• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

সাহেদকাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২০  

রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের অনিয়ম উদঘাটন এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে গ্রেফতারের পরও সমালোচকদের ভূমিকায় ক্ষেপেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের একাধিক শীর্ষ নেতারা এমন তথ্য জানিয়েছে।

দলটির শীর্ষ নেতাদের ভাষ্যনুযায়ী, রিজেন্ট গ্রুপ ও সাহেদ করিমের অনিয়ম-অপরাধ সরকারই খুঁজে বের করেছে। সরকারই তাকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করেছে। এ ক্ষেত্রে সাহেদ করিমের দলীয় পরিচয়ও দেখা হয়নি। অথচ রিজেন্ট গ্রুপের অনিয়ম প্রকাশিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ ও সরকারের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের ঘনিষ্ঠতাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে এবং প্রচার করা হচ্ছে। এতেই ক্ষেপেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, ‘সাহেদ করিমের অপরাধ উদঘাটন ও গ্রেফতারে অন্য কারও ভূমিকা নেই। গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সমালোচকরা এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও সরকারকেই দোষারোপ করছে। অথচ সাহেদ করিমকে গ্রেফতারে ধীরগতির বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপরই তাকে গ্রেফতারে তৎপর হয়ে ওঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। গত ৯ জুলাই সংসদ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘দুর্নীতি, অনিয়মের সঙ্গে জড়িত আমরা যাকেই পাচ্ছি এবং যেখানেই পাচ্ছি তাকে ধরছি। আর ধরছি বলেই, চোর ধরে যেন চোর হয়ে যাচ্ছি। আমরা ধরি আবার আমাদেরকেই দোষারোপ করা হয়। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য। এর আগে তো দুর্নীতিটাই নীতি ছিল। অনিয়মটাই নিয়ম ছিল। সেভাবেই রাষ্ট্র চলেছে। যতদূর পারি শুদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এই অনিয়মগুলো আমরা নিশ্চয়ই মানব না।’

সাহেদ করিম ইস্যুতে আওয়ামী লীগ নেতাদের কেউ কেউ আকারে ইঙ্গিতে গণমাধ্যমের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, সাহেদ করিমের উত্থানে গণমাধ্যমের ভূমিকাও কম ছিল না। আওয়ামী লীগ ও সরকারের শীর্ষ স্থানীয়দের সঙ্গে সাহেদ করিমের যে সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, এ রকম ছবি গণমাধ্যমের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গেও রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য জানান, ‘আমার তো মনে হয়, সাহেদ করিমকে গ্রেফতার করায় গণমাধ্যমকর্মীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কারণ সাহেদ করিম একটা গণমাধ্যমের মালিক এবং গণমাধ্যমের অনেক শীর্ষ ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে তার সবচেয়ে বেশি সখ্যতা রয়েছে।’

দলটির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য জানান, ‘শুধু সাহেদ করিম নয়, যেকোনো অপরাধীর অপরাধ সামনে আসার পরই সবাই ওই অপরাধীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সরকারের সম্পর্ক খোঁজে। বিষয়গুলো এমনভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে যেন আওয়ামী লীগ ও সরকারই এ সমস্ত অপরাধের জন্য দায়ী। অথচ এ সমস্ত অপরাধীদের খুঁজে বের করে শাস্তির মুখোমুখি করছে সরকারই। এখানে অন্য কারও কোনো ভূমিকা নেই। আর এই প্রবণতায় চটেছেন আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা)।’

এ সব বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে তা পর্যায়ক্রমে তৃণমূলে ছড়িয়ে যাবে। অভিযান অব্যাহত থাকবে অনিয়মের আবর্তে থাকা অন্যান্য খাতেও। কেউই জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়। দলীয় পরিচয় দিয়ে অনিয়ম ঢাকা যাবে না। শেখ হাসিনা জনগণের মনের ভাষা বোঝেন। তার কাছে কোনো অপরাধীর ছাড় নেই। আসুন আমরা নিজের বিবেকের কাছে নিজে পরিশুদ্ধ থাকি। জবাবদিহি করি। অসহায় মানুষের হক নষ্ট না করে তাদের পাশে দাঁড়াই। তবেই প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। শেখ হাসিনার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’

দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন জানিয়ে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘ইতোমধ্যেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দলের প্রধান হিসেবে নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন। সেইভাবে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’