• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়ালো বিশ্ব

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

১৯৭২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদ প্রথম দিনে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের দাবির পক্ষে মুখর হয়ে ওঠে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিতর্ক শুরু হলে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মঙ্গোলিয়া, নেপাল অবিলম্বে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সদস্যপদদানের পক্ষের দাবি জানিয়ে বক্তৃতা করে।
অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘে অন্তর্ভুক্তির জন্য যোগ্য। জাপানি প্রতিনিধি বলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের আসন লাভের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধিতে আসতে দেরি নেই। জাতিসংঘের খুব শিগগিরই এই উপলব্ধি হবে। সাধারণ পরিষদে অন্যান্য প্রতিনিধি বলেন, তারা মনে করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অভ্যুদয় ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। জাতিসংঘের বিপুল সংখ্যাধিক্য সদস্য দেশ এই ঐতিহাসিক বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিয়েছে।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাধারণ পরিষদে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেন, বিশ্ব সংস্থা তথা জাতিসংঘের সম্মুখে আজ দুটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। একটি হলো এই নবজাতক রাষ্ট্র স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে কালবিলম্ব না করে বিশ্বসভায় সাদরে গ্রহণ করা এবং অপরটি হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে আবার নতুন করে গড়ে তুলতে সাহায্য করা। নেপালি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ভারতীয় উপমহাদেশের স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা বিশ্বশান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশকে অবিলম্বে জাতিসংঘের সদস্যপদ দান করা উচিত। হাইতি প্রতিনিধি তার ভাষণে আশা প্রকাশ করেন, সকল জাতির প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করে জাতিসংঘ একটি বিশ্বজনীন চরিত্র লাভ করতে পারবে, যা দ্বারা আন্তর্জাতিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আণবিক শক্তি কেন্দ্র মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতির উদ্যোগে জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি এবং উপমহাদেশে স্থায়ী শান্তি সম্ভাবনা' শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আলোচনা সভা উদ্বোধন করেন। আইন ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ড. কামাল হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন।

নয়া উদ্ভাবনে বাঙালি বিজ্ঞানীদের অভিনন্দিত করলেন বঙ্গবন্ধু

১৯৭২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সুতাকলগুলোকে পাট ও তুলার সংমিশ্রণে তৈরি সুতা উৎপাদন করতে বলেন। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে। বাসসের বরাত দিয়ে দেশের প্রত্যেক পত্রিকা পরদিন এ খবর প্রকাশ করে। ১৯৭২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গণভবনে বিজ্ঞান বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী মফিজ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুকে জুটনের তৈরি কম্বল শার্টিং স্যুট উপহার দেন। উদ্ভাবিত নবতম আবিষ্কার জুটন জাতীয় কাপড়ের নমুনা দেখে বঙ্গবন্ধু আনন্দিত হন এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে দেশে অবিলম্বে উৎপাদন শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞানীদের প্রতি ব্যাপক উৎপাদনের পরিকল্পনা প্রদান ও অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে পেশ করার নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধুর জুটনের উদ্ভাবক বিজ্ঞানী ও কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। দেশের প্রধান অর্থকরী ফসল পাটের বিভিন্নমুখী ব্যবহার ও তুলার অতিরিক্ত পণ্য আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে চাষের সম্ভাবনায় আনন্দ প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু দেশে প্রাপ্ত কাঁচামাল বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরির কাজে ব্যবহার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, এসব কর্মসূচিকে উৎসাহ দিতে হবে। কেননা, এতে বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচানো যাবে। জুটন উপহারদানের অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, এম আর সিদ্দিকী, জেনারেল এমএজি ওসমানী উপস্থিত ছিলেন।

ভুট্টোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইন্দিরা

চূড়ান্ত সৈন্য অপসারণের আগে পাঞ্জাবি কবলিত এলাকা থেকে ভারতীয় সৈন্য অপসারণের জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ভুট্টো প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে ইংরেজি দৈনিক মাদারল্যান্ড-এর এক খবরে বলা হয়। গান্ধী তাকে জানিয়ে দিয়েছেন, আংশিক সমাধান কোনও কাজে আসবে না। বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানের বিরোধিতা করা পাকিস্তানের সিমলা চুক্তি বাস্তবায়নের প্রধান অন্তরায়। সরকারি মহল সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।

দাম কমাতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে

খাদ্যমন্ত্রী ফণীভূষণ মজুমদার বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের তৎপরতার ফলে গত ১৫ দিনের খাদ্য পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। তিনি এনার প্রতিনিধিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া ট্রাক ও নৌকা খাদ্যশস্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। খাদ্যশস্যের দাম কমার জন্য মানুষের পক্ষে করা সম্ভব তাই করা হবে। এ ব্যাপারে জনসাধারণের সহযোগিতার ওপর জোর দেন তিনি।