• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরের মরদেহ হস্তান্তর

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৪  

ত্রিপুরা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ১৯৯ নং ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি সাদ্দাম হোসেন ওরফে পারভেজের (১৫) মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে কৈলাশহর চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের পুলিশের হাতে মরদেহটি তুলে দেয় বিএসএফ।

পারভেজ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মুরাইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে। সে গত ১৭ মার্চ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারায়। ওই ঘটনায়  একই গ্রামের মৃত সাদাই মিয়ার ছেলে ছিদ্দিকুর রহমানও (৩৪) আহত হন।

মৌলভীবাজারের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, সেদিন বিকেলে পারভেজ ও ছিদ্দিকুর রহমান সীমান্তের শিকরিয়া এলাকায় গরু চরাতে যান। এক পর্যায়ে তারা শূন্যরেখার কাছাকাছি চলে যান। তখন ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার মাগুরুলি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় কিশোর সাদ্দাম। আর স্থানীয়রা ছিদ্দিকুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অবশ্য বিএসএফের অভিযোগ, সেদিন বাংলাদেশি এক যুবক কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তখন বাধা দেওয়া হলে তিনি এক জওয়ানকে মারধর করেন এবং দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। পরে কিছু বাংলাদেশি কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে ভারতে ঢোকেন এবং ওই বিএসএফ জওয়ানকে টেনে-হিঁচড়ে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অন্য বিএসএফ জওয়ানরা ঘটনাটি দেখে ছুটে আসেন এবং ওই জওয়ানকে রক্ষায় গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে কিশোর পারভেজের পায়ে গুলি লাগে এবং তার শরীর থেকে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হতে থাকে, যার ফলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তখন অন্য বাংলাদেশিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ চলে আসেন।  

বিএসএফের বক্তব্য, পরে পারভেজের  মরদেহ কৈলাশহর ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্ত করার পর বিকেলে কৈলাশহর চেকপোস্ট এলাকায় বাংলাদেশের বিজিবি ও পুলিশের হাতে পারভেজের মরদেহ তুলে দেয় বিএসএফ ও স্থানীয় পুলিশ। এসময় কৈলাশহর মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা জয়ন্ত কর্মকার ও কৈলাশহর ইরানি থানার ওসি যতীন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।

জয়ন্ত কর্মকার সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, পারভেজের মরদেহ শনাক্ত করতে তার বাবা আছকির মিয়া কৈলাশহর চেকপোস্টে আসেন এবং তিনি শনাক্ত করেন যে পারভেজ তারই ছেলে। অপরদিকে আহত বিএসএফ জওয়ান কৈলাশহরের ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন।