• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই, সহাস্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে বিএনপি নেতারা!

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২০  


 সাংগঠনিক ব্যর্থতায় প্রায় শূন্য জনসমর্থন নিয়ে চলছে বিএনপি রাজনীতি। যে কারণে অদ্যাবধি অনুষ্ঠিত সবগুলো নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হয়েছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। মাঠের রাজনীতিতে ব্যর্থ বিএনপির নেই কোন দৃশ্যমান দলীয় কর্মসূচি। এমনকি চলতি করোনাভাইরাস ইস্যুতেও তাদের লক্ষণীয় কোন পদক্ষেপ নেই। যদিও এক-দু’বার তারা রাস্তায় নেমেছে লিফলেট বিতরণে, সেখানেও ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।

জানা গেছে, বিএনপি জনসচেতনতার নামে দলীয় চেয়ারপারসনের কারামুক্তির আর্জি নিয়ে হাজির হয়েছিলো জনতার মঞ্চে। বরাবরের মতো সচেতন মানুষ তাদের অসৎ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে তাদের কৌশলে বর্জন করেছে। এসব অনুধাবন করে দলটির সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এতে অবশ্য নারাজ নন বিএনপি নেতারা, বরং খুশি হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন তারা।

বিএনপি নেতাদের ভাষ্য, নিজে বাঁচলে বাপের নাম। আগে এই ভাইরাসের কবল থেকে নিজে বাঁচি। তারপর দল ও নেত্রীর কথা ভাবা যাবে। তাছাড়া জনগণের কথা অন্যসময়েও চিন্তা করা যাবে, এখনই কেন? নিজেদের সুরক্ষাই সবার আগে, কারণ নিজে সুস্থ-সবল থাকলে তবেই না সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবো।

বিএনপি নেতাকর্মীদের এমন ‘স্বার্থপর আচরণে’ রাজনৈতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। দেশের বিশিষ্টজনরা বলছেন, বিএনপি কখনোই জনমানুষের কথা ভাবে না। সব সময় নিজের আখের গোছানোর ধান্দায় থাকে। যার প্রমাণ ইতোমধ্যে দেশবাসী পেয়েছেন। একবার নয়, বহুবার। সবচেয়ে দৃশ্যমান প্রমাণ, দুর্নীতির দায়ে বর্তমানে দলটির চেয়ারপারসন কারান্তরীণ। একই অপরাধে লন্ডনে পলাতক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও খালেদাপুত্র তারেক রহমান। মূল ব্যাপার, তাদের রক্তেই লুটপাট-দুর্নীতি। জনসেবা বা মানুষের কল্যাণ ভাবনা ভুলেও তাদের মানসিকতায় নেই। থাকলে করোনাভাইরাসের মতো পরিস্থিতিতে তারা হাত-পা গুটিয়ে হাসিমুখে কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেন না। তাদের সরকারকে দেখে শিক্ষা নেওয়া উচিত। যেখানে দেশে করোনা সংক্রমণের খবর পেয়েই তারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, কিভাবে এই ভাইরাস প্রতিরোধ করা যায়। ইতোমধ্যে সরকার বিভিন্ন দপ্তরের ছুটিও বাতিল করেছেন নিরবচ্ছিন্ন জনসেবার জন্য। সেখানে বিএনপি কিভাবে মানুষের কথা না ভেবে নিজেদের কথা ভেবে নিশ্চিন্তে ঘরে ঢুকে যান, তা বুঝে আসে না। এ থেকেই তাদের অস্বচ্ছ রাজনৈতিক মতাদর্শের পরিচয় মেলে।

প্রসঙ্গত, শনিবার (২১ মার্চ) রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলটির সব সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিএনপি। পরে রোববার (২২ মার্চ) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে কারাবন্দী চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারম্যান খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১১ মার্চের দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচিও বাতিল করেছিল দলটি।