• রোববার ১২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

  • || ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী আইইবির ৬১তম কনভেনশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে সরকার কাজ করছে ড. ওয়াজেদ মিয়া অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী

চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে বিজয়ের পতাকা ওড়ে ১৭ ডিসেম্বর

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৮  

চট্টগ্রামে বিজয়ের পতাকা প্রথম উড়েছিল পলোগ্রাউন্ড ময়দানে ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর। এদিনই চট্টগ্রামকে পাকস্তানিদের দখলদারিত্ব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করেন বাংলাদেশের বীর মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী। চট্টগ্রামকে শত্রুমুক্ত করার পরই পলোগ্রাউন্ড ময়দানের পাশে স্থাপন করা হয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডারের সদর দপ্তর। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় যখন পাকিস্তানি সৈন্যরা আত্মসমর্পণ করছিল, তখনও চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সঙ্গে চট্টগ্রামে অবস্থানরত পাকিস্তানি বাহিনীর যুদ্ধ চলছিল।

একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রাম ১ নম্বর সেক্টরের অধীনে ২ নম্বর সাব-সেক্টরের সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, চট্টগ্রাম মুক্ত হওয়ার পর ভোর হওয়ার আগেই ১ নম্বর সেক্টরের সদর দপ্তর স্থাপিত হয়েছিল পলোগ্রাউন্ড ময়দানের পাশে। ১৭ ডিসেম্বর সকাল সাতটায় ১ নম্বর সেক্টরের উপ-অধিনায়ক ক্যাপ্টেন মাহফুজুর রহমান একটি লম্বা বাঁশের শীর্ষে বাংলাদেশের পতাকা বেঁধে পলোগ্রাউন্ড ময়দানে চট্টগ্রামে বিজয়ের পতাকা প্রথম উড়িয়ে দেন। সকাল আনুমানিক আটটার দিকে সদর দপ্তরে আসেন সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। তিনি সেখানে এসে সদর দপ্তরে সমবেত সকল মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে সামরিক কায়দায় চট্টগ্রামের মুক্ত মাটিতে প্রথম উত্তোলিত জাতীয় পতাকাকে স্যালুট প্রদান করেন। মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল জানান যে, তিনিও সেখানে জাতীয় পতাকাকে স্যালুট প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।

একাত্তরে ১ নম্বর সেক্টরের অধীনে চট্টগ্রাম শহরে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার অপারেশনের সফল গেরিলা যোদ্ধা, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও প্রকাশক বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর সকালে সেক্টর কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এসে অবস্থান নেন। এ সময় ভারতীয় বাহিনী চট্টগ্রাম ক্লাবের বিপরীত পাশে রেলওয়ের একটি বাড়িতে অবস্থান নেয়। ওই সময় যৌথ বাহিনীর কয়েকটি ইউনিট কুমিরা দখল শেষে হাটহাজারি, পাহাড়তলি হয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের মাঠে এসে অবস্থান নিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, এ সময় শহরে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, সার্কিট হাউজে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করছে। ফলে সার্কিট হাউজসহ আশেপাশের এলাকা চট্টগ্রামের নানাবয়সী মানুষের ভিড়ে লোকারণ্য হয়ে যায়। ভেতরে পাকিস্তানিরা সারেন্ডার করে যৌথ বাহিনীর কাছে। মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু ঘটনাস্থলে অবস্থান করার কারণে নিজের ক্যামেরায় অনেক মূল্যবান ঐতিহাসিক মুহূর্তের ছবিও তুলেন।