• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

শোনা যায় মহাপ্রলয়ের পদধ্বনি!

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২০  

 

বর্তমানে আমরা এমন একটি সময় অতিক্রম করছি, যখন প্রতিটি মুহূর্ত ভয় ও আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। মরার ভয়, গুম হওয়ার ভয়, ধর্ষণের ভয়, জুলুমের ভয়, সম্পদ লুটপাটের ভয়, মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হওয়ার ভয়- চারিদিকে আজ কেবল ভয়েরই প্রতিধ্বনি। এই যে একবিংশ শতাব্দিতে হুহু করে ফিতনার দ্বারগুলো খুলে যাচ্ছে, একে একে তাসবির দানার ন্যায় ফিতনাগুলো ধেয়ে আসছে, মানুষের জীবন জুলুম-অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে; আপনি ভাবছেন চলমান এসব ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই ঘটছে! জি না, এসব স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এ হলো মহাপ্রলয়ের আগাম সতর্কতা। 

অধিকাংশ মানুষ কিয়ামতকে দূরে ভাবে; অথচ কিয়ামত তাদের চৌকাঠে কড়া নাড়ছে।

কিয়ামতের পূর্বমুহূর্তে এভাবেই ফিতনার স্রোত সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। ক্রমেই পৃথিবী অশান্ত হয়ে উঠবে। জুলুম-অনাচারে পৃথিবী কানায় কানায় ভরে যাবে। অকল্পনীয় সব পরিস্থিতির শিকার হবে মানুষ। বাবার হাতে মেয়ে, ভাইয়ের হাতে বোন ধর্ষিতা হবে। দুধের বাচ্চা থেকে শুরু করে আশি বছরের বুড়ি- কেউই এ নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাবে না। অহরহ মানুষ মরতে থাকবে। কারণে-অকারণে নিহত হতে থাকবে। প্রকোপ এতটাই বেশি হবে যে, হত্যাকারীও জানবে না, কেন সে হত্যা করছে, আর নিহত ব্যক্তিও জানবে না, কেন তাকে হত্যা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। অশ্লীলতার সয়লাব হবে। চারদিকে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে যাবে।

বিংশ শতাব্দি পর্যন্ত পৃথিবীতে যে পরিমাণ বিপর্যয় ও ফিতনা এসেছে, একবিংশ শতাব্দির মাত্র বিশ বছরেই তার কয়েকগুণ বেশি ফিতনা প্রকাশ পেয়েছে। এ মাত্রা আরও দ্রুতই বাড়বে এবং জুলুম তার শেষ স্তরে পৌঁছাবে। এরপর প্রতীক্ষিত সে ইমাম আসবেন এবং মহাপ্রলয়ের আগ দিয়ে নতুন করে পৃথিবীতে শান্তির কেতন ওড়াবেন।

কিয়ামতের বড় আলামত প্রকাশ হওয়ার আগে যতগুলো ছোট আলামতের কথা হাদিসে এসেছে, আমাদের অনুসন্ধানমতে তার ৯০% আলামতই চলে এসেছে। বর্তমানে ফিতনার যে গতি, তাতে বাকি ১০% পূরণ হতে কতদিন লাগবে, আল্লাহই ভালো জানেন। তবে খুব বেশি যে দেরি নেই, সেটা হলফ করেই বলা যায়।

সার্বিক বিবেচনায়ই বর্তমান সময়টি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নাজুক ও ভয়ংকর। যতটা না ভয়ংকর জান ও মালের ক্ষেত্রে, তার চেয়ে বেশি ভয়ংকর ইমান ও আমলের ক্ষেত্রে। এ সময়ে মুমিনরা সকাল-বিকাল কাফির হতে থাকবে; যেমনটি সহিহ মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে। আকিদা-মানহাজ সব গড়বড় হয়ে যাবে। আলিমরা দুনিয়ার বিনিময়ে আখিরাত বিক্রি করে দেবে। নামসর্বস্ব আলিম নামের জাহিলরা ধর্মীয় নেতায় পরিণত হবে। তারা নিজেরাও ধ্বংস হবে এবং অনুসারীদেরও ধ্বংস করবে। 
‘কিতাবুল ফিতান’ ও ‘আশরাতুস সাআহ’ অধ্যায়গুলোতে যা পড়েছি, প্রায় সবই আজ বাস্তবে ঘটতে দেখছি। খুব ভয়ে দিন কাটছে। প্রতিদিন ইমানকে যাচাই করে দেখতে হচ্ছে। আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন।