ঈমানের মূল ভিত্তিসমূহ
বরিশাল প্রতিবেদন
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৯
ঈমানের রুকন বা মৌলিক ভিত্তি হলো ৬টি—১. আল্লাহর প্রতি ঈমান, ২. ফিরিশতাদের প্রতি ঈমান, ৩. কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান, ৪. রাসুলগণের প্রতি ঈমান, ৫. পরকালের প্রতি ঈমান, ৬. তাকদিরের ভালো-মন্দের প্রতি ঈমান।
• আল্লাহর প্রতি ঈমান
আল্লাহর প্রতি ঈমানের মূলকথা হচ্ছে আল্লাহর তাওহিদের প্রতি ঈমান আনা। তাওহিদ অর্থ এককত্ব। তাওহিদকে আলিমগণ বোঝানোর সুবিধার্থে ৩ ভাগে বিন্যস্ত করেছেন। ক. রুবুবিয়্যাহ, খ. উলুহিয়্যাহ, গ. আসমা ওয়াস সিফাত। এই তিন ক্ষেত্রেই আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। এত্থেকে কোনো অংশ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও জন্য নির্ধারণ করাটাই হলো শিরক।
১. রুবুবিয়্যাহ : এই প্রকার তাওহিদকে আবার দু’ভাগে বিন্যস্ত করা হয়। ক. তাকবিনি তথা সৃষ্টি ও প্রতিপালন, রিযিক প্রদান, সুস্থতা কিংবা জীবন ও মৃত্যু দানসহ মহাজাগতিক যেসমস্ত ব্যাপারাদি রয়েছে, যাতে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ক্ষমতা নেই। না কোনো নবি-রাসুল, না কোনো ওলি-আওলিয়া। খ. তাশরিয়ি তথা আইন প্রণয়ন, শরিয়াহ বা জীবনবিধান প্রদান, শাসন-কর্তৃত্ব, হাকিমিয়্যাহ, সার্বভৌমত্ব এসবই আল্লাহর অধিকার। এটাকে অনেকে তাওহিদ ফিত-তাশরি বা তাওহিদুল হাকিমিয়্যাহও বলে থাকেন।
২. উলুহিয়্যাহ : ইবাদাত ও আনুগত্য সংক্রান্ত যত ব্যাপারাদি রয়েছে এসবেরই একচ্ছত্র অধিকার মহান আল্লাহর। যেমন ক. আল-ইসলাম তথা আত্মসমর্পণ করা। খ. আল-ইহসান তথা নিষ্ঠার সাথে কাজ করা। দয়া-দাক্ষিণ্য ও সহানুভূতি প্রদর্শন, উপকার সাধন করা। ঘ. আদ-দুয়া তথা প্রার্থনা, আহ্বান করা। ঙ. আল-খাওফ তথা ভয়-ভীতি। চ. আর-রাজা তথা আশা-আকাঙ্ক্ষা। ছ. আত-তাওয়াক্কুল তথা নির্ভরশীলতা, ভরসা করা। জ. আর-রাগবাহ তথা অনুরাগ, আগ্রহ। ঝ. আর-রাহবাহ তথা ভয় ভীতি। ঞ. আল-খুশু তথা বিনয়-নম্রতা। ট. আল-খাশিয়াত তথা অমঙ্গলের আশংকা। ঠ. আল-ইনাবাহ তথা আল্লাহর অভিমুখী হওয়া, তাঁর দিকে ফিরে আসা। ড. আল-ইস্তিয়ানাহ তথা সাহায্য প্রার্থনা করা। ঢ. আল-ইস্তিয়াযাহ তথা আশ্রয় প্রার্থনা করা। ণ. আল-ইস্তিগাসাহ তথা বিপদ উদ্ধারের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা। ত. আয-যাবাহ তথা কুরবানি বা উৎসর্গ করা। থ. আন-নাযর তথা মান্নত করা ইত্যাদি।
৩. আসমা ওয়াস সিফাত : তথা নাম ও গুণাবলির ক্ষেত্রে আল্লাহ এক। এ প্রকার তাওহিদের মূল কথা হচ্ছে, কুরআন ও সুন্নাহয় আল্লাহ তায়ালার যেসমস্ত নাম ও গুণের বর্ণনা এসেছে, সেগুলো কোনো প্রকার বিকৃতিকরণ, বাতিলকরণ, ধরণ বর্ণনা, আকৃতি নির্ধারণ, সাদৃশ্য প্রদান ব্যতীত ঈমান আনা। এ সমস্ত নাম ও গুণের ওসিলায় দুয়া করা।
• ফিরিশতাদের প্রতি ঈমান
ফিরিশতারা আল্লাহর বিশেষ সৃষ্টি। তাদের সৃষ্টি উপাদান হলো নুর। তারা মানবীয় সমস্ত দুর্বলতার ঊর্ধ্বে। তাদের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। তারা আল্লাহর ক্ষমতায় অংশীদার নন, বরং তাঁর হুকুমের অনুসরণকারী মাত্র।
• কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান
আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে মানুষের পথপ্রদর্শনের লক্ষ্যে নবি-রাসুলদের প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। তাতে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের আকিদাহ-ইবাদাত সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াবলির পথনির্দেশনা ছিল। সমস্ত কিতাব ও সহিফার প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। বিশেষ করে চারখানা প্রধান কিতাব ও সহিফার প্রতি। তবে মনে রাখতে হবে যে, সেগুলো ছিল নিতান্তই কোনো জাতি-গোষ্ঠী কেন্দ্রীক, সামগ্রিক নয়। আল্লাহ তায়ালা শেষনবি মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর প্রতি অবতীর্ণ কুরআনকেই একমাত্র সার্বজনীন, সামগ্রিক হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
