• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

মঙ্গলগ্রহে বসতি তৈরির প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯  

অনলাইন ডেস্ক ॥ হু হু করে বাড়ছে পৃথিবীর জনসংখ্যা। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে সঙ্কট বাড়ছে প্রতিদিন। বিপদ আগেই টের পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। তাই বিকল্পের সন্ধান চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। তাতে কিছুটা সাফল্যও পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গলই হতে পারে আমাদের ভবিষ্যতের ঠিকানা। সেখানে বসতি তৈরির প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা মিলে ‘মার্স ওয়ান প্রজেক্ট’-এর কাজ শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। এর আওতায় ২০৩২ সালের মধ্যে মঙ্গলগ্রহে উপনিবেশ গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঘর-বাড়ি, প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা-সহ ছোট ছোট এলাকা গড়ে তোলা হবে। দফায় দফায় সেখানে পাঠানো হবে মহাকাশচারীদের। দেখা হবে, পৃথিবীর মতো সেখানেও সাধারণ জীবন যাপন করা সম্ভব কি না।কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত তো দরকার! সেই উদ্যোগও শুরু হয়ে গিয়েছে। কাজ শুরু করে দিয়েছে নিউইয়র্কের এআই স্পেস ফ্যাক্টরি সংস্থা। মঙ্গলের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কেমন ঘর-বাড়ি তৈরি করা যায়, তার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার এবং আর্কিটেক্টরা। থ্রিডি প্রিন্ট প্রযুক্তির সাহায্যে সম্প্রতি কিছু ডিজাইন সামনে এনেছেন তাঁরা, যাতে দেখে মঙ্গলে জীবন-যাত্রা কেমন হতে পারে, সে ব্যাপারে ধারণা মিলেছে। চারজন মহাকাশচারী থাকার উপযুক্ত এক একটি বাড়ির ডিজাইন তৈরি করেছে তারা। প্রয়োজনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে সেগুলিকে। কয়েকটি বাড়ি দেখতে খানিকটা মাটির তৈরি উল্টোনো ফুলদানির মতো। তবে ঝাঁ চকচকে। ধূলো ঝড় ও রুক্ষ আবহাওয়ায় কোনও ক্ষতি হবে না। উচ্চতা বেশি হওয়ায় জায়গা মিলবে অনেকটা। ল্যাব, রান্নাঘর, শোওয়ার ঘর সমেত সংসার সাজিয়ে দেওয়া হবে মহাকাশচারীদের। পৃথিবীতে সিমেন্টের মেঝে বানিয়ে একতলা ও দোতলাকে আলাদা করা হয়। মঙ্গলে মহাকাশচারীদের বাড়িগুলিতে একতলা থেকে দোতলায় যেতে গেলে মাকড়শার জালের মতো পথ দিয়ে যেতে হবে। সেগুলি তৈরি করা হবে ব্যাসল্ট ফাইবার দিয়ে। কিছু বাড়ি আবার অর্ধেক ভাঙা ডিমের খোসার মতো দেখতে। ব্যাসল্ট শিলা এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য বায়োপ্লাস্টিক দিয়ে বাড়িগুলি তৈরি করা সম্ভব। বাইরে এবং ভিতরে দু’টি আলাদা আবরণ থাকবে। ভিতরে সবরকম আধুনিক সুযোগ-সুবিধা মিলবে। দিনের বেলা জানলা দিয়ে সূর্যের আলো এসে পড়বে ঘরে। আবার সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়েই ল্যাবের কাজকর্ম সারা হবে। রান্নাবান্নাও হবে সৌরশক্তির মাধ্যমে। চাইলে গাছপালাও লাগাতে পারবেন মহাকাশচারীরা। ফলাতে পারবেন শাক-সবজি। তার জন্য ঘোরানো সিঁড়ি দিয়ে বাগানে নেমে আসতে হবে। বুদবুদের মতো দেখতে একটি বাড়িও মঙ্গলে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেটিতেজস্ক্রিয় বিকিরণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। মঙ্গলের মাটিতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন-অক্সাইড রয়েছে। সেই মাটি ব্যবহার করে এই বাড়িতে বাগান তৈরি করা যাবে। থাকবে জল মজুতের ব্যবস্থাও। ইগলুর অনুকরণে মঙ্গলে বরফের তৈরি বাড়ি-ই বসবাসের আদর্শ জায়গা বলে মত বিজ্ঞানীদের। কারণ মঙ্গলে মাটির তলায় প্রচুর বরফ রয়েছে। তাই বাড়ি তৈরির উপাদানে ঘাটতি দেখা দেবে না। আবার বরফ তেজস্ক্রিয় বিকিরণ প্রতিরোধেও সক্ষম। মঙ্গলের মাটিতে ষড়ভুজাকৃতি বাড়িও মন্দ লাগবে না বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। দেড় হাজারবর্গফুট জায়গাতেই হয়ে যাবে এই বাড়ি। চাপ ও গ্যাসের ভারসাম্য রাখতে বাড়ির ছাদটি খোলা বা বন্ধ করা যাবে। ডিজাইনগুলি পছন্দ হয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার।