• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

আখেরাতে মুত্তাকিদের প্রতিদান

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

সুরা নাবা‌ কোরআনের ৭৮তম সুরা। এর আয়াত সংখ্যা ৪০টি, রুকু ২টি। সুরা নাবা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। দ্বিতীয় আয়াতে বর্ণিত ‘নাবা’ শব্দটি থেকে এ সুরার নাম হয়েছে নাবা। নাবা শব্দের মূল অর্থ সংবাদ, এখানে কেয়ামতের ও আখেরাতের সংবাদ বোঝানো হয়েছে। কেয়ামত ও আখেরাতের সংবাদই এ সুরার মূল আলোচ্যবিষয়।

সুরা নাবার ৩১-৪০ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,

(৩১)

إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ مَفَازاً

ইন্না লিলমুত্তাকীনা মাফাঝা।

মুত্তাকিদের জন্যে রয়েছে সাফল্য।

(৩২)

حَدَائِقَ وَأَعْنَاباً

হাদাইকা ওয়া আনাবা।

উদ্যান, আঙ্গুর,

(৩৩)

وَكَوَاعِبَ أَتْرَاباً

ওয়া কাওয়াইবা আতরাবা।

সমবয়স্কা, পূর্ণযৌবনা তরুণী।

(৩৪)

وَكَأْساً دِهَاقاً

ওয়া কাসান দিহাকা।

এবং পূর্ণ পানপাত্র।

(৩৫)

لا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْواً وَلا كِذَّاباً

লা ইয়াসমাউনা ফীহা লাগওয়াওঁ ওয়ালা কিযযাবা।

তারা তথায় অসার ও মিথ্যা বাক্য শুনবে না।

(৩৬)

جَزَاءً مِنْ رَبِّكَ عَطَاءً حِسَاباً

জাঝাআম-মির-রাব্বিকা আতাআন হিসাবা।

এটা আপনার রবের তরফ থেকে যথোচিত দান,

(৩৭)

رَبِّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الرَّحْمَنِ لا يَمْلِكُونَ مِنْهُ خِطَاباً

রাব্বিস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়ামা বাইনাহুমার-রাহমানি লা ইয়ামলিকূনা মিনহু খিতাবা।

যিনি প্রতিপালক আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী ও এদের অন্তর্বর্তী সমস্ত কিছুর, যিনি দয়াময়; তাঁর নিকট আবেদন-নিবেদনের শক্তি তাদের থাকবে না।

(৩৮)

يَوْمَ يَقُومُ الرُّوحُ وَالْمَلائِكَةُ صَفّاً لا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَقَالَ صَوَاباً

ইয়াওমা ইয়াকূমুর রূহু ওয়াল-মালাইকাতু সাফফাল-লা ইয়াতাকাল্লামূনা ইল্লা মান আযিনা লাহুর-রাহমানু ওয়া কালা সাওয়াবা।

যেদিন রূহ ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতিত কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্য বলবে।

(৩৯)

ذَلِكَ الْيَوْمُ الْحَقُّ فَمَنْ شَاءَ اتَّخَذَ إِلَى رَبِّهِ مَآباً

যালিকাল ইয়াওমুল-হাক্কু ফামান শাআ-ত্তাখাযা ইলা রাব্বিহী মাআবা।

এই দিবস সুনিশ্চিত; অতএব যার ইচ্ছা সে তার রবের শরণাপন্ন হোক।

(৪০)

إِنَّا أَنْذَرْنَاكُمْ عَذَاباً قَرِيباً يَوْمَ يَنْظُرُ الْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ وَيَقُولُ الْكَافِرُ يَا لَيْتَنِي كُنْتُ تُرَاباً

ইন্না আনযারনাকুম আযাবান কারীবাইঁ ইয়াওমা ইয়ানযুরুল-মারউ মা কাদ্দামাত ইয়াদাহু ওয়া ইয়াকূলুল-কাফিরু ইয়ালাইতানী কুনতু তুরাবা।

আমি তো তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম; সেদিন মানুষ তার কৃতকর্ম প্রত্যক্ষ করবে এবং কাফির বলবে, ‘হায়, আমি যদি মাটি হতাম!’

এ আয়াতগুলো থেকে যে শিক্ষা ও নির্দেশনা আমরা পাই

১. আখেরাতে মুত্তাকিরা প্রভূত সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী হবে। জান্নাতের অভাবনীয় নেয়ামতের জগতে তারা বসবাস করবে।

২. মিথ্যা ও অনর্থক কথা শোনা মানুষের জন্য কষ্টকর। কাফেররা অনেক সময় মুমিনদের মিথ্যা ও অনর্থক কটূ কথা শুনিয়ে কষ্ট দেয়। জান্নাতের আল্লাহর একটি নেয়ামত হলো সেখানে কেউ মিথ্যা বা অনর্থক কথা বলবে না, শুনবেও না।

৩. কেয়ামতের দিন মানুষ, জিন ও ফেরেশেতারাসহ সব সৃষ্টি আল্লাহর ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকবে। আল্লাহর সামনে কথা বলার মতো সাহস কারো থাকবে না। তিনি যাকে অনুমতি দেবেন বা কথা বলার নির্দেশ দেবেন, সেই শুধু কথা বলবে এবং সত্য কথা বলবে।

৪. আখেরাত, হিসাব ও প্রতিদানে বিশ্বাস মুসলমানদের মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বাস, আখেরাতে অবিশ্বাসী হয়ে কেউ মুমিন হতে পারে না। আখেরাতের বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে অন্তরে ধারণ করা আমাদের কর্তব্য।

৫. আখেরাতের বিশ্বাস যাদের অন্তরে আছে, তাদের কর্তব্য আখেরাতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা। আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা।

৬. আখেরাতে প্রত্যেকেই তাদের কৃতকর্ম সামনে দেখতে পাবে এবং কাফেরদের জন্য আফসোস ছাড়া কিছুই থাকবে না।