• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

পাহাড়ে শান্তি প্রধানমন্ত্রীর অবদান: বাহাদুর উশৈসিং

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০২০  

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, শান্তিচুক্তির ফলে পাহাড়ে শান্তি বিরাজ করছে। উন্নয়ন হচ্ছে। সেখানে মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। সব কিছুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান।

বুধবার সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, তিন পার্বত্য জেলায় ছয়টি স্মার্ট ভিলেজ স্থাপনের কাজ চলছে। ১০ হাজার ৮৯০টি পরিবারের মধ্যে সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়া হয়েছে। গত ১০ বছরে পার্বত্য অঞ্চলের যুবকদের শিক্ষা ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা হয়েছে। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে পার্বত্য অঞ্চলের অগ্রাধিকার ভিত্তিক উন্নয়ন প্রয়োজন বলেও এসময় উল্লেখ করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর হতে অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের আয়তন প্রায় ১৩ হাজার ২৯৫ বর্গ কিলোমিটার। এই অঞ্চলের লোকসংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ। চাকমা, মারমাসহ অনেক উপজাতি এখানে বসবাস করেন। বিগত ১০ বছরে পার্বত্য অঞ্চলের যুবকদের শিক্ষাসহ প্রভৃতি উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের যে শান্তি চুক্তি হয়েছে সেটি আজ ২৩ বছরে পদার্পণ করল। শান্তি চুক্তিতে ৭২টি ধারা ছিল, তার মধ্যে আমরা ৪৮টি ধারা পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করেছি, ১৫টি আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে, আর ৯টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভূমি। এই ভূমি নিয়ে কথা বলছে, তারমধ্যে আমরা ২০১৭ সালে সংশোধিত আকারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সংসদে ভূমি কমিশন আইন পাস করেছি। ফলে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করার কাজটি করতে আমাদের কয়েকবার চেয়ারম্যান পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। এতে ভূমি নিষ্পত্তির জন্য কিছু বিধি-বিধান, আইন-কানুনের বিষয় রয়েছে। তাই আমরা ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। ভূমি মন্ত্রণালয় এটি নিয়ে কাজ করছে।

শান্তি চুক্তির ২৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে এমপি বাসন্তি চাকমা, সচিব সফিকুল আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারমান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আজ ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৩ বছর পূর্তি। ১৯৯৭ সালের এই দিনে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি জনসংহতি সমিতির সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।