• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের চুল্লি দৃশ্যমান রূপ নিচ্ছে

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২০  

করোনা সংকটে যখন দেশের অধিকাংশ উন্নয়ন প্রকল্পই থমকে আছে, তখনও পুরোদমে কাজ চলছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প রূপপুরে। এরই মধ্যে ভৌত অবকাঠামোর কাজ এগিয়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। সংশ্লিষ্টদের আশা, এ বছরেই দৃশ্যমান হবে প্রথম ইউনিটের পরমাণু চুল্লি। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে জানিয়ে, ব্যয় বাড়ার শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে মন্ত্রণালয়।

দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ চলছে এই করোনা পরিস্থিতিতেও। দিন-রাতের ব্যবধানে বিশাল কর্মযজ্ঞে ক্রমেই পাল্টে যাচ্ছে রূপপুরের সার্বিক চিত্র। সমানতালে এগিয়ে চলেছে পরমাণু বিদ্যুতের ২টি ইউনিটের মূল নির্মাণ প্রক্রিয়াও।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথম ইউনিটের ভৌত অবকাঠামো অনেকটাই এগিয়েছে। জানা গেছে, এ বছরের শেষ নাগাদই বসানো হবে পরমাণু চুল্লির প্রাণ হিসেবে পরিচিত রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল। এ জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করেছে দেশীয় ও রুশ প্রকৌশলীরা।

অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট লাসটোস্কিন বলেন, করোনা সংকটে কাজে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল, কিন্তু সব প্রতিবন্ধকতা পার করে এগিয়ে চলেছি। সাইট ডিরেক্টর প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, এর উপরে যে ডোমটা বসবে সেটা তিন পার্টে তৈরি করে ক্রেনে করে রিয়েক্টারের ওপরে বসিয়ে দেব।

রাশিয়ার বড় অংকের ঋণে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ব পরমাণু সংস্থা রোসাটমর অধীনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া মূল নির্মাণ কাজের ৬৮ মাসের মধ্যে শেষ করার কথা এই প্রকল্পটির। মন্ত্রণালয়ের দাবি, ব্যয় বাড়ার কোনো শঙ্কা নেই এখন পর্যন্ত।

পিডি ড. শৌকত আকবর বলেন, যত প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট আসার কথা, সেগুলো সব চলে এসেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, করোনা আমাদের ছুঁতে পারেনি। আমাদের কাজ ভাল মতই চলছে।

পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত দেশের সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত হবে নিউক্লিয়ার প্রযুক্তির অত্যাধুনিক সংস্করণ ভিভিইআর ১২০০ টাইপ এর রিয়্যাক্টর। এর মাধ্যমে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম ৩০টি দেশের তালিকায় নাম লেখাবে বাংলাদেশ।