• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

উল্টো করেই বিশ্বকে দেখছেন ৪৪ বছর!

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৩ মে ২০২১  

ব্রাজিলের পূর্বাঞ্চলীয় বাহিয়া রাজ্যের বাসিন্দা ক্লাউডিওর। জন্ম থেকেই স্বাভাবিক মানুষের মতো নন তিনি। মাথা থাকলেও সেটা জন্মগত এক ত্রুটির কারণে উল্টো হয়। এভাবেই চলছে ৪৪ বছর ধরে বেঁচে থাকার সংগ্রাম।

ক্লাউডিও ভেইরা ডি অলিভেইরা আর্থ্রোগ্রিপোসিস মাল্টিপ্লেক্স কনজেনিটাল ব্যাধিতে ভুগছেন। ফলে তার পায়ের পেশীতে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। হাত দু’টি বুকের এবং মাথা উল্টোভাবে পিঠের সঙ্গে লেগে রয়েছে। এমন অস্বাভাবিক শিশুর বেঁচে থাকার আশা চিকিৎসকের সঙ্গে পরিবারও। চিকিৎকরা জানিয়েছিলেন যে ২৪ ঘণ্টার বেশি বেঁচে থাকার আশা নেই। উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলের রাজ্য বাহিয়া থেকে ক্লাউডিও ভেইরা ডি অলিভেইরা জন্মগ্রহণ করেছিলেন আর্থ্রোগ্রিপোসিস মাল্টিপ্লেক্স কনজেনাইটা নামক একটি বিরল রোগ নিয়ে।

 

জন্ম থেকেই ক্লাউডিও এই রোগে আক্রান্ত

জন্ম থেকেই ক্লাউডিও এই রোগে আক্রান্ত

তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ক্লাউডিওর বেঁচে যান। অন্য শিশুদের মতোই বড় হতে থাকেন তিনি। জগৎকে তিনি উল্টোভাবে দেখেন। জীবনের অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত থেকেছেন ঠিকই, কিন্তু জীবনের প্রতি পদে বাঁচার রসদ খুঁজে নিয়েছেন তিনি। এত প্রতিকূলতার মাঝেও দমে যাননি ক্লাউডিও। আর দশটা মানুষের মতো শিশুকাল থেকেই মায়ের কাছে লেখাপড়া শিখেছেন। নিজের পছন্দ মতো সব কাজ করেন তিনি।

নিজের এই অবস্থাকে অন্যের কাছে অনুপ্রেরণা হিসেবে তুলে ধরতে চান ক্লাউডিও। এজন্য তিনি একটি ডিভিডি তৈরি করেছেন। পাশাপাশি নিজের আত্মজীবনীও লিখেছেন। এখানেই শেষ নয়, ২০০০ সাল থেকে তিনি মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে বিভিন্ন সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। 

 

নিজের আত্মজীবনীও লিখেছেন ক্লাউডিও

নিজের আত্মজীবনীও লিখেছেন ক্লাউডিও

ক্লাউডিওর নিঃশ্বাস নিতে, দেখতে, খেতে এবং জলপান করতে কোনো সমস্যা হয় না। পাশাপাশি তিনি প্রেরণামূলক বার্তা দিয়ে নানা ভিডিও করেন। তিনি কখনো তার জীবনে কোনো অসুবিধা আছে এটা মনে করেননি। তিনি নিজের জীবন আর ৫টা সাধারণ জীবনের মতোই মনে করেছেন। 

মহামারিতে থেকে নেই ক্লাউডিওর কাজ, এখন অন্যদের সতর্ক করতে বানাচ্ছে ভিডিও বার্তা। নিজের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ারের পাশাপাশি নানান সতর্কবার্তাও দিচ্ছেন। ক্লাউডিও নিজের জীবনকে উপভোগ করেন। তার কাছে বেঁচে থাকাটাও এক প্রকার আনন্দ। সেখানে আপনি নিজে কতখানি অর্জন করলেন এবং মানুষের জন্য করে গেলেন সেটার হিসেব কষাও প্রয়োজন।