• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

কেন্দ্রীয় সম্মেলন ঘিরে টানটান উত্তেজনা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৯  


দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের আসন্ন কেন্দ্রীয় সম্মেলন ঘিরে এখন টানটান উত্তেজনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কারা আসবেন এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সারা দেশের উৎসুক নেতা-কর্মীরা গভীর কৌতূহলে নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশাও তা-ই। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি চার সহযোগী এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরেও রয়েছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য। মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা চান নেতৃত্বে গুণগত পরিবর্তন। সেই লক্ষ্য নিয়েই পদপ্রত্যাশী নেতারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সূত্রমতে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান আপসহীন নেতৃত্ব নেতা-কর্মীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিয়ে ত্যাগী ও যোগ্যদের নিয়ে দলকে ঢেলে সাজাতে চান শেখ হাসিনা। এর মধ্যে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার সঙ্গে বৈঠকসহ গণভবনে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনেও শেখ হাসিনা ইঙ্গিত দিয়েছেন দলে বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই হবে না। দলের উচ্চপর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, এবার আওয়ামী লীগে প্রাধান্য দেওয়া হবে তরুণ নেতৃত্ব। নেতৃত্ব নির্বাচনে পারিবারিক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং দলের দুঃসময়ে ভূমিকা রেখেছেন তাদের ঠাঁই দেওয়া হবে দলে। অনেক প্রবীণ নেতার এবার জায়গা হবে দলের উপদেষ্টা পরিষদে। পাশাপাশি অনেক হেভিওয়েট নেতা ছিটকে পড়তে পারেন কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে। সরকার ও দলকে আলাদা করার পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত। সে কারণে মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যকেও কেন্দ্রীয় কমিটির বাইরে রাখা হতে পারে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ  বলেন, ‘দলের আসন্ন সম্মেলন নিয়ে সবাই চিন্তিত। চলমান অভিযান নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন দেখা দিলেও সম্মেলনের মাধ্যমে এমন নেতৃত্ব খুঁজে বের করতে হবে, যাতে করে আমাদের ইমেজ বৃদ্ধি পায়। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের ঠাঁই দেওয়া হবে দলে।’ সূত্রমতে, আওয়ামী লীগের ১৭ সদস্যের প্রেসিডিয়ামে এবার বড় চমক আসতে পারে। বর্তমানে দায়িত্বে থাকা অনেকেই ছিটকে পড়তে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বয়সের ভারে পড়ন্ত কেউ কেউ ছিটকে যাবেন প্রেসিডিয়াম থেকে। আবার যারা নানাভাবে বিতর্কিত হয়েছেন তাদের কেন্দ্রীয় কাঠামোতে স্থান নাও হতে পারে। তারুণ্যনির্ভর কয়েকজন নেতা ভাগ্যক্রমে স্থান পেতে পারেন দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়ামে। প্রেসিডিয়াম সাজাতে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে এবার।

সম্পাদকম-লীর মধ্যে যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আসবে চমক। পরিচ্ছন্ন ইমেজের পাশাপাশি দক্ষ সংগঠক ও মেধাবীরাই বিবেচনায় আসবেন এ পদে। মাঠের ত্যাগী নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রত্যশা পূরণের বিষয় শেখ হাসিনার সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। সব মিলিয়ে এবার হবে এক অন্যরকম কমিটি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রের আগমুহূর্তে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন। এই সম্মেলন ঘিরেও প্রাণ ফিরেছে ঢাকা মহানগর নেতাদের। বরাবরই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ঢাকা মহানগর ইউনিট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। মহানগরের সম্মেলন ঘিরে রাজধানীর নেতা-কর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। নেতৃত্বে কারা আসছেন এ নিয়ে থানা-ওয়ার্ডের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা চলছে নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে। সামনে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। সে বিষয়টি মাথায় রেখে ভাবা হচ্ছে মহানগরের নেতৃত্ব।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি চার সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে সহযোগী সংগঠনগুলোর ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলনের তারিখ। সম্মেলন ঘিরে সরগরম হতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়সহ গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। পদপ্রত্যাশী নেতারা কর্মী-সমর্থক নিয়ে শোডাউন দিচ্ছেন। নিজেদের জনপ্রিয়তাও দেখানোর চেষ্টা করছেন তারা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা দলের সিনিয়র নেতাদের বাসায় ও অফিসে গিয়ে সালাম বিনিময় করছেন। আবার কেউ কেউ গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাতায়াত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, মূল দলের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠন ও মহানগরের পরিচ্ছন্ন ইমেজের ব্যক্তিদের স্থান দিতে চান দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যারা ক্যাসিনো কা-সহ টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিতে জড়িয়েছেন, দলকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের সহযোগী সংগঠনেও স্থান দেওয়া হবে না। সাবেক ছাত্রনেতা এবং ক্লিন ইমেজসম্পন্ন, দক্ষ ও পরীক্ষিত, দলের জন্য নিবেদিত, তাদেরও খুঁজছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান  বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলসহ সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনেও নির্ভেজাল, স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতাদের ঠাঁই দেবেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। নেত্রীর কাছে সবার তালিকা আছে, ভিডিও ও স্থিরচিত্র আছে। ক্যাসিনো-ম্যাসিনো কর্মকান্ডে যারা জড়িয়েছেন, তাদের তিনি দলে ঠাঁই দেবেন না। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগে এবার ক্লিন ইমেজের, পরীক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিদের জায়গা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’