রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত হলেন ফায়ার ফাইটার শাকিল

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোয় আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত ফায়ার ফাইটার শাকিল তরফদারের দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ জুন) সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে একটি এম্বুলেন্সে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে শাকিলের মরদেহটি নেওয়া হয়। এরপর পরিবারের সদস্যদের শেষবারের মত দেখানো হয় তার মরদেহ। ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে শাকিলের দাফন সম্পন্ন হয়।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দীন বলেন, যারা অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় মারা যান, তারা সাধারণত শহীদ হন। শাকিলও শহীদ হয়েছেন। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।

এর আগে বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে শাকিল তরফদারের মরদেহটি শেষবারের মতো নেওয়া হয়েছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরে। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (এমপি), সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, কারা অধিদপ্তরের ডিজি এবং বিজিবি ডিজিসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার প্রথম জানাজা সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালীর শুকদাড়া গ্রামের সাত্তার তরফদার ও জেসমিন বেগমের ৩ ছেলের মধ্যে সবার ছোট শাকিল তরফদার (২৪)। ২০১৮ সালের জুনে খুলনার কমার্স কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থান ফায়ার সার্ভিসে চাকরি পান শাকিল। প্রথমে তিনি বটিয়াঘাটা ফায়ার স্টেশনে, পরে মোংলা ইপিজেড ফায়ার স্টেশনে বদলি হন। সেখান থেকে ছয় মাস আগে তাকে চট্টগ্রামের কুমিরা স্টেশনে পাঠানো হয় ফায়ার ফাইটার পদে।

গত ০৪ জুন রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার খবরে কুমিরা ইউনিটের অন্যান্যদের সঙ্গে তিনিও ছুটে গিয়েছিলেন আগুন নেভাতে। তবে নিয়তি বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের অন্য ৮ কর্মীদের সঙ্গে শাকিলকেও থমকে দেয়।

মুহূর্তেই শাকিলদের নিয়ে শেষ হয়ে গেছে স্বজনদের সব আশা সব স্বপ্ন। হয়তো দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি খুঁজে পাবে মূল রহস্য। শাস্তিও হবে কারো কারো। তবে শাকিলদের নিয়ে স্বপ্নগুলো কেবল বার বার খুঁজে ফিরবে স্বজনদের।