছরের পর বছর এখানেই পড়ে থাকে।