• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

সংক্রামক নয়, হৃদরোগে মৃত্যুর হার বেড়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, একটা সময় দেশের অধিকাংশ মানুষ মারা যেত সংক্রামক রোগে। কিন্তু এখন সেটি নেই। তবে এখন দেশের প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয় কমিউনিকেবল ডিজিজে। আর এই ৬৫ শতাংশের মধ্যে ৩০ ভাগ মানুষের মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ। এখন এটি প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে সঙ্গে যুবক ও কিশোরদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে।

রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তন ‘ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল করি, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাই' শীর্ষক আলোচনা ও অ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের মধ্যে হার্টের অসুখ বাড়ার অন্যতম কারণ হলো খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট থাকা। এর বাইরে ধূমপান, খাবারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, ব্লাড প্রেসার, কায়িক পরিশ্রম কম করা, পরিবেশ দূষণও অন্যতম কারণ। এখন আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে কোন কোন খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট থাকে। সেসব খাবার পরিহার করতে হবে এবং ট্রান্স ফ্যাটমুক্ত খাবারগুলো গ্রহণ করতে হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে এটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই কাজে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য, কৃষি ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় জড়িত। তাই সবার সমন্বয়ে এটি মোকাবিলা করতে হবে। বর্তমানে স্বাস্থ্যখাতে চরম উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার স্বাস্থ্যখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কিছুদিন আগেই ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আটটি বিভাগে কিডনি হাসপাতাল করা হবে। প্রতিটি বিভাগে ক্যানসার হাসপাতালের অনুমতিও পাস হয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত। তিনি বলেন, হার্টের জন্য ট্রান্স ফ্যাট অনেকাংশেই ঝুঁকি বাড়ায়। এ বিষয় নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি ২০২৩ সালের মধ্যেই ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ ২ শতাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। আর খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে দেশের ৫০ শতাংশ অসুখ কমে আসবে। তাই এ বিষয়ে আলাদা আইন করার প্রয়োজন আছে বলেও আমি মনে করি।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে এসময় অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসাইন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারোয়া জাহান, ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিএসটিআই খাবারের মান নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রেখেছে। প্রয়োজনে আরও কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে বনস্পতি ঘি, ডাল্ডা, ভাজা তেল বা একই তেলে বারবার যেসব খাবারগুলো তৈরি করা হয়, সেগুলো আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে।