• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

আজওয়া খেজুরে যেসব রোগমুক্তির কথা বলেছেন বিশ্বনবি

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০১৯  

হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে তোমরা সুস্বাস্থ্য প্রার্থনা কর। কারণ ঈমানের পর সুস্বাস্থ্যের চেয়ে অধিক মঙ্গলজনক কোনো কিছু কাউকে দান করা হয়নি।’ (ইবনে মাজাহ)

তাইতো আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত হচ্ছে সুস্বাস্থ্য। ইবাদত-বন্দেগি থেকে শুরু করে সব কাজেই সুস্বাস্থ্যের বিকল্প নেই। সুতরাং মানুষের উচিত সব সময় সুস্থ থাকার চেষ্টা করা।

রোগ-ব্যাধি থেকে সুস্থতা লাভে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কোনো সাহাবি যখন অসুস্থ হয়ে পড়তেন তখন তিনি তাদের দেখতে যেতেন। তাদের শরীরে হাত বুলিয়ে দিতেন। তাদের সুস্থতার জন্য দোয়া করতেন এবং সুস্থতা লাভের পরামর্শ দিতেন।

হজরত সাদ রাদিয়াআল্লাহু আনহু একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে দেখতে যান এবং হৃদরোগের চিকিৎসার নসিহত পেশ করেন-

হজরত সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি অসুস্থ ছিলাম এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি আমার বুকের ওপর হাত রাখলেন তখন আমি হৃদয়ে শীতলতা অনুভভ করলাম।
তিনি বলেন, তোমার হৃদরোগ হয়েছে।
এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে আজওয়া খেঁজুর খেতে দিয়ে বললেন, তুমি সাতদিন আজওয়া খেজুর খাবে তাহলে তুমি পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।’ (আবু দাউদ)

এমনিতেই খেজুর অনেক উপকারি। বহু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এ খেজুর। আর খেজুরের মধ্যে আজওয়া খেজুর অনেক উন্নত এবং দামি। আর এতে রয়েছে মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি উপাদান। অন্য হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন-

হজরত সাদ ইবনে আবি ওক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, ওই ব্যক্তিকে বিষ ও জাদু-টোনা কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’ (বুখারি ও মুসলিম)

যখনই সাহাবায়ে কেরামের মাঝে কেউ অসুস্থ হয়ে যেতেন, প্রিয় নবি তাকে দেখতে যেতেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ যখন অসুস্থ হয়ে যেতেন তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার ডান হাত রোগীর শরীরের বুলাতেন এবং বলতেন-
اَذْهِبِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ اَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ اِلَّا شِفَائُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقْمًا
উচ্চারণ : ‘আজহিবিল বাসা রাব্বান নাসি, ওয়াশফি আংতাশ শাফি লা শিফাআ ইল্লাহ শিফাউকা শিফাআন লা ইউগাদিরু সাক্বামা।’ (বুখারি ও মুসলিম)

অর্থ : হে মানুষের প্রতিপালক! এ রোগ দূর করে দিন এবং সুস্থতা দান করুন। আপনিই সুস্থতা দানকারী। আপনার সুস্থতা ব্যতিত কোনো সুস্থতা নেই। এমন সুস্থতা যা কোনো রোগকে বাকি রাখে না।’

মুমিন মুসলমানের জন্য আবশ্যক হচ্ছে নিজেদের সুস্থ রাখতে নিয়মিত খেলাধূলা, ব্যায়াম ও সাঁতার কাটা। নিয়মিত পরিশ্রম করা। যা মানুষের সুস্থতার জন্য জরুরি। আর বিশ্বনবির শেখানো এ দোয়া বেশি বেশি পড়া এবং আমল করা-

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন-
اَللهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَ ضَلَعِ الدَّيْنِ وَ غَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউ’জুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি ওয়াল আ’ঝযি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুব্‌নি ওয়াল বুখলি ওয়া দ্বলাইদ দাইনি ওয়া গালাবাতির রজিাল।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে থেকে চিন্তা, শোক, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, ঋণের বোঝা ও মানুষের ওপর জোর-জবরদস্তি থেকে আশ্রয় চাই।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উৎকণ্ঠা, মনোকষ্ট, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, ঋণগ্রস্ততা এবং মানুষের কর্তৃত্বাধীন হয়ে যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)

সুতরাং মানুষের উচিত প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষিত নসিহতগুলো মেনে হৃদরোগসহ যাবতীয় রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার পাশাপাশি দোয়া করার তাওফিক দান করুন।