• রোববার ১২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

  • || ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী আইইবির ৬১তম কনভেনশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে সরকার কাজ করছে ড. ওয়াজেদ মিয়া অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী

পাক সেনাদের হাত থেকে বেঁচে এসেছিলেন আবেদ আলী

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৮  

১৯৭১ সালে পাক সেনারা নির্মম নির্যাতন চালিয়ে গলায় চাইনিজ কুড়ালের কোপ মেরে গর্তে যাকে ফেলে দিয়েছিল সেই টগবগে যুবক এখন বৃদ্ধ আবেদ আলী (৭০)। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়েও সে দিনের স্মৃতি মনে হলে আজও আঁতকে ওঠেন তিনি।

১৯৭১ সালে পাক সেনাদের নির্মম নির্যাতনের সস্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো জয়পুরহাটেও চলে হত্যাযজ্ঞ। আর এ জন্য পাক সেনারা বেছে নেয় জয়পুরহাটের সীমান্ত সংলগ্ন পাগলাদেওয়ান, ইছুয়া, নওপাড়া, চিরলা গ্রাম। পাগলাদেওয়ানে একটি কংক্রিট বাঙ্কার নির্মাণ করে পাক সেনারা। যা আজও ওই এলাকার মানুষের কাছে নির্মম হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী হয়ে আছে। ১৯৭১ সালের (বাংলা ৭ আষাঢ়) দিনটি ছিল শুক্রবার। জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য যখন মুসল্লিরা মসজিদে সমবেত ঠিক তখনই পাক সেনারা ৩০/৩২ জনকে ধরে নিয়ে যায় পাগদেওয়ান ও চিরলা মসজিদ থেকে। আক্রোশের কারণ ছিল কয়েকদিন পূর্বে পল্লীবালা-পাগলাদেওয়ান রাস্তায় নিজেদের পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে ৪ পাক সেনা নিহত হয়। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে পাক সেনারা অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে ওই এলাকার মানুষের ওপর। মসজিদ থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ৩০/৩২ জনের মধ্যে ছিলেন সে দিনের ২৩ বছরের টগবগে যুবক চিরলা গ্রামের এই আবেদ আলী।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রথমে দুই হাত পেছনে বেঁধে বাংকারে রাখা হয় তাকে। পরে পাশের সাহেব আলী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাত-পা বাঁধা আরো ৩৫/৪০ জন মানুষ ছিল। এক সঙ্গে লাইন করে গুলি করার প্রস্তুতি শেষ হতেই খবর আসে বাংকারে ফিরে নেওয়ার জন্য। বাংকারের পাশের বাড়িতে রেখে একটু দূরে কয়েকজনকে দিয়ে একটি গর্ত তৈরি করে নেয় পাক সেনারা। এরপর দু’জন করে হাত বেঁধে নির্যাতন করতে করতে গর্তের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মাথায় কোপ দেয় আর পা দিয়ে ঠেলে গর্তে ফেলা হয় লাশগুলো। অন্যদের মতো একই ভাগ্য বরণ করতে হয় আবেদ আলীকে। তাকেও কোপ দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় গর্তে। একটু একটু বৃষ্টি হচ্ছে, অনেক রাতে জ্ঞান ফিরে দেখেন তিনি গর্তে পড়ে আছেন। শরীর রক্তে মাখা। না খাওয়া শরীরে দুর্বল হয়ে পড়া আবেদ আলী ধীরে ধীরে সেখান থেকে উঠে পাশে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে পরের দিন বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। গলায় কোপ মারার সেই স্মৃতি চিহ্ন আজও জ্বল জ্বল করছে। সে দিনের কথা মনে হলে অজান্তে আঁতকে ওঠেন তিনি।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে আবেদ আলী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৭১ সালে নির্যাতনের শিকার হওয়া লোকজনের জন্য অনেক কিছু সহযোগিতা করছেন শুনেছি। কিন্তু আমার ভাগ্যে কিছুই জোটেনি। স্বাধীনতা বা বিজয় দিবস আসলে সাংবাদিকরা আসেন শুধু সাক্ষাতকার নেওয়ার জন্য। এ ছাড়া কেউ খোঁজ রাখেনা।’