• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী

নিজ পরিবারেই ভিজিএফের ১৫ কার্ড দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারম্যান

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২০  

নড়াইলে নিজ পরিবারের সদস্যদের মাঝে ভিজিএফের ১৫টি কার্ড বিতরণ করার অভিযোগ উঠেছে হবখালী ইউনিয়নের বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা রিয়াজুল ইসলাম চঞ্চলের এর আপন ও সৎ মিলে তিন মা, দুই ভাই, বোন, ভগ্নীপতি, ভাইপো, চাচা, মামা, বেয়াইসহ ১৫ জনের নামে ভিজিএফ কার্ডের সন্ধান পাওয়া গেছে।

ইউপি চেয়ারম্যানের মা রিজিয়া বেগম (ক্রমিক-৪১), নুরজাহান বেগম (ক্রমিক-৬২) ও রোকসানা বেগমের (ক্রমিক-৮০) নামে ১০ টাকা দামের চালের কার্ড রয়েছে। এছাড়া বোন আইরিন (ক্রমিক-১০২) ও ভগ্নীপতি রওশন শেখের (ক্রমিক-১০৩) নামে রয়েছে আরও দুটি কার্ড। আপন ভাই কামরুজ্জামানের নাম ১১ ও ৬০ ক্রমিকে দুই জায়গায় রয়েছে। অপর ভাই ঝন্নুর নামে ৪১৪ ক্রমিকে কার্ড রয়েছে। এখানেই শেষ নয় চেয়ারম্যানের ভাইপো সৌরভ আর বৌমা সুমীর নামে দুটি কার্ড করা হয়েছে। ভাণ্ডারীপাড়ার চেয়ারম্যানের মামা মো. রবিউল ইসলামও (ক্রমিক-৮৫) ১০ টাকার কার্ডধারী।

হবখালী গ্রামে চেয়ারম্যানের বেয়াই আ. ওয়াদুদ মোল্যা (ক্রমিক-১৯৪) ও তার স্ত্রী তানজিরা (ক্রমিক-১০১) দুজনকেই দুটি কার্ড করে দেয়া হয়েছে। মামাতো ভাই ইকবাল, জাহিদ ও আরেক ভাই নাইমের নামে রয়েছে ১০ টাকা দামের খাদ্যবান্ধব চালের কার্ড।

এছাড়া ভাণ্ডারীপাড়ার তামেশা বেগম, শিল্পীসহ পঞ্চার্ধ্ব লোকের নাম তালিকায় আছে যারা বহু আগেই গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন। কাজী তরিকুল যিনি প্রবাসে থাকেন,তার নামেও কার্ড রয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান চঞ্চলের বাড়ি ইউনিয়নের ভাণ্ডারীপাড়া গ্রামে। তার আপন ভাইপো মো. লিংকন রহমান ১০ টাকা দামের চালের ডিলার হওয়ায় অজান্তেই এসব চাল বিতরণ হচ্ছে অথবা অন্যত্র পাচার হয়ে যাচ্ছে।

ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, হবখালী ইউনিয়নে দুটি ডিলারের সহায়তায় ৬১৮টি কার্ডের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের ১০ টাকা দামের চাল বিতরণ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৩০৯ টি কার্ডে চাল বিতরণ হয় চেয়ারম্যানের ভাইপো ডিলার মো. লিংকন রহমান এবং অপর ডিলার বাগডাঙ্গা বাজারে মো. জিন্নাহ মোল্যার এর মাধ্যমে। প্রতিনিয়ত এ সকল অনিয়ম হলেও তা দেখেন না তদারককারী কর্মকর্তা কিম্বা খাদ্য বিভাগের কেউ।

ডিলার মো. লিংকন রহমান বলেন,আমি তো তালিকা করি না। এটা চেয়ারম্যান মেম্বররা করেন। কেউ না আসলে তার পক্ষের কাউকে চাল দিয়ে দেয়া হয়।

হবখালী ইউপি সচিব বিষ্ণুপদ সেন জানান, ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত সাপেক্ষে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ৯১টি কার্ড সংশোধনের জন্য বলা হয়েছে। মাঠপর্যায়ে সেসব কার্ড সংশোধনের কাজ চলছে।