• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

‘ভালো লাগে না’ রোগের টিকা কী জানি না: প্রধানমন্ত্রী

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২১  

ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারের নেতিবাচক সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবকিছুতেই কিছু ভালো লাগে না নামে একটা রোগে তারা ভোগেন। এই রোগের কী চিকিৎসা আছে আমি জানি না, এর জন্য কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে কিনা তাও জানি না।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয় কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন ভ্যাকসিন আসার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো টেস্ট করা হয় এবং তারপর দেওয়া হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য হলো— কিছু কিছু লোক থাকে সব কিছুতেই একটা নেতিবাচক মনোভাব তারা পোষণ করেন।  হয়তো তাদের কাছ থেকে মানুষ কোনো সাহায্য পায় না। কিন্তু কোনো কাজ করতে গেলে সেখানে বিরূপ সমালোচনা, মানুষের ভেতরে সন্দেহ ঢোকানো, মানুষকে ভয়-ভীতি দেওয়া— এই ধরনের কিছু কাজ কারো কারো অভ্যাস আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সবসময়ই তাদের কোনো কিছুই ভালো লাগে না, যত ভালো কাজই করেন। সবকিছুতেই কিছু ভালো লাগে না নামে একটা রোগে তারা ভোগেন। এই রোগের কী চিকিৎসা আছে আমি জানি না, এর জন্য কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে কিনা তাও জানি না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু ভালো লাগে না— এই ধরনের রোগ কিন্তু পত্রিকা দেখলেই পাবেন। সেখানে সবকিছুতে একটা দোষ টোগানো (খোঁজা), এই ভ্যাকসিন আসবে কি আসবে না, আসলে পরে এত দাম হলো কেন, এটা চলবে কিনা, দিলে কী হবে— নানা প্রশ্ন তাদের।

সমালোচনাকারীদেরও টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যাই হোক, আমি চাই তারাও সাহস করে আসবেন, তাদেরও ভ্যাকসিন দিয়ে দেব। যাতে তারা সুরক্ষিত থাকেন। কারণ তাদের যদি কিছু হয় তাহলে আমাদের সমালোচনাটা করবে কে? সমালোচনার লোকও থাকা দরকার। থাকলে আমরা কিছু জানতে পারি, আমাদের কোনো ভুল-ভ্রান্তি হলো কিনা। সে জন্য তাদের আমি সাধুবাদ দিচ্ছি। তাদের সমালোচনা যত হয়েছে, আমরা কিন্তু তত বেশি দ্রুত কাজ করার একটা প্রণোদনা পেয়েছি।

দেশে প্রথম টিকা নেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপর পর্যায়ক্রমে চিকিৎসক হিসেবে প্রথম টিকা নেন মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. আহমেদ লুৎফর মবিন, তারপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশের সদস্য দিদারুল ইসলাম এবং সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদ।

বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদের টিকা গ্রহণ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে বলেন, মন চাচ্ছে আমরা গিয়ে নিয়ে আসি। আগে আগে নিলে বলবে আগে নিজেই নিলো, কাউকে দিলো না। সবাইকে দিয়ে নেই তারপর আমি নেব।

প্রথম টিকা নেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে জিজ্ঞেস করেন তোমার ভয় লাগছে না তো? জবাবে রুনু বলেন, না স্যার। এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব সাহসী তুমি। তুমি সুস্থ থাকো, ভালো থাকো। আরও অনেক রোগীর সেবা করো, সেই দোয়া করি।

প্রথম দফায় টিকা গ্রহণকারী ৫ জনের সঙ্গেই কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। সবাইকে অভিনন্দন জানান তিনি।

প্রথম পর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে ৬৯০ জনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রথম মাসে ৬০ লাখ মানুষকে করোনা টিকা দেওয়া হবে।

অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত করোনা ভাইরাসের টিকা সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সরকার এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইন্সটিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড নামের টিকার তিন কোটি ডোজ ক্রয় করেছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ভারতে উপহার হিসেবে পাঠানো ২০ লাখ ডোজ টিকা এবং কেনা টিকার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। পরবর্তী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসবে বাংলাদেশে।

অনলাইন রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) ছাড়া কেউ করোনা (কোভিড-১৯) টিকা পাবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা টিকার জন্য ডিজিটাল ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’তে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে এই অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।