• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী

বসন্তের আবহাওয়ায় শিশুর যত্নে করণীয়

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

চারদিকে এখন বসন্তের মিষ্টি বাতাস বইছে। প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাজে। নানান রঙের ফুলে প্রকৃতি এখন রানির বেশে সেজে আছে। প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গে সবার মনেই এখন ফাগুনের হাওয়া লেগেছে। সেই সঙ্গে এই ফাগুনের হাওয়া লেগেছে শরীরেও। সময়টি এখন না ঠাণ্ডা, আর না গরম।

মৃদু ঠাণ্ডা ও গরমের এ সময়ে বড়দের পাশাপাশি অনেক শিশুরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে! দিনের বেলা গরম আর রাতে ঠাণ্ডা এই আবহাওয়া শিশুরা ঠিক মানিয়ে নিতে পারে না বলেই বাড়ছে অসুস্থতা। চলুন জেনে নেয়া যাক এ সময় শিশুদের অসুস্থতা ও তার প্রতিকার সম্পর্কে-

এ সময় শিশুদের অসুস্থতা ও যত্ন

>> আবহাওয়ার ওঠা-নামার এ সময় সহজেই শিশুরা ঠাণ্ডা-জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত হয়। তাই শিশুকে এ সময় সঠিক পরিচর্যার মধ্যে রাখতে হবে।

>> এ সময় শিশুদের ভাইরাস জ্বর হতে পারে। এমনটি হলে প্রচুর পানি ও ফলের রস খাওয়াতে হবে শিশুকে। জ্বরের মাত্রা ১০০ ডিগ্রীর বেশি হলে অবশ্যই শিশুকে হাসপাতালে নিতে হবে।

>> শীতের শেষের দিকে, শিশুর শরীরে চুলকানি ও র‍্যাশের মতো বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দেয়। যা পরবর্তীতে মারাত্মক ফুসকুড়িওতে পরিণত হতে পারে। এ সময় অ্যালার্জি বেড়ে গিয়ে র‍্যাশ, ফুসকুড়ি বা চুলকানি হয়ে থাকে। এজন্য যেসব শিশুর অ্যালার্জি আছে, তাদের ফুল থেকে দূরে রাখুন। আর বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই শিশুকে মাস্ক পরিয়ে নিন।

>> বাইরে থেকে ফিরেই সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধুয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি শিশুকে নিয়মিত গোসল ও পরিষ্কার জামা-কাপড় পরাতে হবে।

এ সময় আরো কিছু উপায়ে শিশুর যত্ন নেয়া প্রয়োজন

>> শীত কম থাকলেও রাতের শেষের দিকে আবহাওয়া বেশ ঠাণ্ডা থাকে। হয়তো ঘুমের মধ্যে শিশু শরীর থেকে লেপ বা কম্বলটি সরিয়ে ফেলে। এজন্য শেষ রাতের দিকে শিশুকে গরম কাপড়ে ঢেকে রাখুন।

>> শিশুকে একেবারেই পাতলা কাপড় পরিয়ে রাখবেন না। আবার বেশি ভারী কাপড় পরিয়ে রাখলেও শিশুর ঘাম হতে পারে। এতেও শিশুর ঠাণ্ডা লাগতে পারে। তাই দিন ও রাতের তাপমাত্রা বুঝে শিশুকে পোশাক পরান।

>> আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। শিশুর শরীর জীবাণুমুক্ত রাখতে গোসলের পানিতে অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড বা নিমের পাতা মিশিয়ে গোসল করাতে পারেন।

>> ছোটদের ত্বক অনেক কোমল ও সংবেদশীল হয়ে থাকে। তাই এ সময় জেনে-বুঝে শিশুর ত্বকের যত্ন নিন। শীতের শেষের দিকে ত্বক আরো খসখসে হয়ে যায়। তাই শিশুর শরীরে বডি লোশন বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

>> দিনের বেলায় হালকা গরম থাকার কারণে শিশুর শরীর অনেক সময় ঘামে ভিজে যেতে পারে। এজন্য শিশুর বগল বা কুচকিতে ফাঙ্গাল ইনফেকশন যাতে না হয় এজন্য নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন এবং টেলকম পাউডার ব্যবহার করুন।

>> শিশুর শরীর ঘামছে বলে জোরে ফ্যান চালাবেন না। যদি ফ্যান চালাতেই হয়, তবে হালকা করে ছেড়ে রাখুন। রাতে ফ্যান না চালানো উচিত। অনেক সময় শুধু ফ্যানের বাতাসের কারণেও শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে।

>> ঋতু পরিবর্তনে শিশুরা ডায়রিয়াতেও বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই এ সময় শিশুর খাবারের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খেতে দিন। ফাস্টফুড কিংবা প্রকৃতিজাত কোনো খাবার শিশুকে খাওয়াবেন না।