• রাসুলগণের প্রতি ঈমান
রাসুলগণের প্রতি ঈমানের অর্থ হলো, সুদৃঢ়ভাবে এই বিশ্বাস পোষণ করা যে, আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য তাদের মধ্য হতে একজনকে রাসুল হিসেবে পাঠিয়েছেন। সকল রাসুল সত্যবাদী, সত্যায়নকারী, পুণ্যবান, সঠিক পথের দিশারী, তাকওয়াবান ও বিশ্বস্ত। আল্লাহ তাঁদেরকে যা কিছু দিয়ে প্রেরণ করেছেন তারা তা পরিপূর্ণভাবে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। কোন অংশ গোপন করেননি বা পরিবর্তন করেননি। নিজে থেকে কোন সংযোজন বা বিয়োজন করেননি। সমস্ত নবি-রাসুলদের দাওয়াতের মূল বিষয় ছিল একটাই—তাওহিদ। কিন্তু শরিয়াহ তথা ইবাদাত-বন্দেগি ও আইন-কানুনে পার্থক্য ছিল। রাসুলদের মধ্যে যাদের নাম আমরা জানতে পেরেছি তাদের নামসমূহের প্রতি ঈমান আনা। যেমন মুহাম্মদ, ইবরাহিম, মুসা, ঈসা, নুহ (আলাইহিমুস সালাম)। আর যাদের নাম জানা যায়নি তাদের প্রতি এজমালিভাবে ঈমান আনা। আর সর্বশেষ রাসুল হচ্ছেন আমাদের নবি মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর পরে আর কোন নবি বা রাসুল নেই। আমরা পূর্বেকার নবি-রাসুলদের স্বীকৃতি দেবো, কাউকেই অস্বীকার করব না। কিন্তু আমরা আমল করব আমাদের নিকট প্রেরিত রাসুলের শরিয়তের আলোকে।
• পরকালের প্রতি ঈমান
পরকালের প্রতি ঈমানের অন্তর্ভুক্ত হলো, মৃত্যু ও এর পরবর্তী জীবন, কবরের শাস্তি ও শান্তি, পূনরুত্থান, হাশর, মিযান, হিসাব-নিকাশ, শাফায়াত, হাওযে কাওসার, পুলসিরাত, জান্নাত-জাহান্নাম ও মহান রবের দিদারসহ কুরআন ও সুন্নাহয় বিধৃত পরকাল সংক্রান্ত বিষয়াবলির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। শুধু বিশ্বাসই নয়, বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলনও জরুরি। বস্তুত পরকালে বিশ্বাস এমন একটি ব্যাপার যা ব্যক্তিকে আমূল পরিবর্তন করে দেয়। এই বিশ্বাসের অনুপস্থিতিতে সমাজ কতটা জঘন্য হতে পারে আজকের পশ্চিমাবিশ্ব তার বাস্তব উদাহরণ। বস্তুবাদ আমাদেরকে উন্নয়নের মোড়কে আবৃত নতুন এক জাহিলি সমাজ উপহার দিয়েছে। এর বিপরীতে পরকালে বিশ্বাসের চেতনাই পারে টেকসই উন্নয়নশীল সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মাণ করতে।
• তাকদিরের ভালো-মন্দের প্রতি ঈমান
তাকদির মহান রবের এক রহস্য। আল্লাহ তায়ালার আদল ও ইনসাফের দিকে খেয়াল রেখে আমাদের উচিত তাকদিরের প্রতি অকুন্ঠ বিশ্বাস স্থাপন করা। আল্লাহ সমস্ত সৃষ্টির স্রষ্টা, সমস্ত সৃষ্টির কর্মেরও স্রষ্টা। তিনি মানুষকে সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বেই তার তাকদির নির্ধারণ করেছেন। দুনিয়াতে মানুষকে প্রাথমিক ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন, ভালো-মন্দ উভয়টি বান্দাকে জানিয়ে দিয়েছেন, এরপরও চূড়ান্তভাবে কোনো কিছুই আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে নয়। মানুষ সসীম, মানুষের চিন্তাশক্তিও সসীম, আর আল্লাহ হলেন অসীম। সসীম কিছু দিয়ে অসীম কোনো কিছুকে পুরোপুরি আয়ত্ব করা যায় না।
- জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিমানা
- হাঁপানির কারণে দাঁত-মাড়ির ক্ষয় হচ্ছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- ত্বকে হিট র্যাশ উঠলে সারাতে কী করবেন?
- গরমে বেলের শরবতে মিলবে যত উপকার
- হোয়াটসঅ্যাপে আপনাকে কেউ ব্লক করলে বুঝবেন যেভাবে
- জুনের মধ্যে ৭০ ভাগ ধান-চাল সংগ্রহের নির্দেশ
- পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ॥ দাম কমছে
- আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, বললেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী
