• বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী আইইবির ৬১তম কনভেনশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে সরকার কাজ করছে ড. ওয়াজেদ মিয়া অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

কারাগারে ডিভিশন সুবিধা পাচ্ছেন যারা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২০  

 

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার দেশের কারাগারগুলোতে বন্দির সংখ্যা ৮৭ হাজারেরও বেশি। এ সংখ্যা কখনও বাড়ে আবার কখনও কমে। তবে গত কয়েক বছরে এ সংখ্যা ৮৫ হাজারের নিচে নামেনি। কারাবিধি অনুযায়ী কয়েকটি ভাগে কারাগারগুলোতে বন্দিদের রাখা হয়। বয়োবৃদ্ধ, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের নিজস্ব উদ্যোগেই আলাদা সেলে রাখার চেষ্টা করে কারা কর্তৃপক্ষ। আর যারা কারাবিধি অনুযায়ী কিংবা আদালতের নির্দেশে ডিভিশন পেয়ে থাকেন তারা বাড়তি কিছু সুবিধা পান। তবে ভিআইপি কিংবা রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতা হলেও যদি সাজা হয়ে যায়, তখন কারা কর্তৃপক্ষ আর তাকে ডিভিশন সুবিধা দেয় না। বর্তমানে কারাগারে ডিভিশন সুবিধা পাচ্ছেন ২৮ জন।
কারা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কারাবিধি অনুযায়ী কারাগারে শ্রেণি (ডিভিশন) সুবিধা পেয়ে থাকেন সাবেক এমপি, মন্ত্রী, সিআইপি ও সরকারি কর্মকর্তারা। এছাড়া ডিভিশন সুবিধার জন্য যেকোনও বন্দি নিজের সামাজিক অবস্থান তুলে ধরে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের কাছে আবেদন করতে পারেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আদালত যদি কোনও বন্দিকে ডিভিশন সুবিধার আবেদন মঞ্জুর করে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় তখন সেই বন্দি ডিভিশন সুবিধা পেয়ে থাকেন।

যারা ডিভিশন পেয়ে থাকেন তাদের আলাদা রুম বা সেলে রাখা হয়। সেখানে খাট, ভালো বিছানা, টেবিল, চেয়ারসহ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের খাবারও সাধারণ বন্দির চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম। ডিভিশন পাওয়া বন্দিদের জন্য একজন করে সহকারী দেওয়া হয়। তারা সংশ্লিষ্ট বন্দির প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে দেন। এছাড়া কারাগারের বাইরে থেকে স্বজনদের দেওয়া খাবার যাচাই-বাছাই করে তাদের দিয়ে থাকে কারা কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে যেসব কারাবন্দি ডিভিশন সুবিধা পাচ্ছেন তারা হচ্ছেন: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার হওয়া এনএসআই’র সাবেক ডিজি ওয়াহিদুল হক, দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় গ্রেফতার হওয়া পুলিশের সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমান, ডিআইজি মিজানের সঙ্গে মামলা নিয়ে আঁতাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা এনামুল বাছির, মানবতাবিরোধী মামলার আসামি সাতক্ষীরার সাবেক এমপি মাওলানা আবদুল খালেক, দুদকের মামলায় কারা অধিদফতরের ডিআইজি প্রিজন্স (সদর) বজলুর রশিদ, সিলেট বিভাগের সাবেক ডিআইজি (প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিক,  সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহাম্মদ, সোনালী ব্যাংকের এজিএম এজাজ আহমেদ, বেসিক ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন, সমবায় অধিদফতরের উপ-নিবন্ধক মিজানুর রহমান এবং আজম রেজা (যিনি ঢাকা ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন)।

ডিভিশন সুবিধা পাওয়া অন্যদের মধ্যে দুদকের মামলায় গ্রেফতার হওয়া চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক জেলার সোহেল রানা ও অডিট অফিসার গোলাম হায়দার রয়েছেন। তারা আছেন কিশোরগঞ্জ কারাগারে। কাশিমপুর কারাগার-১ ও ২ এ ডিভিশন পাওয়া বন্দি আছেন ১৬ জন। তাদের মধ্যে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বালিশ কেলেঙ্কারির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া কয়েকজন প্রকৌশলী রয়েছেন। এরমধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হচ্ছেন, ওই প্রকল্পের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদুল আলম,  পাবনা গণপূর্ত উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন কুমার নন্দী, মোহাম্মদ আবু সাঈদ,  জাহিদুল কবির, শফিকুল ইসলাম ও রওশন আলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, মোহাম্মদ তাহাজ্জুদ হোসেন, আহমেদ সাজ্জাদ খান, সহকারী প্রকৌশলী তারেক খান ও  আমিনুল ইসলাম। বাকি ৩ জনের নাম জানা যায়নি।

কারাগারে কারা ডিভিশন পায় এবং কীভাবে দেওয়া হয় জানতে চাইলে কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক (প্রিজন্স) কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, যেকোনও প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা, এমপি, সাবেক এমপি, মন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী কিংবা উচ্চপদস্থরা ডিভিশন সুবিধা পেয়ে থাকেন। এছাড়া কোনও বন্দি ডিভিশন সুবিধার জন্য আদালতের নির্দেশনা নিয়ে আসলে তাকেও এ সুবিধা দেওয়া হয়।