• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

মিশেল ব্যাচেলেটের প্রতিবেদন

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি শব্দও নেই

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২২  

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট তাঁর প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি শব্দও বলেননি। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর শেষে যেসব দেশ ও অঞ্চলে মানবাধিকার এবং মানবিক অধিকার নিয়ে সমস্যা ও উদ্বেগ রয়েছে তা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন মিশেল।

ওই প্রতিবেদনে উল্লিখিত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নাম দেখা যায়নি। বাংলাদেশ, চীনসহ সাতটি দেশ সফর শেষে ব্যাচেলেটের সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশ ইস্যুতে তার মূল বক্তব্য ছিলো রোহিংগা সঙ্কট নিয়ে। রোহিঙ্গা ইস্যুকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন তিনি।

সেই সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সম্পর্কিত মানবাধিকারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসব ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী অর্জনগুলোও বিশেষভাবে স্বীকৃত হয়েছে মিশেল ব্যাচেলেটের প্রতিবেদনে।

বক্তব্যের শুরুতেই দুই দফায় চিলির শাসক হিসাবে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিশ্বের শীর্ষ মানবাধিকার ফোরামের প্রধান বলেন, তিনি জানেন দেশ পরিচালনা একটি কঠিন কাজ। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সবসময়ই নানা দাবি, সংকট ও সমস্যা থাকে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে সব সংকটই অতিক্রম করা যায়।

গেলো বৃহস্পতিবার জেনেভার হেড কোয়ার্টারের সংবাদ সম্মেলনে, সাত দেশ আলোচনার প্রসংগ এলেও তিনি সবচেয়ে বেশি সময় দেন বাংলাদেশ ইস্যুতে। যার পুরোটাই ছিলো রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ।

গেলো সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরের সময় যখন কক্সবাজারে শরণার্থী ক্যাম্পে যান, সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, একেকটি মানুষের গল্প ভুলবার নয়। যা তিনি পৃথিবীকে জানাতে চান।

মিশেল ব্যাচেলেট বলেন, সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা নারী, শিশু এবং পুরুষ মিয়ানমার থেকে অত্যাচারিত, নীপিড়িত অবস্থায় বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল।

মিয়ানমারের মানবাধিকার বিপর্যয় ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। দেশটির সেনাবাহিনী দক্ষিণ-পূর্বে কায়াহ এবং কাইনের পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিমে চীন রাজ্য এবং বার্মার কেন্দ্রস্থলে সাগাইং এবং ম্যাগওয়ে অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে।

প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, সেখানকার গ্রাম ও আবাসিক এলাকায় বিমান শক্তি ও কামানের ব্যবহার তীব্র হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার সাম্প্রতিক বৃদ্ধিও ইঙ্গিত দেয় যে দেশের সবশেষ মোটামুটি স্থিতিশীল এলাকা সশস্ত্র সংঘাতের পুনরুত্থান এড়াতে পারেনি।

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়গুলি প্রায়শই তাতমাদও এবং আরাকান আর্মিদের শিকার হয়েছে বা সরাসরি অভিযানের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। এক কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষের জন্য এখন মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।

রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লংঘনের জন্য মিয়ানমার সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, চীনসহ প্রতিবেশি রাষ্ট্র ও পুরো বিশ্বের এখন নজর দিতে হবে কক্সবাজারের দিকে।

প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রচারণা বন্ধ করতে, দ্রুত বেসামরিক শাসন পুনরুদ্ধারের জন্য এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত লঙ্ঘনের বিষয়ে জবাবদিহিতায় জোর দেয়ার জন্য সেনাবাহিনীর ওপর চাপ জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

নিজ দেশ চিলির মানবাধিকার রক্ষায় প্রশংসিত মিশেল। ২০১৯ এর জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশী মেক্সিকোর নাগরিকদের ওপর দমন নীপিড়নের নিন্দা জানিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশসহ অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং তিনি যে দেশগুলো ভ্রমণ করেছেন তার একটি তালিকা তৈরি করেছেন। দেশগুলো হলো বুরকিনা ফাসো, নাইজার, আফগানিস্তান, চীন, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, পেরু এবং বাংলাদেশ।

তিনি তার চার বছরের মেয়াদকালে সফর করা এসব দেশের যতজন মানবাধিকার কর্মী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলেছেন, সে বিষয়ে সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেন।

এর মধ্যে আফগানিস্তানের নারী মানবাধিকার কর্মীদের সাহসের প্রশংসা, মেক্সিকোর হারিয়ে যাওয়া মানুষদের মায়েদের শক্ত মনোবলের কথা, কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের কথা, জলবায়ু পরিবর্তন ও অবৈধ মাইনিংয়ের কারণে নানা ঝুঁকিতে থাকা পেরুর আদিবাসীদের অধিকারের কথা এবং বুরকিনা ফাসোতে অভ্যন্তরীণ বসতিহারা মানুষের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।