- গ্রাম আদালতের জরিমানার ক্ষমতা বাড়ল
- মহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ প্রস্তাব
- শেয়ার বাজারে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১১শ কোটি টাকা
- প্রথম সিনিয়র অফিশিয়াল বৈঠক করল বাংলাদেশ-জিসিসি
- পোশাক শিল্পের মাধ্যমেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে উন্নীত হবে: পাটমন্ত্রী
- বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
- শাকিব খানের ‘তুফান’ সিনেমার টিজার প্রকাশ, দেখা গেল চঞ্চলকেও
- রেলের ম্যানুয়ালি সিগন্যাল ব্যবস্থায় নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
- উড়োজাহাজ কিনতে সবচেয়ে ভালো প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়া হবে: মন্ত্রী
- এপ্রিলে বিজিবির অভিযানে ১৩৪ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ
- থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান
- থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে
- শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
- দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
- উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার আগে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিবেচনা করুন
- বিশ্বব্যাপী করোনার টিকা প্রত্যাহারের ঘোষণা অ্যাস্ট্রাজেনেকার
- ঝালকাঠিতে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের গণসংযোগ
- বৈরী আবহাওয়ায় মাদারীপুরে দুই উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহণ
- বিএনপির নেতারা নির্বাচনে হারবে জেনেই ভোট বর্জন করেছে -শাজাহান খান
- শাহ আমানতে পৌনে তিন কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার
- মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫০
- বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর সাথে স্বাচিপ নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- ৭১ বছর পর সূর্যের কাছে আসছে এই ধূমকেতু, দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও
- জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ
- র্যাবের অভিযানে শেবাচিম থেকে দালাল চক্রের ২৫ সদস্য আটক
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- বরিশাল প্লানেট পার্কের উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র
- খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি
- দফায় দফায় সংঘর্ষ বেধেছে বাস-থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের সাথে
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- বরিশালে টিউবওয়েলে উঠছে না পানি, চরম দুর্ভোগে মানুষ
- বরিশালে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল সহ ৬ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য আটক
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অবহেলা করলে হতে পারে যে গুরুতর রোগ
- ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম শূন্যের কোটায় আনা হবে
- শুধু হিট স্ট্রোক নয়, তাপপ্রবাহে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে
- প্রথমবারের মত ইমাম ও এতিম হাফেজদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ
- প্রস্রাবের যে সমস্যা মূত্রথলির রোগের লক্ষণ
- প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে
- স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার ফেসবুকে পিস্তলের ছবি দিয়ে হুমকির অভিযোগ
- আজ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু
- গরমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়লে দ্রুত যা করবেন