• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

চীনের তৃতীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হবে বাংলাদেশ

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০  

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, চীনের বিনিয়োগের জন্য ৮০০ একর জমির একটি বিশেষ ইকোনোমিক জোন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার পরে চীনের তৃতীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হবে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-চীন উন্নয়ন সমন্বয়: অভিজ্ঞতা ও অবস্থা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের বেসরকারি খাত থেকে চীনাদের চাহিদামাফিক পণ্য ও সেবা রপ্তানি করতে চীনের সঙ্গে আমরা আরও নিবিড়ভাবে কাজ করছি। কৌশলগত অংশীদার হিসেবে চীনের সঙ্গে আমরা বিভিন্ন ধরণের আইডিয়া ও পলিসি শেয়ার করছি।

তিনি আরও বলেন, ফিরিয়ে নেওয়ার সুবিধা (বাই ব্যাক ফ্যাসিলিটি) দেওয়ার মাধ্যমে আরও বেশি চীনা বিনিয়োগ আনতে আমরা চীনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় দূরত্ব কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে। চীনের সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বাড়ছে বাংলাদেশে। এসবই দুই দেশের সম্পর্কের প্রকাশ।

শাহরিয়ার আলম বলেন, চাইনিজ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ইকোনোমিক জোন স্থাপনের জন্য চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৮শ একর জমি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে দক্ষ শ্রম থাকায় চীনারা উৎপাদনমুখী বিনিয়োগ করছে। সবশেষ গত দুইবছরে চীন ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় উৎপাদনমুখী কারখানা গড়েছে। আমরা আশা করছি চীনাদের তৃতীয় বিনিয়োগক্ষেত্র হবে বাংলাদেশ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের অনেক উন্নয়নের অংশীদার। গত এক বছরে চীন থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি এবং ১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে চীনে। এজন্য আমারা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। চীনে আরও বেশি পণ্য রপ্তানির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ। বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে চীন। চীন বাংলাদেশহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেরে সঙ্গে যৌথভাবে বিনিয়োগ করছে।  

শাহরিয়ার আলম বলেন, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নে বিপুল পরিমাণ তহবিল দিয়েছে চীন। এসব দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে চীন যৌথভাবে কাজ করায় সবাই সুবিধাভোগী। অর্থনৈতিক সর্ম্পক ছাড়া চীনের এসব কাজের অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই।

সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

আরও বক্তব্য দেন, চীনের বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ-জামান, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট সভাপতি হুমায়ন কবির, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. একে এনামুল হক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিস চেয়ারম্যান মেজর (অব) এএনএম মনিরুজ্জামান, চীনের ইউনান একাডেমী অব স্যোশাল সাইন্সের প্রফেসর চেং মিন, চীনা একাডেমি অব কনটেম্পরারি ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস-এর ডেপুটি ডিরেক্টর ওয়াং শিডা প্রমুখ।