• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

গৃহকর্মীর সঙ্গে মহানবী (সা.)-এর আচরণ যেমন ছিল

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০১৯  

সুন্দর আচরণের বিকল্প নেই। যাদের আচরণ সুন্দর ও মাধুর্যপূর্ণ—তাদের অন্যরা পছন্দ করে। সর্বাবস্থায় তাদের পাশে থাকে। কিন্তু যাদের আচরণ অসুন্দর; মানুষ তাদের বুকভরে ঘৃণা করে। যদিও সাময়িক কোনো স্বার্থ কিংবা বিশেষ কারণে অসন্তোষ গোপন রাখে।

প্রাচীন কাল থেকে মানুষ বাড়ি-ঘরে কাজের সুবিধার্থে গৃহকর্মী নিয়োগ দিয়ে আসছে। আধুনিককালে গৃহকর্মীর কাজের ধরন পরিবর্তন হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগের মতো রয়েছে। আচার-আচরণ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক মানুষ গৃহকর্মীর সঙ্গে অবিচার-নির্যাতন করে। অথচ এটি ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

গৃহকর্মী কোনো কারণে ভুল করলে ইসলাম শুধরে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রাসুল (সা.) এর দৃষ্টান্ত ও উপমা রেখে গেছেন। গৃহকর্মীর প্রতি প্রিয় নবী (সা.)-এর ক্ষমা ও সহনশীলতা সম্পর্কে সাহাবি আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি দশ বছর ধরে রাসুল (সা.) এর খেদমত করেছি। আল্লাহর কসম! তিনি কোনো দিন আমাকে বকা দেননি। কোনো দিন উফ্ বলেননি। কখনো বলেননি, এ কাজটি কেন করেছ? এ কাজটি কেন করোনি?’ (বুখারি, হাদিস নং : ৬৪৩০)

অন্য হাদিসে আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কখনো কোনো বস্তুকে কিছু দিয়ে আঘাত করেননি। তার কোনো স্ত্রী ও সেবক-গৃহকর্মীকে প্রহার করেননি। শুধুমাত্র তিনি আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রাম করেছিলেন। কারো থেকে কখনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। কিন্তু আল্লাহর অসম্মানী করা হলে, তখন আল্লাহর জন্য প্রতিশোধ নিয়েছেন।’ (মুসলিম, হাদিস নং: ২৩২৮)

বাস্তবতার বিচারে সেবক ও গৃহকর্মীরা নির্ভুল থাকে না। কখনো না কখনো ভুল করেই থাকে। কাজের ক্ষেত্রে তাদের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়ে থাকে। এতদাসত্ত্বেও রাসুল (সা.) তাদের ভুল-ত্রুটিগুলোর দিকে নজর দিতেন না। বরং তাদের দুর্বলতাগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতেন।

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, একলোক একবার রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলে, গৃহকর্মীদের আমরা আর কত ক্ষমা করবো? তখন তিনি চুপ থাকেন। লোকটি আবার একই প্রশ্ন করে। এভাবে তিনবার প্রশ্ন করার পর রাসুল (সা.) বলেন, ‘তাদের দৈনিক সত্তর বার করে ক্ষমা করো।’ (আবু দাউদ, হাদিস নং : ৪৪৯৬)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সব ধরনের মানুষের সঙ্গে সদাচরণ করার তাওফিক দান করুন।