• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

এমপিওভুক্তির ভুল নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০১৯  

যুদ্ধাপরাধীদের নামে যেসব প্রতিষ্ঠান এমপিওর তালিকাভুক্ত হয়েছে তাদের নাম পরিবর্তন করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। দৈনিক শিক্ষায় গত ২৪ অক্টোবর প্রকাশিত ‘যুদ্ধাপরাধী, বিএনপি ও জামাত প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানও এমপিওর তালিকায়’ শিরোনামের প্রতিবেদনে  তুলে ধরা তথ্য সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠান কারো নামে হলেও তা যোগ্য বিবেচিত হয়েছে। তাই এমপিওভুক্ত হয়েছে। তবে, যুদ্ধাপরাধীদের নামের প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম পরিবর্তনের কাজ চলমান রয়েছে। 

ভুল তথ্য দিয়ে যারা এমপিওভুক্তির তালিকায় ঢুকেছেন তাদেরকে বাদ  দেয়া হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হয়নি। সব যোগ্য প্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।  

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করা হয়েছে তাতে কোন অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা বা কোনো যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত না করার কোনো সুযোগ ছিল না। অর্থাৎ এমপিওভুক্তির নীতিমালা পরিপূর্ণ অনুসরণ করা হয়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তির শর্ত অনুযায়ী এমপিওভুক্তির আদেশ জারির পর যেকোন পর্যায়ে যদি প্রমাণিত হয় যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি কোনো শর্ত ভঙ্গ করেছে বা অসত্য তথ্য প্রদান করে এমপিওভুক্ত হয়েছে, সে সমস্ত প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আদেশ কার্যকর হবে না। পাশাপাশি অসত্য তথ্য প্রদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমপিওভুক্তির কার্যক্রম এবং সরকারিকরণের কার্যক্রম দুটি বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে সম্পাদিত হয়েছেে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানের একটি স্তর সরকারিকরণের পরেও এমপিওভুক্ত হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি সরকারিকরণ হয়। তার আগেই এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করা হয় এবং চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। এ বিষয়ে কেউ রিপোর্ট না করায় এই বিভ্রান্তি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, এটা এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম নয়। সরকারিকরণের কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কোন প্রয়োজন না থাকায় এ আদেশ উক্ত প্রতিষ্ঠান জন্য স্বাভাবিকভাবেই কার্যকর হবে না।

অন্যদিকে পূর্বে এমপিওভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানের একটি স্তর আবারো এমপিওভুক্ত হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষায় যে সংবাদ পরিবেশিত তার ব্যাখ্যায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যে স্তর ইতিমধ্যে এমপিওভুক্ত হয়েছে সে স্তরের জন্য তাদের পুনরায় আবেদন করার কথা নয়। সম্ভবত তারা ভুলক্রমে এমপিওভুক্ত স্তরের জন্যই পুনরায় আবেদন করেছে। প্রকৃত অর্থেই তারা এই ভুল করেছে কিনা তা যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটি হয়ে থাকলে এমপিওভুক্তির কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এটি অনিয়মের মধ্যে পড়ে না বলেও দাবি করেন তিনি।

এমপিওভুক্তির আদেশ জারির পরে একটি প্রতিষ্ঠান রাতারাতি ভবন নির্মাণ করেছে বলে প্রকাশিত দৈনিক শিক্ষার প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে জানার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এমপিওভুক্তির প্রদত্ত শর্ত অনুযায়ী যেসব তথ্যাদির ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে সেসব তথ্য ভুল বা অসত্য প্রমাণ হলে তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শতভাগ নিয়মকানুন অনুযায়ী যোগ্য প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য সকল কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।

এমপিওভুক্তির আদেশ জারি হওয়ার পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন  সংবাদপত্রে বলা হয়েছে যুদ্ধাপরাধী, কুখ্যাত ব্যক্তি এবং স্বাধীনতা বিরোধী ব্যক্তির নামে বা বিতর্কিত কোনো রাজনীতিকের নামে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী, কুখ্যাত ব্যক্তিদের নামে প্রতিষ্ঠিত চিহ্নিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ পূর্বক শিক্ষামন্ত্রণালয় পরিবর্তন করে চলছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি একটি চলমান কার্যক্রম। স্থানীয় পর্যায়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকলেও এ সংক্রান্ত সব তথ্য মন্ত্রণালয় স্থানীয় পর্যায়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, স্থানীয় প্রশাসন বা স্থানীয় জনগণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরে আনলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, যেহেতু এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে কোনরকম রাজনৈতিক বিবেচনা করা হয়নি, শুধু যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা হয়েছে, সেহেতু কোনো বিতর্কিত রাজনীতিকের নামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একইভাবে নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যেতে পারে।