• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির ৩ নেতাকে নিয়মিত টাকা দিতেন জি কে শামীম

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

 

চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির অন্যতম সম্রাট গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম। বর্তমানে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক জি কে শামীম।  হঠাৎ ‘ক্যাসিনো ঝড়ে’ লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে তার সাম্রাজ্য! একে একে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য, খুলে যাচ্ছে মুখোশ, ভেসে যেতে বসেছে তার সম্পদের সাম্রাজ্য।

সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন চিত্র নায়িকা, উঠতি মডেলদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বড় বড় টেন্ডার বাগিয়ে আনতে নায়িকা ও মডেলদের ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ম্যানেজ করতেন এই টেন্ডার কিং।  শোনা যাচ্ছে- তিনি সরকারের বহু প্রজেক্টে কাজ করছেন।

এবার জি কে শামীম সম্পর্কে বেরিয়ে এলো ভয়ঙ্কর তথ্য। চাঞ্চল্যকর ওই তথ্যটি হলো- গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রমাণ পেয়েছে যে যুবলীগ বা আওয়ামী লীগের নারায়নগঞ্জ শাখার নেতা হলেও জি কে শামীম নিয়মিতভাবেই বিএনপিকে টাকা দিতে। এর মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে বিএনপির তিন নেতাকে সে নিয়ম করে মাসোহারা দিত বলে জানা যায়।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। এর আগে, জি কে শামীমের অফিসে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অভিযান পরিচালনার সময় বিপুল পরিমাণ টাকা, অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য সমাগ্রীর সঙ্গে একটি খাতাও খুঁজে পায়। ওই খাতাটি ঘিরেই রহম্য বেরিয়ে আসছে। ওই খাতায় দেখা যায় যে, বিএনপি শীর্ষ স্থানীয় নেতা অর্থাৎ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে নিয়মিত বেতনের মতো টাকা দিতেন জি কে শামীম। বর্তমানে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে রয়েছে ওই খাতাটা।

এ ব্যাপারে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হতে পেরেছেন যে নিয়মিত টাকা পেতেন বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নজরুল ইসলাম খান ও মির্জা আব্বাস। এই টাকার অঙ্কটা কোটির ঘরে বলে জানিয়েছে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। এছাড়াও বিএনপির আরও কোনো নেতা জি কে শামীমের কাছ থেকে টাকা পেতেন কিনা তা নিয়েও তদন্ত করছেন গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা।

শুক্রবার দুপুরের দিকে রাজধানীর অভিজাত এলাকা নিকেতনের ব্যবসায়ীক কার্যালয় জি কে বিল্ডার্স থেকে জি কে শামীমকে আটক করা হয়। সেখান থেকে টাকার বিপুল পরিমাণ টাকাও উদ্ধার হয়। শামীমের মায়ের নামেই ১৪০ কোটি টাকার এফডিআরের সন্ধান পেয়েছে র‍্যাব। তাকে দুটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অস্ত্র মামলায় শামীমের সাত দেহরক্ষীরও চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।